ময়দানে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে যুব তৃণমূলের সমাবেশে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঢিল ছোড়া দূরত্বে শহিদ মিনার ময়দানে কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের সমাবেশে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এর সঙ্গে থাকছে বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের যোগদান। আজ, শুক্রবার এই ত্র্যহস্পর্শে কলকাতা শহরের যান চলাচল কতটা স্বাভাবিক থাকবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন লালবাজারের কর্তারা। পুলিশকর্তারা বৃহস্পতিবার দাবি করেন, কত ক্ষণ সমাবেশ চলবে, তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি তৃণমূল বা কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট। উদ্বেগটা তাই বেশিই!
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পূর্তির দিনে বামফ্রন্ট এবং তৃণমূল এর আগে এত কাছাকাছি সমাবেশ কবে মনে করেছে তা-ও মনে করতে পারছেন না পুলিশ কর্তারা। লালবাজার সূত্রের খবর, বেলা ১টায় যুব তৃণমূলের সমাবেশ শুরুর আধ ঘণ্টা আগেই দমদম বিমানবন্দরে নামছেন রাষ্ট্রপতি। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রেসকোর্স পৌঁছবেন তিনি। বেলা ১টায় বিধানসভার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। বিধানসভা থেকে দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ বেরিয়ে রাষ্ট্রপতি ফের রেসকোর্সে যাবেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তাঁর সিউড়ি যাওয়ার কথা।
|
পুলিশ জানায়, মিছিল করে সমাবেশে যোগ দিতে আসার জন্য জওহরলাল নেহরু রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, মহাত্মা গাঁধী রোড, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, মেয়ো রোড, রেড রোডে যান চলাচল সাময়িক ভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, যুব তৃণমূলের সমাবেশে যোগদানকারী সকলকেই মেয়ো রোড ধরে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে পৌঁছতে হবে। সমাবেশের মিছিল উত্তর বা দক্ষিণ যে দিক দিয়েই আসুক না কেন, সকলকেই মেয়ো রোড ধরতে অনুরোধ করবে ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার থেকেই মেয়ো রোডের একাংশ জুড়ে মঞ্চ তৈরি হয়েছে। সেই কারণে ওই রাস্তা দিয়ে এ দিন যান চলাচল হয়েছে শ্লথ গতিতে।
বামফ্রন্টের সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা বিকেল চারটেয়। বামেদের মিছিলে যোগদানকারীদের ডোরিনা ক্রসিং হয়ে ময়দান মার্কেটের পিছনে রাস্তা দিয়ে শহিদ মিনারে পৌঁছতে হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বামফ্রন্টের সমাবেশে যাঁরা যোগ দিতে আসবেন, তাঁদের অনেকেই রামলীলা ময়দান, হাজরা পার্ক, ধর্মতলা থেকে মিছিল করে শহিদ মিনারে পৌঁছবেন।
পুলিশের আশঙ্কা, শাসক ও বিরোধী দলদু’য়ের সমাবেশেই কলকাতা ও তার লাগোয়া জেলাগুলি থেকে অসংখ্য মানুষ জড়ো হবেন। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে নেমেও অনেকে। হাওড়া স্টেশন থেকে শহিদ মিনারে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য স্ট্র্যান্ড রোড ও রেড রোডের একাংশ খুলে রাখা হবে। পুলিশের দাবি, রাষ্ট্রপতি সফর বা দুই সমাবেশের জন্য কোনও রাস্তাই একেবারে বন্ধ করা হবে না। তবে মিছিল যত ক্ষণ ধরে গুরুত্বপূর্ণ কোনও রাস্তা পেরোবে, তত ক্ষণ সেই রাস্তায় যান চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হতে পারে।
|