ফের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলিউড তারকা সলমন খানকে। ২০০২ সালে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে ঘুমন্ত এক ফুটপাথবাসীকে পিষে মারার অভিযোগ রয়েছে সলমনের বিরুদ্ধে।
গত জুলাই মাসেই তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চার্জ গঠন করে মুম্বইয়ের আদালত। সেই চার্জের সূত্রেই পুনর্বিচারের আবেদন জানিয়েছিলেন সলমন নিজে। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ আনা হয় জুলাইয়ে। তিনি আদালতে বলেন, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগের তুলনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ অনেক বেশি গুরুতর। তাতে ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। তাই সলমন চেয়েছিলেন, যে হেতু অভিযোগের মাত্রা আরও বেড়েছে, সে ক্ষেত্রে ফের নতুন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হোক।
মুম্বইয়ে দায়রা আদালতের বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপাণ্ডে জানান, সলমনের আবেদনের ভিত্তিতে ওই মামলার সব প্রমাণ ফের খতিয়ে দেখা হবে। সব সাক্ষীদেরও ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ফের শুনানি হবে ২৪ ডিসেম্বর।
২০০২ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি চালিয়ে ফেরার পথে বান্দ্রার এক বেকারির সামনের ফুটপাথে উঠে পড়ে সলমনের গাড়ি। বেপরোয়া সেই যান পিষে মারে এক ঘুমন্ত ফুটপাথবাসীকে। আহত হন আরও চার জন। এই ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেক দূর। মামলা ঘুরেছে এক আদালত থেকে অন্য আদালতে। এই ভাবে পার হয়ে গিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়।
তাই এ দিন বিচারক বলেছেন, এই মামলায় এমনিতেই বহু সময় অপচয় হয়েছে। এ বার পুনর্বিচারের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী রবীন্দ্র পাটিল, যিনি সলমনের তদানীন্তন দেহরক্ষী ছিলেন, ঘটনার দিন সলমনের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন বলে দাবি। পাটিল পুলিশকে বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, সে দিন তিনি সলমনকে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি না চালানোর জন্য বেশ কয়েক বার সতর্ক করেছিলেন। বলেছিলেন, এ ভাবে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সলমন তাতে কান দেননি।
পরবর্তীকালে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিচারের সময়ে সলমন নিজস্ব বিবৃতিতে পাটিলের বয়ান উড়িয়ে দেন। শুনানি চলাকালীন পাটিলের মৃত্যু হয়। তাই এ বার নতুন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে তাঁকে আর ডাকা সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে পাটিলের ওই পুরনো বিবৃতিই প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হবে। |