|
|
|
|
অসংগঠিত শ্রমিকদের পরিচয়পত্র দিল রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • মহম্মদবাজার |
খাদান ও পাথর কল শ্রমিকদের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে বৃহস্পতিবার শ্রম দফতরের আধিকারিকেরা এলাকায় গিয়ে অসংগঠিত শ্রমিকদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দিল।
পাথর খাদান ও পাথরকল শ্রমিককদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, নির্মাণকাজে যুক্ত শ্রমিকদের মতো সুযোগ সুবিধা তাঁদেরকেও দিতে হবে। রাজ্য সরকার সেই দাবি মতো গত ৬ সেপ্টেম্বর মহম্মদবাজার অডিটোরিয়াম হলে এলাকার পাথরশিল্পে যুক্ত বেশ কিছু অসংগঠিত শ্রমিককে পরিচয়পত্র তুলে দেয় এবং বিমার আওতায় নিয়ে আসে। ওই দিনই শ্রমদফতরকে এই ধরনের সেমিনার শিল্পাঞ্চলে গিয়ে করার দাবি জানায় বীরভূমের আদিবাসী গাঁওতা। জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার সৌম্যনীল সরকার বলেন, “বিষয়টি আমাদের ভাবনায় ছিল। সেই মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে মহম্মদবাজারের তালবাঁধে একটি সেমিনার করা হয়।” সেমিনারে উপস্থিত রাজ্য লেবার কমিশনার জাভেদ আখতার বলেন, “নির্মাণ শ্রমিকেরা যে সব সুবিধা পান, খাদান ও পাথরকল শ্রমিকদেরও একই সুবিধায় আনা হয়েছে। শ্রমিকদের পেনশন এবং শ্রমিক ও তাঁর পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যন্ত্রপাতি, সাইকেল, মহিলাদের মাতৃত্বকালীন সুবিধা দেওয়া হবে।” এ ছাড়াও কোনও শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেলে এক সঙ্গে দেড়লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য ও অক্ষমতা জনিত পেনশন-সহ নানান সুবিধার কথা উল্লেখ করেন ওই আধিকারিক।
পরিচয়পত্র পাওয়া তালবাঁধের সোনা মাড্ডি, সামসুতি মুর্মুরা বলেন, “এতদিনে মনে হচ্ছে আমরা সত্যিই কোথাও কাজ করি এবং আমাদেরও ভবিষ্যৎ আছে।” আদিবাসী গাঁওতা নেতা সুনীল সরেন বলেন, “দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হওয়ায় আমরা খুশি।” শ্রম দফতরের আধিকারিকেরা বলেন, “শ্রমিকদের যে পরিচয়পত্র দেওয়া হল, তাতে মালিক পক্ষের সই লাগবে। এর জন্য মালিক পক্ষকে অবশ্য কোনও অর্থ দিতে দিতে হবে না।” পাথর শিল্পে যুক্ত যে সব পাথর পরিবহণ শ্রমিক রয়েছেন, তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় পড়ছেন না। সরকার তাঁদের জন্য অনুরূপ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। |
|
|
|
|
|