অস্ত্রোপচারে ফুসফুস থেকে বেরোল বাঁশি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অসাবধানতায় গলা দিয়ে ফুসফুসে চলে যাওয়া বাঁশি বেরোল অস্ত্রোপচারে। দেড় ইঞ্চির বাঁশিটি বাজানোর সময় গলা দিয়ে তা ঢুকে গিয়েছিল ১৩ বছরের কিশোর রাজ দেবের শ্বাসনালির পথে। ১৯ দিন আগে বাঁশিটি ফুসফুসের ‘ব্রঙ্কাস’-এ চলে যায়। তাতে ফুসফুসে সংক্রমণ শুরু হয়। বুধবার শিলিগুড়ি হাসপাতালের চিকিত্সক রাধেশ্যাম মাহাতো অস্ত্রোপচার করে ওই বাঁশিটি বার করেন। রাধেশ্যামবাবু জানান, বাঁশিটি কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে সেটি জানাই প্রথমে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বলে, “এক্স-রে-তে তা ধরা যাচ্ছিল না। পরে সিটিস্ক্যান করে তা জানা যায়। এ দিন অপারেশন থিয়েটারে ওই কিশোরকে অজ্ঞান করে ব্রঙ্কস্কোপ-এর সাহায্যে বার করা হয় বাঁশিটি।” কোচবিহারের বক্সিরহাটের বাসিন্দা রাজের পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল নয়। বাঁশি শ্বাসনালিতে ঢুকে গেলে পরিজনেরা তাকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে নিয়ে যান। পরিকাঠামো না থাকায় সেখানে চিকিত্সক তা বার করতে পারেননি। বাইরে স্থানীয় চিকিত্সকের চেম্বারে দেখিয়েও লাভ হয়নি। পরে পরিচিতদের পরামর্শে তাঁরা রাজকে নিয়ে শিলিগুড়িতে আসেন রাধেশ্যামবাবুর চেম্বারে। বাঁশিটি ব্রঙ্কাসে ঢুকে থাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল বলে জানান রাধেশ্যামবাবু। তিনি বলেন, “রাজের বয়স ১৩ বছর বলেই এতদিন সহ্য করে থাকতে পেরেছিল। শিশুদের এই সমস্যা হয়ে আরও মুশকিল হয়। তবে রাজের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কখনও শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে বাঁশির আওয়াজও পাওয়া যাচ্ছিল। এ দিন ওই বাঁশিটি বার করা সম্ভব হয়েছে। রাজ-ও ভাল রয়েছে।” এ দিন অ্যানাস্থেসিস্ট হিসাবে রাধেশ্যামবাবুকে সাহায্য করেন হাসপাতালের চিকিত্সক সুধীন দাস।
|
হৃদরোগ নিয়ে আলোচনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
এখন আর বয়সের উপর নির্ভর করে না হৃদরোগ। আধুনিক জীবন যাপনের ধরণে কম বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হৃদরোগের সংখ্যা। বুধবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাংবাদিক সম্মেলেন চিকিৎসক ভিকেজি রাজশেখর এমনটাই জানালেন। তিনি আরও জানান, ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, ধূমপান, স্ট্রেস প্রভৃতি নানা কারণে শরীরে কোলেস্টেরল জমছে ও হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
|
বিশ্ব এড্স দিবস উপলক্ষে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে বুধবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহকুমা সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর। এড্স আক্রান্ত শিশু ও তার বাবা-মায়েদের নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ-সভাধিপতি শৈবাল লাহিড়ি, মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিশ্বজিত্ মাহাতো, ক্যানিং হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার প্রমুখ। এ দিন সকালে এডস নিয়ে সচেতনতায় একটি মিছিলও বের করা হয়। পরে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, গান এবং আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করে ৪২ জন এড্স আক্রান্ত শিশু। |