|
জিতল মহানন্দা, আজ
ফাইনালে সামনে উল্কা
সংগ্রাম সিংহ রায় • শিলিগুড়ি |
|
‘দাদাগিরি’র ম্যাচে জিতল মহানন্দা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ম্যাচ জুড়ে অগোছালো ফুটবলের নমুনা রেখে টাইব্রেকারে খেলার ফল ২-১।
দু’পক্ষের লড়াকু মনোভাব অনেক সময়ই সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় খেলার গতি আটকে দিচ্ছিল। স্বভাবতই কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হয় রেফারিকে। ম্যাচে আধিপত্য বজায় রাখলেও ফিনিশিংয়ের অভাবেই ডুবল জিটিএস। খেলার শেষ মুহূর্তে গোল করলেও ম্যাচ জুড়ে দৌড়ে বেড়ানো ছাড়া রঘু নন্দীর ছেলেরা কিছুই করে উঠতে পারেনি। ফাইনালে এমন খেললে উল্কার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হবে।
জিটিএস এগিয়ে থেকে আত্মতুষ্টিতে ভুগে বিপক্ষকে একটাই সুযোগ করে দেয়। আর তা থেকেই গোল করে সমতা ফেরায় মহানন্দা। প্রায় জেতা ম্যাচ শেষ মুহূর্তে হাতছাড়া হওয়ায় মনোবল ভেঙে যায় জিটিএসের। তাই হয়তো টাইব্রেকারে ঠিক মতো শটই মারতে পারলেন না জিটিএসের খেলোয়াড়রা। হেরে গিয়ে দৃশ্যতই হতাশ জিটিএসের কোচ জয়ব্রত ঘোষ। বললেন, “উইংকে ব্যবহার করতে বলেছিলাম, পারেনি। ইনজুরি টাইমে খেলার গতি কমাতে বললাম, তাও বুঝল না ছেলেরা।” অন্যদিকে মহানন্দার কোচ রঘু নন্দী জিতেও রেফারিংকে দুষলেন। তিনি বলেন, “এমন রেফারিংয়ে খেলা যায় না। ভাগ্যের জোরে জিতে গেলাম।”
আগের ম্যাচ জিতে জিটিএস কোচ খেলায় গতি আনতে হবে বলেছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে এ দিন দলে একাধিক পরিবর্তন করেন। গত ম্যাচে খেলা দুই বিদেশি ও স্থানীয় দুই খেলোয়াড়কে বসিয়ে এদিন নতুন করে আক্রমণ সাজান। তার ফলও পান হাতেনাতেই। খেলার পাঁচ মিনিটেই বক্সে ফাউল করে বসেন মহানন্দার এক ডিফেন্ডার। রেফারি ন্যায্য পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন জিটিএসের নাইজেরিয় স্ট্রাইকার ওরক। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। দ্বিতী।য়ার্দে তেড়েফুঁড়ে খেলার চেষ্টা করে মহানন্দা। মিনিট দশেক গোল না পেয়ে তারা খেলা থেকে ক্রমশ হারিয়ে যায়। এরপরেই শেষ ২৫ মিনিটে দু’পক্ষই গা জোয়ারি ফুটবল খেলা শুরু করে। দু’পক্ষকেই থামাতে রেফারি একাধিকবার হলুদ কার্ড দেখাতে বাধ্য হন। খেলা শেষের এক মিনিট আগে ইনজুরি টাইমে গোলরক্ষকের ডান দিক দিয়ে বার ঘেঁষা শটে গোল করে মহানন্দার উজ্জ্বল হাওলাদার সমতা ফেরায়। সেখানেই মনোবল ভেঙে যায় জিটিএসের। না হলে ৫টির মধ্যে ৪টি শটই বাইরে যায়! গোলরক্ষকের হাতে যায়? আজ, বুধবার ফাইনালে মহানন্দার মুখোমুখি শিলিগুড়ি উল্কা ক্লাব। |