কাজিরাঙা থেকে বের হয়ে মাজুলি অবধি পৌঁছে গিয়েছে একটি গন্ডার। গন্ডারটিকে মারতে আজ ভোরে চোরাশিকারিদের একটি দল মাজুলির মন্দির চাপোড়ি এলাকার বরুয়াচুকে হানা দেয়। অন্য দিকে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বনরক্ষীদের একটি দলও গন্ডারটিকে পাহার দিচ্ছে। শিকারিরা গন্ডারটি মারতে গুলি চালালে শিকারি ও বনরক্ষীদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। পরে শিকারির দল নৌকায় লখিমপুরের দিকে পালায়। কাজিরাঙার কোহরা রেঞ্জ থেকে বের হয়ে একটি শাবক-সহ একটি স্ত্রী গন্ডার কার্বি পাহাড়ের এক গ্রামে ঢুকে পড়ে। প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায়, শূন্যে বহু গুলি ছুড়ে বনরক্ষীরা গন্ডারটিকে জাতীয় উদ্যানের ভিতরে পাঠিয়েছে। এ ছাড়াও, ওরাং জাতীয় উদ্যানে অন্তত ৩টি গন্ডার হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল রশিদ নামে এক শিকারিকে ধরতে ২০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। রশিদ লাগোয়া রাঙাগোড়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে সে সপরিবার ফেরার। রশিদের ছবি-সহ পোস্টার বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্রতম এই জাতীয় উদ্যানে ৩ নভেম্বর একটি ও ১০ নভেম্বর মা ও শাবক গন্ডারকে হত্যা করেছিল রশিদ। শনিবার একটি রাইফেল-সহ ওরাং জাতীয় উদ্যানে হানা দেওয়ার সময় বনরক্ষীরা তিন শিকারিকে গ্রেফতার করে। তারাই রশিদের কথা জানায়। তাদের দাবি, রশিদ ও নাগাল্যান্ডের এক নিশানাবাজ মিলে তিনটি গন্ডার মেরেছে।
|
যখন তখন ডাল ভেঙে পড়ে ক্ষতি হচ্ছে ঘরবাড়ির, আহতও হচ্ছেন অনেকে, এমনই অভিযোগ তুলে কালনা আদালত চত্বরের শুকনো শিরিষ গাছ কেটে ফেলার দাবি তুললেন আইনজীবী ও নিত্য নানা প্রয়োজনে আদালতে আসা মানুষেরা। আইনজীবীদের দাবি, বছর খানেক আগে থেকেই গাছটি শুকোতে শুরু করেছিল। এখন তো হনুমান, শঙ্খচিল এসে বসলেই ডাল ভেঙে পড়ে। তাঁদের আশঙ্কা, এ থেকে প্রত্যেক দিন আদালতে নানা কাজে আসা লোকজনের বিপদ হতে পারে। এছাড়া আদালত চত্বরে বেশ কিছু দোকানপাট ও সেরেস্তাও রয়েছে। ক্ষতি হতে পারে সেগুলিরও। দেড় মাস আগে আহমেদ শেখ নামে এক আইনজীবীর সেরেস্তায় ডাল ভেঙে পড়ে ঘরটির ক্ষতি হয় বলেও জানা গিয়েছে। সোমবারও ভেঙে পড়া একটি ডাল থেকে রক্ষা পান আদালতে আসা কয়েকজন। মঙ্গলবার আদালতে আসা আরশেদ শেখ বলেন, “শুকনো গাছটিকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকেরই মনে হচ্ছে, এই বুঝি ভেঙে পড়ল।” কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠি বলেন, “গাছটি যাতে কেটে ফেলার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
বাইসনের গুঁতোয় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকে ইনডং চা বাগানে। মৃতের নাম মংরা মুন্ডা (৪৮)। তিনি ইনডং-এর রাম লাইনের বাসিন্দা। এ দিন ভোরে প্রাতঃকৃত্য করার সময়ে বাইসন তাঁর উপর হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। মাথায় এবং পেটে গুরুতর আঘাত লাগায় মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। লাগোয়া চাপরামারির জঙ্গল থেকে মূর্তি নদী টপকে বাইসনটি বাগানে ঢুকে পড়েছিল বলে বনকর্মীদের অনুমান। মৃতের পরিবারকে মঙ্গলবারেই ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
|
নদীতে মাছ ধরার সময়ে বাঘে টেনে নিয়ে গেল এক মৎস্যজীবীকে। জখম হয়েছেন আরও এক মৎস্যজীবী। গোসাবার পিরখালি-৭ জঙ্গল লাগোয়া ন’বাঁকি নদীতে মঙ্গলবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে। বন দফতর সূত্রের খবর,বাসন্তীর বালিখালের বাসিন্দা ৫ জন মৎস্যজীবীর একটি দল এ দিন সকালে ওই নদীতে মাছ-কাঁকড়া ধরতে যান। মাছ ধরার সময় অতর্কিতে বাঘ বেরিয়ে প্রথমে খগেন মণ্ডল নামে এক মৎস্যজীবীকে আক্রমণ করে। অন্যরা কোনওরকমে খগেনকে ছাড়াতে পারলেও অসিধর মণ্ডল নামে বছর বিয়াল্লিশের আর এক মৎস্যজীবীকে বাঘ তুলে নিয়ে যায়। খগেনবাবুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোসাবার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর সৌমিত্র দাশগুপ্ত বলেন, “ওই মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার বৈধ অনুমতিপত্র ছিল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
জঙ্গলমহলে কাঠ পাচার চক্র এখনও সক্রিয়। এ বার তারই প্রমাণ মিলল মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ার খড়িকাশুলিতে। সোমবার বিকেলে এখান থেকে উদ্ধার হয় ২৩৮টি কাঠের পিস। যেগুলো ওই দিনই গাছ থেকে কাটা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের একটা বড় এলাকা জুড়ে রয়েছে জঙ্গলমহল। অশান্তির জেরে একটা সময় এখানে প্রচুর গাছ কাটা পড়ে। জঙ্গলে শাল, ইউক্যালিপটাস প্রভৃতি গাছের সংখ্যা কমেছে। সবুজ ধ্বংস হয়েছে। আগের পরিস্থিতি না- থাকলেও এখনও গাছ কেটে কাঠ পাচার চলছে। গাছ কাটার খবর পেয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মেদিনীপুরের (সদর) ঋত্বিক হাজরা। ঘটনাস্থল থেকে ২৩৮টি কাঠের পিস উদ্ধার হয়। কাঠগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সবই শাল কাঠ। কোনও দুষ্টচক্রের যোগ রয়েছে কি না, তদন্তে নেমে তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তারকনাথ বেরা বলেন, “কাঠগুলো উদ্ধার হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |