স্বামীকে খুনের অভিযোগে বধূ ও তাঁর দেওরের ১৪ দিন জেল হাজত হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃত চায়না লেট ও অযতন লেটকে রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। ঘটনাটি মাড়গ্রাম থানার কালুহা গ্রামের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর সকালে কালুহা গ্রামের বাড়ি থেকে শিশির লেটের (৪৮) অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। শিশিরবাবুর ভাই অসীম লেট বৌদি চায়না লেট ও খুড়তুতো ভাই অযতন লেটের বিরুদ্ধে দাদাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, অযতনের সঙ্গে চায়নার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত। ২৫ নভেম্বর রাতে তাঁদের মধ্যে ফের ঝামেলা বাধে। তখন চায়না এবং খুড়তুতো দেওর অযতন শ্বাসরোধ করে শিশিরবাবুকে খুন করে। দেহটি শোয়ার ঘরের সামনে ফেলে রেখে দেয় তারা। দেহে কোনও ক্ষতচিহ্ন না থাকলেও কান দিয়ে রক্ত ক্ষরণের চিহ্ন ছিল। তাতেই পরিবারের অন্য সদস্যদের সন্দেহ হয় শিশিরবাবুকে খুন করা হয়েছে। নিহতের ১৪ বছরের ছেলেকে পুলিশ জেরা করে আরও কিছু তথ্য জানতে পারে এবং ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের প্রমাণ পায়।
|
তৃণমূল পরিচালিত সাঁইথিয়ার হাতড়া পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির সামনে সোমবার রাতে কে বা কারা বোমাবাজি করে। দক্ষিণ বনগ্রামের ঘটনা। পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ বিত্তার অভিযোগ, “রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ৩-৪ জন অপরিচিত লোক আমার বাড়ির সামনে দু’টি বোমা ফাটায়। অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ করে। লোকজন জড়ো হওয়ায় ওরা পালিয়ে যায়। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে।” সিপিএমের সাঁইথিয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক জুরান বাগদি বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে সিপিএম জড়িত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।” পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
সময় মতো রান্নার গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বারে বারে জানিয়েও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। তাই ক্ষোভে মঙ্গলবার গ্রাহকদের একাংশ আমোদপুর হাটতলা এলাকার কাছে সিউড়ি-লাভপুর রাস্তা অবরোধ করেন। আমোদপুরের গ্যাসডিলার শুভময় সেন বলেন, “দুর্গাপুর থেকে চাহিদা মতো গ্যাস পাচ্ছি না। আমাদের এখানে মাসে ১২ গাড়ি করে গ্যাস দরকার। সেখানে পাচ্ছি ৭-৮ গাড়ি। সমস্যা মেটাতে দুর্গাপুরে কথা বলব।” |