দুমাদ্দুম লাথি মারব প্রতিষ্ঠার মুখে,
বলব;কবি তুই দুঃখী হ,
দুঃখে আছে জনসাধারণ।
তাঁর মতো প্রতিভারাই হয়তো এমন ভাবে অস্বীকার করতে পারেন যে কোনও প্রতিষ্ঠানকে। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম ‘গণহত্যা’র পরে তিনি-ই তো প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার। যা তিনি পেয়েছিলেন সুদূর ১৯৯৮ সালে। তিনি, রাঢ়বঙ্গের কবি নির্মল হালদার। রবিবার সকালে সিউড়ির জেলাপরিষদ সভাকক্ষে প্রকাশিত হল তাঁর কবিতা সংগ্রহের প্রথম খণ্ড। নির্মল হালদারের ‘কবিতা সংগ্রহ ১’ প্রকাশের ভার নিয়েছিল জেলারই পরিচিত লিটল ম্যাগাজিন ‘আহ্বান’। ওই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার চেনা অচেনা বহু কবিই। |
অনুষ্ঠানে কবিতা নিয়ে বেশ খানিক ক্ষণ নিখাদ আড্ডাও হয়। সেখানে নির্মলবাবুর কবিতা নিয়েও আলোচনা হয়। এ যাবত তাঁর ২৫টি কাব্যগ্রন্থ, দু’টি গদ্যগ্রন্থ এবং দু’টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা অকাদেমি পুরস্কারের আগে ১৯৯০ সালে তিনি ‘বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার’ও পেয়েছিলেন।
এই পোড়া শহরে তিনিই তো বন্ধুদের ডেকে শোনান—
“আমি আমার মনের মৃতদেহ নিয়ে
এই শহরের রোদ পোহাই।
বন্ধুদের ডেকে বলি,
আমার জীবনে রোজ রবিবার
বাবুমশাই, আমি নির্মল হালদার।”
|
‘শনিবার’ নাটকের একটি দৃশ্য।—নিজস্ব চিত্র। |
দর্শকদের অনুরোধে দু’টি নাটক ফের মঞ্চস্থ হল ‘বাদল উৎসবে’। গত পয়লা বৈশাখ থেকে ‘বীরভূম আনন’ নাট্যসংস্থা প্রসেনিয়াম থিয়েটারের আঙ্গিকে এই উৎসব শুরু করেছে। দু’ মাস অন্তর বিশিষ্ট নাট্যকার বাদল সরকারের নাটক তাঁরা মঞ্চস্থ করছেন। শনি ও রবিবার সন্ধ্যায় সিউড়ির শ্রীরামকৃষ্ণ সভাগৃহে ওই উৎসবেই মঞ্চস্থ হল ‘শনিবার’ ও ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ নাটকটি। ‘বাদল উৎসবে’র যাত্রাই শুরু হয়েছিল ‘শনিবার’ নাটক দিয়ে। ১৯৫৯ সালে দিবাস্বপ্ন নিয়ে লেখা বাদল সরকারের লেখা ওই নাটক শনিবার ফের মুগ্ধ করল সিউড়ির দর্শকদের। শনিবার সন্ধ্যায় মাত্র ৪৫ মিনিটের ওই নাটক দেখার জন্য দর্শকদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। আগের মাসে ওই উৎসবে ‘সারা রাত্তির’ নাটকটি একই দিনে পরপর দু’ বার মঞ্চস্থ হয়েছিল। নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার তথা পরিচালক বাবুন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত বাদল সরকারের মোট চারটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপিলের মধ্যে আরও দু’টি নাটক দিয়ে উৎসব শেষ হবে। |