টুকরো খবর
মরা মাছ সাগরদিঘিতে
ফের মরা মাছ ভেসে উঠল জলের উপরে। এ বার কোচবিহারের সাগরদিঘিতে মিলল প্রচুর মরা মাছ। বেশির ভাগই পোনা ও ছোট মাছ। তবে জেলা মৎস্য দফতর জানিয়েছে, সাগরদিঘিতে জলে বিষ দেওয়ার তেমন প্রমাণ মেলেনি। মৃত মাছ ও জলের নমুনা পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, দূষণের জন্যই জলের অম্লত্ব স্বাভাবিকের থেকে বেড়ে গিয়েছিল। তাই ‘পচারোগে’ মাছের মড়ক শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সাগরদিঘি জেলা মৎস্য দফতরের মালিকাধীন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দিঘিটি একটি সংস্থাকে মাছ চাষের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছিল। মৎস্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “মাছ চাষের সময় নিয়ম মেনে জল শোধনে চুনের প্রয়োগ করা না হলে ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ প্রবণতা বেড়ে যায়। তার উপর দূষণের সমস্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে পচারোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।” পরিবেশবিদদের অভিযোগ, শুক্রবার থেকেই দিঘিতে মরা মাছ পাওয়া যাচ্ছে দেখেও প্রশাসন উদাসীন ছিল। রবিবার ফের সাগরদিঘিতে মৃত মাছ ভেসে ওঠে। অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ না করায় দিনভর সেই মৃত মাছ সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন অনেকেই। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “মৎস্য দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ওই মাছ যাতে কেউ না খায়, সে বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হবে।’’

গ্যালিফ স্ট্রিটে ফের উদ্ধার নিষিদ্ধ পাখি
ফের গ্যালিফ স্ট্রিট থেকে আটক হল ৪৭টি নিষিদ্ধ পাখি। বন দফতর সূত্রের খবর, রবিবার পাখির বাজারে হানা দিয়ে আটক করা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ওই ভারতীয় পাখিগুলি। যার মধ্যে রয়েছে ২২টি মুনিয়া, ২৩টি টিয়া এবং একটি করে পাহাড়ি মুনিয়া এবং বসন্তবৌরী। ভারতীয় পাখি কেনাবেচার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকেই তিন পাখি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে বন দফতর। ধৃতদের আজ সোমবার আদালতে তোলা হবে। গত রবিবারেও একই জায়গা থেকে আটক করা হয় প্রায় ১২টি প্রজাতির পাখি। অন্য দিকে, শুক্রবার বন দফতরের অফিসারেরা গড়িয়ার বোড়াল থেকে আটক করেন প্রায় ৩৪টি ভারতীয় পাখি। বন দফতর সূত্রের জানা গিয়েছে, খবর পেয়েই রবিবার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন শাখার বিশেষ দল পাঁচটি ভাগে ভাগ হয়ে গ্যালিফ স্ট্রিটে হানা দেয়। ওই দলের এক অফিসার জানান, প্রতিটি দলে চার জন করে অফিসার ছিলেন। হানা দেওয়ার পরে বেশ কয়েক জন পালালেও ঘটনাস্থল থেকে তিন পাখি বিক্রেতাকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৪৭টি বিভিন্ন প্রজাতির ভারতীয় পাখি।

ভালুক-ছানার মৃত্যু
কুমারগ্রামের চা বাগানে নালা থেকে উদ্ধার ভালুক শাবকের মৃত্যু হল। শনিবার রাতে। বিকেলেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগে বনাঞ্চল সংলগ্ন কুমারগ্রাম চা বাগানের নালা থেকে বনকর্মীরা সেটিকে উদ্ধার করেন। অসুস্থ এবং জখম শাবকটিকে চিকিৎসার জন্য রাজাভাতখাওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি বলেন, “শরীরে পুরনো ক্ষতয় সংক্রমণ হয়েছিল। চিকিৎসা শুরু করা হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”

হাতির হামলায় হত
বুনো হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক মহিলার। তাঁর স্বামী এবং ননদও জখম হয়েছেন। আজ ভোরে ঢেঙ্কানলের জোরাণ্ডা এলাকার জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটে। বন বিভাগ সূত্রের খবর, ওই মহিলার নাম বীণা জেনা (৫২)। আজ ভোরে তাঁরা জঙ্গলের পাশে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তখনই একটি বুনো হাতি হামলা চালায়। ওই ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর, একই হাতির আক্রমণে আহত হন এক কৃষক।

ঘাটালে এল পরিযায়ী
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
এ বার ঘাটালে এল পরিযায়ী সরাল হাঁসের দল। ভাল নাম ‘লেসার হুইসলিং টিল’। ঘাটাল শহর সংলগ্ন মনোহরপুর-২ পঞ্চায়েতের হরিসংহপুরে পার্কের ঝিলে গত ক’দিন ধরেই ডানা ঝাপটাচ্ছে এরা। দেখতে ছোট হাঁসের মতো। গায়ের রং ধূসর-বাদামি। মূলত ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই পরিযায়ীর দল নভেম্বরের গোড়ায় আসে সাঁতরাগাছি, সুন্দরবন, রায়গঞ্জের কুলিকের মতো এলাকাগুলিতে। বন দফতরের ডিএফও (খড়্গপুর) অঞ্জন গুহ বলেন, “এই পাখির উপস্থিতি দূষণমুক্ত বাস্তুতন্ত্রের পরিচয় বহন করে। এরা জল-জঙ্গল ঘেঁষা প্রকৃতির বুকে থাকতে ভালবাসে। ঘাটালে এর আগে কখনও আসেনি। চলতি সপ্তাহেই আমরা ওই ঝিলে যাব। যাতে ফি বছরই আসে পরিযায়ীরা, তার জন্য ঝিলটিকে সাজিয়ে তুলব।” প্রসঙ্গত, ঘাটাল শহর থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে প্রায় ১৫ একর জমির উপর পার্কটি সত্যিই মনোরম।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.