|
|
|
|
পর্যটন, চা শিল্প নিয়ে উদ্বেগ |
ডুয়ার্সের নদী রক্ষায় উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর গতি আটকে কোথাও নির্মাণ কাজ চলছে। কোথাও ঝোরার মুখ ঘুরিয়ে বাগানে জল দেওয়া হচ্ছে। রবিবার তুড়িবাড়ি, ডামডিম, ওদলাবাড়ি এবং লাটাগুড়ির নানা এলাকায় ঘুরে এমনই অভিযোগ করলেন পরিবেশ আন্দোলনে অন্যতম ব্যক্তিত্ব সুভাষ দত্ত। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে তিনি জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালে দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান সুভাষবাবু। যদিও পাহাড়ি ঝোরা বা নদীর পথ আটকে সেই জল সেচে ব্যবহারের বিষয়টি তাঁদের জানা নেই বলে এ দিন চা বাগান মালিকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
কলকাতা থেকে এসে রবিবার সকাল থেকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জনপদ আর বাগানে ঘুরে দেখেন সুভাষবাবু। প্রথমে ওদলাবাড়ি লাগোয়া তুড়িবাড়ির লেইতি নদীর খাতের পাশে যন্ত্র বসিয়ে পাথর ভাঙার ছবি তুলে নেন তিনি। এর পরে ডুয়ার্সের কয়েকটি চা বাগান ঘুরে দেখেন। পাহাড়ি ঝোরার জল পাথরের বাঁধ দিয়ে আটকে পুকুর তৈরি করে, পাম্প ঘর বানিয়ে শীতে চা গাছে জল দেওয়ার ব্যবস্থা দেখে ঝোরাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। উত্তরবঙ্গ তথা ডুয়ার্সে নদী ও নদী উপত্যকাকে বাঁচাতে কার্যকর আইন প্রণয়নে তিনি গ্রিন ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া এলাকায় নদীখাতের পাশেই রিসটর্র্ নির্মাণ করার ঘটনাও তিনি ক্যামেরা বন্দি করেছেন বলে দাবি করেছেন। লাটাগুড়ির নেওড়া নদীর বাঁধ লাগোয়া এলাকায় কয়েকটি রিসর্ট নির্মাণের চিহ্নিত করা জমি দেখে, ওই জমিতে নির্মাণ হলে নদীর নাব্যতায় প্রভাব পড়বেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। দিনের শেষে সুভাষবাবু বলেন, “চা এবং পর্যটন ডুয়ার্সের এই দুই স্তম্ভই বিপদসীমায় দাঁড়িয়ে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে দুই-ই বিপন্ন। নদী ও ঝোরাকে নিজের মত বয়ে যেতে না দিয়ে যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে। জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালে অভিযোগ জানাব।”
তবে ঝোরা বা নদীর গতি আটকে সেই জল চা সেচের কাজে ব্যবহার করার বিষয় মালিকদের সংগঠনগুলির জানা নেই বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান টি প্লানটেশন অ্যাসোসিয়েশন এর উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “অনুমোদন নিয়েই বাগানে গভীর নলকূপে মাধ্যমেই সেচের জল নেওয়া হয় বলেই জানি।” একই মত চা মালিক সংগঠন টিপার কর্ণধার উদয়ভানু দাসেরও। লাটাগুড়ি রিসোর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, “কোনও রিসর্ট নদীগর্ভের লাগোয়া এলাকায় হওয়া উচিত নয়। ডুয়ার্সের সুসংহত বিকাশের জন্যে কড়া আইন প্রণয়ন হলে তাকে স্বাগত জানাব।” |
|
|
|
|
|