টাটকা খবর
ছ’দিনের পুলিশি হেফাজত তেজপালের

যৌন নির্যাতন কাণ্ডে গ্রেফতার তরুণ তেজপালের ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। রবিবার বারোটা নাগাদ তাঁকে গোয়ার বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে পেশ করা হয়। এই নির্দেশের পর আদালতের বাইরে তরুণ তেজপালের আইনজীবী সন্দীপ কপূর জানান, বিচারক শ্যামা যোশীর কাছে পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করলেও ছ’দিনের সময়সীমা মেলায় তাঁরা সন্তুষ্ট।
ছুটির দিন হওয়ায় আদালতের ভিতর সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আদালত চত্বরে সাংবাদিক ও উত্সাহীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নীল শার্ট ও ব্লেজার পরিহিত তহেলকার প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক আজ বেশ নির্লিপ্ত মুখে পুলিশি প্রহরায় আদালতে প্রবেশ করেন। আদালতের বাইরে অপেক্ষারত নিজের দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা যায় তাঁকে। আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হলে শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে গোয়া পুলিশ।

রবিবারের সকাল থেকেই কর্মব্যস্ত ছিল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু— শিলিগুড়ির সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার, আইপিএস কারলিয়াপ্পন জয়রামন। অন্য রবিবারের থেকে সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের আজকের দিনটি ছিল একটু ব্যতিক্রম। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে কমিশনারেটের কনফারেন্স রুম-এ এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। বললেন, “আমি কোনও ভুল কাজ করিনি। আমার কোনও আক্ষেপ বা আফশোস নেই। যা করেছি ঠিক করেছি। আইন মেনে জনস্বার্থে যা করার করেছি। আমাদের রুটিন বদলি হয়। তবে এ বারেরটার মধ্যে একটি বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। কলকাতায় যাচ্ছি। নিজের বক্তব্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”

শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে জয়রামন। বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।
তবে রাজ্য ছাড়ার ভাবনাকে সরাসরি না হলেও একটু উসকে দিয়ে যান জয়রামন। তাঁর কথায়, “আমি বেঙ্গল ক্যাডারের আইপিএস। এই রাজ্যেই কাজ করতে চাই। তবে কেন্দ্রতেও কাজ করতে হয়। আগেও চেন্নাইতে করেছি। দরকার হলে যাব। আপাতত আমি কম্পালসরি ওয়েটিং-এ আছি। দেখা যাক কী হয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “শিলিগুড়ির মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক ভালবাসা পেয়েছি। চাকরি জীবনে আবার সুযোগ পেলে অবশ্যই শিলিগুড়ি আসতে চাই। আর বলতে চাই এসজেডিএ-র দুর্নীতির মামলায় কোনও দিন কেউ তদন্তে হস্তক্ষেপ করেননি। আমার আশা, তদন্তকারী অফিসারেরা মামলার কাজ সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
এর পরেই তিনি কমিশনারেট থেকে বাইরে বেরিয়ে গাড়িতে বসতেই পুলিশ লাইনে যা ঘটল তা ঘটেছিল ১৮ বছর আগে। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অরবিন্দ কুমার মালিয়ালের গাড়ি বিদায়বেলায় রশি দিয়ে বেঁধে টেনে ধরেছিলেন পুলিশ অফিসার, কনস্টেবলেরা। স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের এই প্রথার মানে, পছন্দের সাহেবকে যেতে দিতে চাই না। একই জিনিস ঘটল এ দিন। এতে খানিকটা বিব্রত জয়রামন এর পর হাত মিলিয়ে বার হয়ে গেলেন পিনটেল ভিলেজের দিকে। দিনভর শুয়ে বসে কাটালেন বাংলোয়। দেখাও করলেন কয়েকজন অফিসার, শহরের পরিচিতদের সঙ্গে। রাতে ট্রেন ধরে রওনা হয়ে গেলেন কলকাতার উদ্দেশে।

চন্দন কাঠ সমেত কলকাতা বিমনবন্দরে গ্রেফতার চিনা ব্যক্তি
চন্দন কাঠ সমেত কলকাতা বিমানবন্দরে ফের ধরা পড়লেন এক চিনা ব্যক্তি।
লিন জিয়াং গ্যাং নামে ধৃত এই ব্যক্তির বাড়ি চিনের ফুজিয়ান-এ। তাঁর কাছ থেকে প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম রক্ত-চন্দন বাজেয়াপ্ত করেন শুল্ক দফতরের অফিসারেরা। এ নিয়ে গত ১৫ দিনে দ্বিতীয় বার রক্তচন্দন কাঠ সমেত ধরা পড়লেন দ্বিতীয় চিনা ব্যক্তি। এর আগে ১৪ নভেম্বর প্রায় ৯৭ কিলোগ্রাম রক্তচন্দন কাঠ সমেত কলকাতায় ধরা পড়েছিলেন জিন মাও হুয়াং নামে অপর এক চিনা ব্যক্তি।
শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে জিয়াং কলকাতা থেকে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের উড়ানে কুনমিং যাচ্ছিলেন। শুল্ক অফিসারদের সন্দেহ হলে তল্লাশি শুরু করা হয়। জিয়াং-এর ব্যাগ থেকে প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম ওজনের রক্ত-চন্দন কাঠ পাওয়া যায়। যার বাজার দর প্রায় ৩০ হাজার টাকা বলে শুল্ক অফিসারেরা জানিয়েছেন। গ্রেফতারের পর তাঁকে আদালতে তোলা হলে তিনি অবশ্য জামিন পেয়ে যান। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, জামিন পাওয়ার পরে জিয়াং-এর চিনে ফেরার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না। ঠিক যে ভাবে জিন মাও হুয়াং জামিন পেয়ে ফিরে গিয়েছেন চিনে। যদিও মামলার স্বার্থে তাঁকে ফের কলকাতায় আসতে হবে।
নিজেকে রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছেন জিয়াং। জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে তিনি চিন থেকে এসে দিল্লি নামেন। তার পরে ভারতের বিভিন্ন শহরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জিয়াং জানিয়েছেন, তিনি এই চন্দন কাঠ কলকাতা থেকে জোগাড় করেছেন। কিন্তু, গত বার ধৃত চিনা ব্যক্তি মাও জানিয়েছিলেন তিনি চন্দন কাঠ নিয়েছিলেন দিল্লির এক ব্যক্তির কাছ থেকে। এ বার জিয়াং এসেছেন দিল্লি থেকে। সে কারণেই অফিসারদের সন্দেহ, চিন থেকেই চন্দন কাঠ জোগাড় করেছেন জিয়াং।

তৃণমূলের দাপট অব্যাহত বাম ব্যর্থতায়, বার্তা বুদ্ধের
রাজ্য সরকারের কাজকর্মে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে শাসক দল তৃণমূলের শক্তিক্ষয় হচ্ছে না। এর জন্য তাঁদের সাংগঠনিক ব্যর্থতাই দায়ী বলে রাজ্য কমিটির অন্দরে স্বীকার করে নিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যে রাজনৈতিক ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য সর্বত্র একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নকে সামনে রেখে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন বুদ্ধবাবু।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মতে, নানা অপকর্ম সত্ত্বেও রাজ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্য এখনও তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। এই অবস্থার বদল ঘটানোর জন্য বামেদেরই বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে। গ্রামাঞ্চলে কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের সমস্যা নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন করতে হবে। শহরাঞ্চলে গুরুত্ব দিতে হবে অসংগঠিত শ্রমিকদের ক্ষেত্রটিকে। তৃণমূলের দিকে পাল্লা ভারী থাকার পাশাপাশি রাজ্যের সর্বত্র যে একই রকম পরিস্থিতি নেই, সে কথাও রবিবার আলিমুদ্দিনে রাজ্য কমিটির বৈঠকে ব্যাখ্যা করেছেন বুদ্ধবাবু। তার জন্য উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করেছেন সদ্য অনুষ্ঠিত পাঁচটি পুরসভা ও ২৯টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনের ফলাফলকে।

ফের চুরি পাটুলিতে
শহরের উপকন্ঠে ফের চুরি। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে পাটুলির রবীন্দ্রপল্লিতে একটি বাড়ির তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার চুরি হয়। রবিবার সকালে পাটুলি থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে ওই বাড়ির সামনের গ্রিলের তালা ও পিছনের দরজা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। রবীন্দ্রপল্লির ওই বাড়ি থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা-সহ লক্ষাধিক টাকার সোনা ও রুপোর গয়না চুরি হয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পাটুলি থানার পুলিশ।

স্কুলপড়ুয়াদের গলায় দড়ির ফাঁস মত্ত শিক্ষকের
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পড়াতে গিয়ে ফাঁসির ‘প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস’ করলেন মত্ত শিক্ষক। বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমে হাতেকলমে পরীক্ষা করা যায়। এ বার ইতিহাস নিয়ে ‘ব্যবহারিক’ জ্ঞান দিতে গিয়ে এমনই কাণ্ড করলেন এক শিক্ষক। শোণিতপুর জেলার কঁকালভাঙি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধীরেন কাকতি ইতিহাস ‘বোঝাতে’ গিয়ে দড়ির ফাঁস দিলেন পড়ুয়াদের গলায়! স্বাধীনতা আন্দোলনের ‘ব্যঙ্গচিত্র’ নয়, বর্তমানের ঘটনা।
ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রায়ই মত্ত অবস্থায় স্কুলে যান ধীরেনবাবু। গতকালও তাই করেছিলেন। চতুর্থ শ্রেণিতে ইতিহাসের ক্লাস নিতে গিয়েছিলেন হাতে কয়েকটি দড়ি নিয়ে। শিক্ষকের হাতে দড়ি দেখে প্রথমে কৌতুহল ছিল ছাত্রছাত্রীদের। পরে তা বদলায় আতঙ্কে।
শ্রেণিকক্ষে ‘ফাঁসিকাণ্ড’ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে, ‘স্বাধীন ভারত’ বই থেকে অসমের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিষয়ে পড়াতে শুরু করেন ধীরেনবাবু। সেই প্রসঙ্গেই মণিরাম দেওয়ান, কুশল কূঁয়রের কথা ওঠে। ওই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ফাঁসি দিয়েছিল ইংরেজরা। সেই তথ্য জানানোর পর ধীরেনবাবু জানান, ফাঁসির ব্যবহারিক জ্ঞান দেওয়া হবে সকলকে। তার ব্যবস্থা করেই এসেছেন। একে একে ছাত্রছাত্রীদের ডেকে তাদের গলায় দড়ির ফাঁস দিতে থাকেন। বাকিদের শেখাতে থাকেন, কেমন করে ফাঁসি দিতে হয়!
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালায় ছাত্রছাত্রীরা। খবর পেয়ে অভিভাবকেরা স্কুলে পৌঁছন। তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। কিন্তু, ধীরেনবাবুর হেলদোল নেই। নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে জানান, তিনি কোনও ভুল করেননি। বিজ্ঞানে ব্যবহারিক শিক্ষা থাকলে ইতিহাসে কেন থাকবে না? ফাঁসি কী জিনিস তা চোখের সামনে না-দেখলে ছাত্রছাত্রীরা নেহাত পড়া মুখস্ত করেই বাড়ি চলে যাবে। তা হতে দেওয়া যায় না।

রাজস্থানে বিধানসভার ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে
রবিবার দিনের শেষে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ দিন ভোট পড়েছে ৭৪.৩৮ শতাংশ, যেখানে ২০০৮-এ ভোটের হার ছিল ৬৬.৪৯ শতাংশ। দু’শো আসনবিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভার একটি আসনে বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। ফলে ১৯৯টি আসনের জন্য লড়াই হয়েছে ২০৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে। কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে ক্ষমতাচ্যুত করে ফের কুর্সিতে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ফিরবেন কি না সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী ফল ঘোষণার দিন পর্যন্ত। রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এই ভোটযুদ্ধে কংগ্রেস ও বিজেপি দু’দলই দু’শো জন করে প্রার্থী দিয়েছিল। এ ছাড়া, বিএসপি ১৯৫, সিপিআইএম ৩৮, সিপিআই ২৩, এনসিপি ১৬, অন্যান্যদের ৬৬৬ জন ও নির্দলের ৭৫৮ জন প্রার্থী এই ভোটে লডে়ছে। নির্বাচনীকেন্দ্রে ভোটারদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে লক্ষাধিক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। রাজ্যের ৪৭২২৩টি পোলিং বুথের মধ্যে ১০৭৯৩টি বুথ স্পর্শকাতর ছিল বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শিলচরে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত চার
শিলচরে এক স্বর্ণ-ব্যবসায়ীর বাড়িতে তিন মহিলাকে বেঁধে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না লুঠ করল সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। পুলিশ জানায়, প্রায় এক কিলোগ্রাম সোনা-সহ ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মিনু আহমদ, ইকবাল আহমদ, রিয়াজউদ্দিন এবং আব্দুল বাসিত। গত রাতে করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দিতে তল্লাশি চালানো হয়। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে এক কিলোগ্রাম সোনার গয়না। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৬টি মোবাইল ফোন, ৩টি সিম এবং ১টি গাড়ি। ডাকাত দলের পাণ্ডা পলাতক।
কাছারের পুলিশ সুপার দিগন্ত বরা জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ স্বর্ণ-ব্যবসায়ী শিশির রায়ের বাড়িতে হামলা করে ডাকাতরা। শিশিরবাবুর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী, শাশুড়ি এবং শ্যালিকা। তখনই হানা দেয় জনা দশেক ডাকাত। তিন মহিলার হাত-পা বেঁধে আলমারি ভেঙে প্রচুর সোনার গয়না নিয়ে পালায় তারা।
ডাকাতির পিছনে ওই বাড়ির পরিচিত কারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ।

চোরাচালানে আটক জিনিসের সংগ্রহালয় গোয়ায়
তরুণ তেজপালকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে থাকলেও আরও একটি চমকপ্রদ কারণে গোয়ার নাম উঠে এল। দেশে এই প্রথম চোরাচালানকারীদের থেকে আটক জিনিস নিয়ে শুরু হতে চলেছে এক সংগ্রহালয়। উদ্যোক্তা ভারতীয় শুল্ক ও কেন্দ্রীয় আবগারি দফতর। ২০০৯ সালে তত্কালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় সংগ্রহালয়ের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করেছিলেন। কিছু দিনের মধ্যে শেষ হতে চলেছে এর দ্বিতীয় দফার কাজও। আগামী বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংগ্রহালয়ের উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন গোয়ার শুল্ক ও আবগারি দফতরের কমিশনার ভি পি সি রাও। এই সংগ্রহালয়ের ঠাঁই হয়েছে দু’শো বছর আগে পর্তুগিজদের তৈরি ঐতিহ্যময় ‘নীল বাড়ি’তে। কমিশনার রাও জানিয়েছেন, শুল্ক আধিকারিকদের ধোঁকা দিয়ে যে পদ্ধতিতে চোরাচালান করা হতো, তার একটি চিত্র মিলবে এখানে। জুতো, সাইকেলের টায়ার বা ছড়ির মধ্যে লুকিয়ে এ সব জিনিস পাচার করা হত বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সংগ্রহালয়ে রয়েছে আবুল ফজলের হাতে লেখা আইন-ই-আকবরি, যা পটনায় উদ্ধার হয়েছিল। এখানে বহুমূল্য পাথর, সোনা ও বিভিন্ন আমলের মুদ্রাও প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও, জাম্বালা দেবীর সোনায় মোড়া মূর্তি রয়েছে এখানে, যেটি নেপালে পাচার করার সময় উদ্ধার করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.