পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই ধুঁকছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র
ছর পঞ্চাশের এক মহিলাকে আত্মীয়েরা চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। তীব্র পেটের ব্যথায় রীতিমতো ছটফট করছিলেন ওই মহিলা। দ্রুত স্যালাইন দেওয়া দরকার। কিন্তু চিকিৎসক জানালেন, এখানে স্যালাইন নেই। নেই ওষুধও। আত্মীয়দের দৌড়তে হল বাইরে থেকে স্যালাইন, ওষুধ কিনতে। গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামের ফরতাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল এমনই।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে শুধু তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামই নয়, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে পাঁচ-ছ’টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নির্ভর করেন। পাশের খেয়াদহ, কামরাবাদ পঞ্চায়েত থেকেও রোগীরা আসেন। কাছে আর কোনও সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই।
বন্ধ অন্তর্বিভাগ ও প্রসবের ঘর। ছবি: সুব্রত রায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময় বহির্বিভাগের পাশাপাশি অন্তর্বিভাগেও রোগীর ভিড় লেগে থাকত। ব্রিটিশ আমলের শেষ দিকে তৈরি এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছিল ২৪ ঘণ্টার জরুরি বিভাগ, ২৪ শয্যা বিশিষ্ট অন্তর্বিভাগ, প্রসূতিবিভাগও। কিন্তু ২০০৪-’০৫-এ আচমকাই জরুরি বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। বাকি বিভাগগুলিও পর পর বন্ধ হতে থাকে। শুধু বহির্বিভাগ চালু থাকে। স্থানীয় ক্লাব এবং বাসিন্দারা সংগঠন তৈরি করে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের জেরে ২০০৭-এ ফের অন্তর্বিভাগ চালু হয়। কিন্তু শয্যাসংখ্যা কমিয়ে আনা হয় দশে। তবে ২০১০-এর পরে আবার অন্তর্বিভাগটি বন্ধ হয়ে যায়। এখনও বহির্বিভাগে রোগীর ভিড় লেগে থাকে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলে রাখার দাবিতে তৈরি সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলকেশ রায়, জয় কাঞ্জিলালের দাবি, ২০১২-তে স্বাস্থ্যভবন নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সকাল সাড়ে ন’টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বহির্বিভাগ খোলা রাখার কথা বলে। কিন্তু এখনও সকাল সাড়ে ন’টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্তই বহির্বিভাগ খোলা থাকে। চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা এক জন চিকিৎসক আর দু’জন নার্স বহির্বিভাগের দায়িত্বে আছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি শহরের মধ্যে পড়ে। তাই ‘আরবান হেলথ মিশন’-এর আওতায় এটির উন্নয়নের ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অসীম দাসমালাকার জানান, এলাকার বাসিন্দারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উন্নয়নের জন্য আবেদন করেছেন। এলাকার বিধায়ক ফিরদৌসি বেগমও স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উন্নয়নের জন্য অনুরোধ করেছেন। অসীমবাবু বলেন, “বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনে জানিয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই এটিকে সংস্কার করে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে।”

চিকিৎসা শিবির
বিনা খরচে দাঁতের পরীক্ষা শিবির আয়োজন করল হরিপুর খামখেয়ালি ক্লাব। শুক্রবার শিবিরটি হয়। চিকিৎসক রাজীব তিওয়ারি জানান, এ দিন ১৩৬ জনের দাঁত পরীক্ষা করা হয়। বিনা খরচে ওষুধও দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্যশিবির
একটি স্বাস্থ্য শিবির হয়ে গেল বাঁকুড়ার বড়জোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রতিবন্ধীদের স্কুল ‘আশার আলো’ ওই শিবিরের আয়োজন করে। স্কুলের শতাধিক ছাত্রছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.