টুকরো খবর
যৌন নিগ্রহ কাণ্ডে নাম জড়াল অশোকের
এক তরুণী কৌঁসুলির আনা যৌন হেনস্থার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য নথিভুক্ত করল তিন বিচারপতির কমিটি। শুক্রবারই প্রথম অভিযুক্ত প্রাক্তন বিচারপতির নাম প্রকাশ্যে এল। বিচারপতি আর এম লোঢার নেতৃত্বাধীন কমিটি এ ব্যাপারে তাদের রিপোর্ট বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে। অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অশোকবাবু। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই তরুণী অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর নেওয়া এক বিচারপতি তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর একটি হোটেলে ঘটনাটি ঘটে। তখন তিনি ইনটার্ন হিসেবে ওই প্রাক্তন বিচারপতির অধীনে কাজ করছিলেন। মহিলার ওই অভিযোগের পরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবম অভিযোগের তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেন। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই অভিযোগ শুনে আমি মর্মাহত। কর্মজীবনে অনেক ইনটার্নের সঙ্গে কাজ করেছি। ইনটার্নরা আমার সন্তানের মতো। আমি পরিস্থিতির শিকার। এই মুহূর্তে আমি কারও নাম করছি না। আমি কমিটিকেও জানিয়েছি, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন এবং ২০১২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালত থেকে অবসর নেন।

নির্মল গ্রাম প্রকল্পে টাকা নিয়ে তদন্ত চান মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যে বিগত সরকারের আমলে নির্মল গ্রাম প্রকল্পে কী কাজ হয়েছে, তার তদন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভায় গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বলতে গিয়ে ওই প্রকল্পের কথা তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তিনি বলেন, “টাকা কোথায় গেল! তদন্ত হওয়া উচিত।” সুব্রতবাবু পরে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের কথা বলেছেন। নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখব।” কেন্দ্রের পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক সারা দেশের গ্রামীণ এলাকায় সকলের জন্য শৌচালয় তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। টোটাল স্যানিটেশন স্কিম বা টিএসসি নামের সেই প্রকল্পে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যক্তি-মালিকের বাড়ি, স্কুল, অঙ্গনওয়াড়িতে শৌচালয় গড়ে দেওয়া হবে। বন্ধ করতে হবে উন্মুক্ত শৌচালয়। প্রকল্প রূপায়ণে উৎসাহ দিতে দেশ জুড়েই নির্মল গ্রাম পুরস্কার চালু করা হয় ২০০৩ সালে। সাফল্যের নিরিখে ২০০৫-এ প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয়। শুরু হয় সারা দেশের গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলাকে পুরস্কার দেওয়ার কাজ। পুরস্কারের টাকা কী ভাবে খরচ করা যাবে, তারও নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়, ২০১২ সাল থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে পুরস্কার দেবে রাজ্য। ব্লক ও জেলা পর্যায়ে পুরস্কার দেবে কেন্দ্র।

গ্রামে মাথাপিছু ৭০ লিটার জল
রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিদিন মাথাপিছু ৭০ লিটার পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। এতে খরচ হবে ২১ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। সেই লক্ষ্যে ‘ভিশন ২০২০’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিধানসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনগ্রসর এলাকা উন্নয়ন তহবিলের আওতায় বাঁকুড়ায় বৃহৎ জল প্রকল্প গড়া হচ্ছে ১০১১ কোটি টাকায়। জঙ্গলমহলে জল সরবরাহের প্রকল্পে খরচ হবে ১৪১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। সুব্রতবাবু বলেন, জাপানের সংস্থা জাইকা-র কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুরুলিয়ার ন’টি ব্লকে জল দিতে ১১৭৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভূপৃষ্ঠ জল প্রকল্প রূপায়ণে খরচ ১৩৩২ কোটি টাকা। সুন্দরবন, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় সৌরশক্তি পরিচালিত প্রকল্প গড়া হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, তাঁর দফতর পানীয় জলের আটটি বটলিং প্লান্ট গড়ছে। তার মধ্যে তিনটি উৎপাদন শুরু করেছে।

অসুস্থ নিরুপম
স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী তথা সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য নিরুপম সেন। শুক্রবার ভোর রাতে কলকাতার বাড়িতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর পরিবারের তরফ থেকে বিরোধী দলনেতা, চিকিৎসক সূর্যকান্ত মিশ্র ও দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সূর্যবাবুর পরামর্শেই নিরুপমবাবুকে ভর্তি করা হয় মল্লিকবাজারের একটি হাসপাতালে। সিপিএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁকে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.