|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
গভীরতর বিশ্লেষণ প্রয়োজন |
বইপোকা |
সার্ধশতবর্ষ যেমন রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে অনেক ডাস্টবিন উপচীয়মান করিয়া তুলিয়াছে তেমন রবীন্দ্রচর্চায় কিছু আশার আলোও জাগাইয়াছে। গত প্রায় এক শতাব্দী ধরিয়া রবীন্দ্রচর্চায় কাল কখনও অপ্রসন্ন হয় নাই, সুপবনও বহিতেছিল, কিন্তু এই সার্ধশতবর্ষ বিবিধ বিদ্যা ও ক্ষেত্রের মানুষজনকে রবীন্দ্রচর্চায় উৎসাহী করিয়াছে। ইহা বিশেষ আশার কথা। কারণ, ইতিহাসে এমন বহু বার দেখা গিয়াছে যে, তথাকথিত রবীন্দ্রসংস্কৃত মননের অধিকারীরা মূলত সাহিত্যের গণ্ডি হইতে রবীন্দ্রনাথকে দেখিয়া থাকেন। এবং, সেই দেখায় খারাপ কিছু না দেখিবার প্রবণতা এক রকমের প্রতিজ্ঞা হইয়া উঠে। ইদানীং চিত্রটি পাল্টাইতেছে। রবীন্দ্রনাথকে তাঁহার একান্ত ‘ঠাকুর’ পরিচয়টির বাহিরে কেহ কেহ বুঝিতে চাহিতেছেন। তেমনই একটি গ্রন্থ সঞ্জয় ঘোষের ডিপ্রেশনের রবীন্দ্রনাথ, ভ্যান গখের মিউজিয়াম এবং (পাঠক)। গ্রন্থের বেশির ভাগ প্রবন্ধ রবীন্দ্রনাথকে লইয়া। প্রথমটি রীতিমতো চমকপ্রদ। ঋষিপ্রতিম রবীন্দ্রনাথের অবসন্নতা! লেখক চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ হইতে বিষয়টি দেখিয়াছেন। লক্ষ করিয়াছেন নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির ঠিক পরেই, ১৯১৪-র মে মাস হইতে এই মানসিক অবসাদের প্রমাণ বারংবার আসিতেছে তাঁহার রচনায়। মৃত্যুর ছায়া পড়িতেছে কবির অন্তর্জীবনে। কিন্তু মুশকিল হইল, লেখক প্রসঙ্গগুলি ছুঁইয়া ছুঁইয়া সরিয়া গিয়াছেন। মানসিক অবসাদের সূত্রেই গভীর বিশ্লেষণের পথে আসিতে পারিত রবীন্দ্র-রথীন্দ্র সম্পর্ক, আসে নাই। সিদ্ধান্ত লইবার তাড়না অপূর্ণতা রাখিয়া গিয়াছে। আশা করি পরবর্তী সংস্করণে সম্ভাবনা পরিণতি পাইবে, প্রাবন্ধিকের পরিশ্রমে। |
|
|
|
|
|