নিজেদের সম্পদের মূল্যায়ন সরাসরি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি চাইবে সহারা গোষ্ঠী। এ কথা জানান সংস্থার চেয়ারম্যান সুব্রত রায়। সেবির মাধ্যমে ওই মূল্যায়ন সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই অভিযোগ করেন সহারা কর্তা। আগামী মাসেই এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোটে আবেদন জানাবে সহারা।
শুক্রবার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রতবাবু বলেন, “আমরা গত ৩৫ বছরের মধ্যে একটি কাজও আইন ভেঙে করেছি, এটা প্রমাণ করতে পারলে যে-কোনও শাস্তি মাথা পেতে নিতে রাজি আছি। রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ (আরওসি)-এর অনুমতি নিয়েই আমানত সংগ্রহ করেছি। সেই কাজকে যদি বেআইনি বলা হয়, তা হলে দায়ী করা উচিত আরওসিকে, আমাদের নয়।” প্রধানত রাজনৈতিক কারণেই আরবিআই, সেবি-সহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে সহারা পড়েছে বলে অভিযোগ করেন সুব্রতবাবু। সেবি তাঁদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন সুব্রতবাবু। তাঁর দাবি, “সেবিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। অনেক ক্ষেত্রেই আদালত আমাদের বক্তব্যকে সমর্থন করেছে। এটাও সেবি-র রোষের অন্যতম কারণ।”
সুব্রতবাবু আরও দাবি করেন, “সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তোলা আমানত ছাড়াও ব্যাঙ্কঋণ ইত্যাদি বাবদ আমাদের আর্থিক দায়ের পরিমাণ ৪৫ হাজার কোটি টাকার মতো। কিন্তু জমি, অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি-সহ সংস্থার মোট সম্পদের পরিমাণ তার প্রায় ৩ গুণ।”
কেন সরাসরি ব্যাঙ্কে সম্পত্তির মূল্যায়ন করার আর্জি জানাতে চলেছেন তাঁরা? প্রশ্নের উত্তরে সুব্রতবাবু বলেন, “একটি জমির দাম আমাদের মূল্যায়ন-কারী একরে ৮.৫ কোটি টাকা হবে বলে জানাচ্ছে। পরে সেবির তত্ত্বাবধানে সেই একই মূল্যায়নকারী ওই একই জমির দাম দেখিয়েছে একরে ৫৪ লক্ষ। এই অবস্থায় সেবির উপর আস্থা রাখতে পারি না। তা ছাড়া মূল্যায়ন সংক্রান্ত সার্টিফিকেট ব্যাঙ্ককেই দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে সেবিকে বাদ দিয়ে সরাসরি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে তা করলে সময় বাঁচবে।”
অন্য দিকে, এ দিন সুব্রতবাবু জানান, ভবিষ্যতে তাঁর কোনও আত্মীয় নয়, সহারার মালিক হবে একটি ট্রাস্ট। সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তারাই হবেন ট্রাস্টের অছি। এর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। |
কুলদীপ মাইতি অ্যাসোসিয়েশন অফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স ইনস্টিটিউশন্স ‘সা-ধন’-এর পরিচালন পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ক্ষুদ্র-ঋণ সংস্থা ভিলেজ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর এমডি ও সিইও। কুলদীপবাবু তিন বছরের জন্য ওই পদের দায়িত্ব নিয়েছেন। |