নবাব সইফ পটৌডি

“আপনি জানেন, এবিপি-র একটা ম্যাগাজিন আমার বাবা সম্পাদনা করতেন?”

সইফ আলি খানের সঙ্গে মুম্বইতে বসে এ বারের সাক্ষাৎকারটা ঠিক এ ভাবেই শুরু হয়েছিল।
বললাম, কেন জানব না? রোজ সকালে অফিসের করিডর দিয়ে হাঁটার সময় ওঁর ছবি দেখতে পাই দেওয়ালে।
“ওহ্, তাই? আমাকে ওই ছবিটা একটু পাঠাবেন... ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল আপনার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। একবার আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমার বাবা অফিসে কী করেন। বলেছিলাম আমার মনে হয় না বাবা তেমন কিছু একটা করেন অফিসে। আরে তখন তো আমি খুব ছোট। যা মনে হয়েছিল, বলে দিয়েছিলাম। বাবা কম কথার মানুষ। শুধু ‘উফ্’ বলে থামিয়ে দিয়েছিলেন বোধহয়...”
বহু দশক পেরিয়ে গিয়েছে সেই ঘটনার পর। মনসুর আলি খান পটৌডি চলে গিয়েছেন দু’বছর হল।
তবু আজও ছোটবেলার স্মৃতি ঘুরে ফিরে আসে নিজের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে...


আপনার বাবাকে নিয়ে যখন কথা শুরু হল, তাই জানতে ইচ্ছে করছে যে বেঁচে থাকলে কি ‘বুলেট রাজা’ ওঁকে দেখতে বলতেন? উনি তো আপনার অভিনীত মাত্র দু’টো সিনেমা দেখেছেন। ‘পরিণীতা’ আর ‘ওমকারা’...

মনে হয় বলতাম না। বাবা অ্যাকশন মুভিজ দেখতে পছন্দ করতেন। ডিনার করার পর ক্লিন্ট ইস্টউড-য়ের একটা সিনেমা দেখলেন এই রকম। আমারও ওই ধরনের সিনেমা দেখতে ভাল লাগে। ‘বুলেট রাজা’ অন্য ধরনের ছবি। বেশ এন্টারটেনিং সিনেমা। ফান ফিল্ম যাকে বলে।

তা আপনি হিন্দি সিনেমা করেন, কিন্তু তা দেখেন না। এই অভ্যেসটাও কি বাবার থেকে পাওয়া?
হয়তো। আসলে যখন ছোট ছিলাম, তখন যে সব হিন্দি সিনেমা হত, তাতে থাকতেন নিরূপা রায় বা ললিতা পওয়ার। ওঁদের মতো অভিনেত্রীদের সম্মান করেই বলছি আমার সিনেমার পর্দাতে সব সময় কান্না দেখতে ভাল লাগত না। সিনেমা মানে আমি অন্য কিছু খুঁজতাম। সিরিয়াস বই পড়তে আমার ভাল লাগে। কিন্তু আমার মুভি দেখার রুচিটা আলাদা। থ্রিলার, অ্যাকশন আমার পছন্দের। আজকাল তো আমেরিকান টিভি দেখি। ‘বিগ ব্যাং থিয়োরি’ আমার পছন্দের। ‘নিউজরুম’ ইজ লাভলি।

এই যে ফিল্ম দুনিয়াকে ‘ফ্র্যাটারনিটি’ বলা হয়, সেটা কি আপনি বিশ্বাস করেন?
না। একটা সময় ছিল যখন যশ চোপড়া কাজ করতেন। উনি ছিলেন ‘ফাদার ফিগার’। ওঁর অধীনে সব অভিনেতাই সমান ছিলেন। কিন্তু এখন ফিল্মের জগৎটা টুকরো টুকরো। ছোট ছোট ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে বলিউডের মধ্যে। এটা আসলে একটা জঙ্গল, যেখানে টিকে থাকাটাই একটা পুরস্কার। ফ্র্যাটারনিটি ফিলিং কখন আসে? যখন উদ্দেশ্য না থাকলেও একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। এখানে তা হয় না। একমাত্র সাফল্য পেলে তবেই সেই অভিনেতার সঙ্গে সবার একটা ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু একটা পরিবারে কি তা হয়? এক ছেলে যদি ভাল না-ও করতে পারে, তার আত্মীয়রা কি তাকে দূরে সরিয়ে রাখে? রাখে না। সেটাই ফ্র্যাটারনিটি ফিলিং। একটা ফিল্ম ইউনিট অবশ্য একটা পরিবারের মতো হয়ে যায়। শু্যটিংয়ের প্রথম প্রথম একজন স্টারকে তারকা হিসেবে বেশ স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। কিন্তু তার পর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় গোটা ইউনিটে। কিন্তু এই সম্পর্কটা পুরো ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, তা নয়।
আপনার পাসপোর্টে তো ‘সইফ পটৌডি’ লেখা। সিনেমাতে এই নামটা ব্যবহার করেননি কেন?
হ্যাঁ, আজও আমার পাসপোর্টে সইফ পটৌডি লেখা। তবে যখন সিনেমা করতে আসি, আমি শিওর ছিলাম না সফল হব কি না। পটৌডি পদবিটার সঙ্গে ব্যর্থতা যুক্ত হওয়ার রিস্কটা আমি নিতে চাইনি। মনে পড়ে ছোটবেলায় যখন স্কুলে পড়তাম, তখন ঠাকুমা সুন্দর করে পটৌডি নামটা সেলাই করে দিতেন আমার জামার উপর। যাতে ইউনিফর্মটা লন্ড্রিতে যাওয়ার সময় অন্যদের সঙ্গে গুলিয়ে না যায়। বিদেশে যখন পড়তে যাই, তখনও আমাকে সইফ পটৌডি নামেই লোকে চিনত। তবে সিনেমায় ডেব্যু-য়ের আগে আমাকে প্রযোজক যখন প্রশ্ন করেছিলেন কী নাম ব্যবহার করব, আমি নিজেই বলি সইফ আলি খান।

এখন তো সেই ব্যর্থতার ভয় নেই। তা হলে পুরনো নামে ফিরে যেতে কি ইচ্ছে করে না?
সইফ আলি খান পটৌডি। খুব বড় একটা নাম। সত্যি, এ ভাবে ভেবে দেখিনি।

আপনাকে তো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শহুরে চরিত্রে কাস্ট করা হয়। ‘বুলেট রাজা’ করতে গিয়ে কী ভাবে নিজের বডি ল্যাঙ্গোয়েজটা ঠিক করলেন যাতে উত্তরপ্রদেশের গুন্ডা মনে হয় আপনাকে?
‘ওমকারা’য় ল্যাংড়া ত্যাগী করেছিলাম। ওটার সঙ্গে যদিও ‘বুলেট রাজা’র কোনও মিল নেই, তবু আমি বলব ‘ওমকারা’ আমার কাছে একটা টিউটোরিয়ালের মতো ছিল। তিগমাংশু ধুলিয়া খুব ভাল পরিচালক। আর আমি চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব মানুষকে অবজার্ভ করে শেখার।

আপনার চরিত্রটি নিয়ে তো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে! রাজা আচার্য বলে ওড়িশার এক গ্যাংস্টারের মা তো দাবি করেছিলেন যে, তাঁর ছেলের জীবন অবলম্বনে সিনেমাটি বানানো...
আমি শিওর, তিগমাংশু একটা অরিজিনাল স্ত্রিপ্ট নিয়ে কাজ করেছেন। এই মহিলা আপসেট বলে আমি দুঃখিত। তিগমাংশু এ বিষয়ে বেশি ভাল বলতে পারবে। কিন্তু হয়তো এটা একটা পাবলিসিটি স্টান্ট। সিনেমা মুক্তির আগে আমাদের দেশে মানুষ অনেক কিছু করে মাইলেজ পাওয়ার জন্য। আই হোপ নাথিং কামস্ আউট অব দিস।

কলকাতার সঙ্গে কতটা পরিচিত আপনি?
কয়েক মাস আগে কলকাতার একটা পেন্টিং দেখে মাকে মেসেজ করেছিলাম। ‘ওল্ড কলকাতা ইজ স্প্লেনডিড’ বলে। মা একটা স্মাইলি পাঠিয়েছিলেন উত্তরে। দাদু-দিদিমার সঙ্গে আমার যোগ ছিল ঠিকই, কিন্তু কলকাতাকে আমি যে ভীষণ ভাল চিনি, তা বলতে পারব না। আজকালকার দিনে ইন্টারকাস্ট বিয়ে হলে দু’তরফটা বেশ ভাল ভাবে বজায় রাখা যায়। বি আর অম্বেডকর তো বলেছিলেন যে, “ইন্টারকাস্ট ম্যারেজ ইজ দ্য ওনলি হোপ ফর ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন।” কিন্তু আমার ছোটবেলাতে আমি বেশি সময় কাটিয়েছি পটৌডি পরিবারের প্রভাবে। যদিও আমার আত্মীয়স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। আমাদের পরিবারে হিন্দু, মুসলিম এমনকী খ্রিস্টান (করিনার মা খ্রিস্টান) আছেন। ভোপাল, পটৌডি, পাকিস্তানের কিছু শহর, কলকাতা এ সব জায়গাতেই আমার আত্মীয়রা রয়েছেন। কলকাতার অলিগলি না চিনলেও আমার বাঙালি শিকড়ের জন্য আমি খুব গর্বিত।
১৯৬৯ ২০১২
আপনি তো বলেন, ছোটবেলায় যখনই আপনি বোকার মতো কোনও কাজ করতেন, “মাই ফাদার ইউজড্ টু টেল মি দ্যাট আই হ্যাভ বেঙ্গলি ব্লাড।” এটা কেন?
আরে আমি ‘নাচ বলিয়ে’তেও এটা বলেছিলাম। তখন কেউ কেউ আমাকে প্রকাশ্যে ওটা বলতে বারণ করেছিলেন। বাবা ওটা ইয়ার্কি করেই বলতেন।

বাংলা বলতে পারেন?
না।

হিন্দি, ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনও ভাষা জানেন?
আমি ভাঙা ভাঙা ফ্রেঞ্চ বলতে পারি। স্কুলে ও-লেভেল ফ্রেঞ্চ পড়েছি। ওটা আমার সেকেন্ড ল্যাঙ্গোয়েজ ছিল। মাঝে যখন অসুস্থ ছিলাম, নিজের জন্য একজন ফ্রেঞ্চ টিউটর রেখেছিলাম। উনি আবার বাঙালি। নাম তনয়া। তবে বেশি দিন আর ফ্রেঞ্চটা ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটা এগোয়নি।

ফ্রেঞ্চের টিউটর রাখলেন, কিন্তু বাংলা শেখার কথা ভাবেননি?
এত কাজ থাকে। তার পর সিনেমার ডায়ালগ মুখস্থ করা। এ সব ভাবিনি... হয়তো... জানি না...

শ্যুটিং করতে এসে নীল-সাদাতে কলকাতা শহরটা মুড়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও পরিবর্তন নজরে এসেছে?

কলকাতা হ্যাজ আ নাইস সোল অ্যান্ড স্পিরিট। এ বার দেখলাম ট্রাফিকটা একটু স্বচ্ছন্দ হয়েছে। একবার ইচ্ছে আছে টালিগঞ্জ ক্লাবে যাওয়ার।

আপনার মায়ের অভিনয় করা বাংলা ছবিগুলো দেখেছেন?
খুব বেশি নয়। আসলে মা কোনও দিন আমাদের ফিল্মস্টারের ছেলে-মেয়ে হিসেবে মানুষ করেননি। আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মায়েরা যেমন ছেলেদের সঙ্গে গল্প করেন, আমার মা-ও তেমনই করতেন। উনি খুব ডাউন টু আর্থ।

অনেকে বলেন আপনার বাবার মধ্যে একটা অদ্ভুত বৈপরীত্য কাজ করত। এক দিকে খুব হাম্বল, অন্য দিকে ভয়ঙ্কর রিজার্ভড। খানিকটা অ্যারোগেন্ট...
অ্যারোগেন্ট নন। তবে ওঁর কাছে শিখেছি যে, মানুষের দেওয়া অতিরিক্ত অ্যাটেনশনে ভেসে না যেতে।
আজকাল সবাইকে দেখি কোনও অ্যাওয়ার্ড সেরিমনিতে গিয়েই প্রথম সারিতে বসার তোড়জোড় করতে। বাবাকে দেখতাম, সব সময় শেষের সারিতে গিয়ে বসতে। কোনও হ্যাংলামি নেই। ওখানে বসতেন যাতে চাইলে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে পারেন।
কলকাতায় ‘বুলেট রাজা’ সইফ ও সোনাক্ষী
জিওফ্রে বয়কট তো আপনার বাবার এক চোখ নিয়ে খেলার ব্যাপারটাকে তেমন পাত্তা দিতেন না। কোনও দিন বাবাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন,
করেছি। বয়কটের এক বন্ধু ছিলেন কলিন মিলবার্ন। ইংরেজ ব্যাটসম্যান। এক চোখে দৃষ্টি হারানোর পরে আর খেলতে পারতেন না। তাই ভাবতেন যে, বাবা নিশ্চয়ই ওই না দেখতে পাওয়ার ব্যাপারটাকে বাড়িয়ে বলেন। এটা ছিল বাবার র্যাশনাল এক্সপ্ল্যানেশন। তার পর একটা ‘সার্ডনিক’ মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, “আই ওয়াজ ভেরি গুড উইথ টু অ্যান্ড সো, আই ওয়াজ, ইউ নো, গুড ইভন উইথ ওয়ান” (আমি তো দু’চোখে ভীষণ ভাল, তাই স্বাভাবিক ভাবেই আমি এক চোখেও ভাল।)

সচিন তেন্ডুলকরকে নিয়ে দেশের এই উৎসব সম্পর্কে আপনার কী অভিমত?
এই উৎসবটা বোঝা তখনই সম্ভব, যখন বোঝা যাবে ও কত বড় মাপের ক্রিকেটার। আমার তো এটা ভাবতেই ভাল লাগে যে, আমি সচিনকে
খেলতে দেখেছি। কত বড় বড় খেলোয়াড়দের আমি লাইভ খেলতে দেখিনি। মাইকেল হোল্ডিংকে আমি লাইভ বল করতে দেখিনি। কিন্তু সচিনকে দেখেছি। একটা খারাপ বলকে যে কোনও ক্রিকেটারই পিটিয়ে ছাতু করতে পারে। সচিন অন্যদের থেকে কতটা আলাদা সেটা বুঝেছি যখন দেখতাম যে একটা ভাল বলকেও কী ভাবে উনি ছক্কা মারতেন।

আজকের সইফ আলি খান, তাঁর বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে কী কী গুণ পেয়েছেন?
শিক্ষার গুরুত্ব, হিউমিলিটি আর বাহুল্য ছাড়া জীবনযাপন করা। বাবা অ্যাকচুয়ালি একটা অন্য যুগের মানুষ। ওঁর কাছ থেকে শিখেছি যে একটা পয়েন্টের পর চিন্তা করে কিছু করা যায় না। তাই ভয় আমায় কন্ট্রোল করতে পারে না। নিজের ভুল-ত্রুটি মেনে নেওয়াটাই ভাল। ক্রিকেটে দেখুন না, কোনও ব্যাটসম্যান একদিন শূন্য তো পরের দিন সেঞ্চুরি। সবার নিজের নিজের একটা যুক্তি থাকে কিছু করা বা না-করার পিছনে। এটা মনে করি না যে, কাউকে আমার মতো করে ভাবতে বলাটাই একমাত্র ঠিক পথ। প্রত্যেক মানুষ ফান্ডামেন্টালি আলাদা। তাই আমি একটা পয়েন্টের পর নিজেকে সরিয়ে নিই। যাকে বলে, ডিট্যাচড হয়েও অ্যাটাচড হয়ে থাকি।

আর মায়ের থেকে?
লোকে বলে আমি নাকি অনেকটাই মায়ের মতো। ওঁর থেকে বই পড়ার অভ্যেসটা পেয়েছি। টেম্পারামেন্টটাও মায়ের মতো। মা খুব ডাউন টু আর্থ মানুষ। বাড়ির সব কিছু দেখে সামলে রাখার অভ্যেসটাও ওঁর থেকে পেয়েছি। কী ভাবে একটা টেবিল সাজানো উচিত, কী ভাবে ইন্টিরিয়র ডেকরেশন করা দরকার, এ সব নিয়ে আমার নিজস্ব মত আছে। মাকে দেখেছি এগুলো করতে। আমিও সেই অভ্যেসটা পেয়েছি।

বাড়ি কী ভাবে গোছানো হবে সেটা আপনি ঠিক করেন, না করিনা?
আমি জানি কী করা উচিত। করিনার পছন্দও সুন্দর। কিন্তু আমার নিজের জায়গাটা আমি নিজের মতো করেই সাজাতে ভালবাসি। করিনা একদম আধুনিক হোমমেকার। সব কিছু উপভোগ করে, কিন্তু আমার পছন্দটা সম্মান করেই।

করিনার প্রসঙ্গে মনে হল, কেন বলুন তো আপনাদের অন-স্ক্রিন জুটি তেমন জমল না?
অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের যে রকম সম্পর্ক বাস্তবে রয়েছে, নিজেদের মধ্যে তেমন টেনশনই নেই। অন-স্ক্রিন কোনও জুটিকে ফুটিয়ে তুলতে গেলে কোথাও একটা বৈপরীত্য দরকার দুই অভিনেতার মধ্যে। সেই সারপ্রাইজ ফ্যাক্টর থাকে না বলেই হয়তো আমাদের জুটিটা জমেনি। অন্য কারণও রয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.