টুকরো খবর
গাছে কনস্টেবলের দেহ
রেল সুরক্ষা বাহিনীর এক কনস্টেবলের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। রবিবার সন্ধ্যায় কলাইকুণ্ডা ও নিমপুরা স্টেশনের মাঝে গাছে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে খড়্গপুর রেল পুলিশ। মৃত সত্তেশ্বর সিংহ (৫০) থাকতেন মথুরাকাটি রেল কোয়ার্টারে। খড়্গপুর থেকে আসা দু’টি রেললাইন যেখানে ভাগ হয়েছে, সেখানেই একটি গাছে ঝুলছিল দেহটি। সোমবার সকালে যাতায়াতের পথে দুর্গন্ধ পান যাত্রীরা। রেলপুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। জামার পকেটে পাওয়া রেল সুরক্ষা বাহিনীর নম্বরের সূত্রে মৃতের পরিচয় মেলে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন সত্তেশ্বর। পরিবারের লোকেরা টাউন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। পরিজনেরা এ দিন দেহটি শনাক্ত করেন। রেল পুলিশের আইসি আশিস রায় বলেন, “দু’দিন আগেই ওঁর মৃত্যু হয়েছে। অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই অনুমান।”

মন্দির থেকে গণনা কেন্দ্রে
গণনা শুরু হয়েছে। অথচ, প্রার্থী নেই। গেলেন কোথায়? জানা গেল প্রার্থী মন্দিরে। প্রার্থনা বিফলে যায়নি। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী মৌ রায়। সোমবার সকালে তিনি গিয়েছিলেন হবিবপুরে, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দিতে। মৌদেবী বলন, “মন্দিরেই খবর আসে, জিতে গিয়েছে।” পুজো দেওয়ার অবশ্য কারণ ছিল। ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছিল সিপিএমের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। এখানেই বাড়ি জেলা সিপিএমের সম্পাদক দীপক সরকারের। গণনা কেন্দ্রে আসার আগে ওই মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শিপ্রা মণ্ডলও। তাঁর বিরুদ্ধে ‘গোঁজ’ প্রার্থী ছিল। শিপ্রাদেবীও জিতেছেন।

অস্বস্তি- কাঁটা
পুরবোর্ডে দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে। তাতেও স্বস্তি নেই দুই তৃণমূল নেতার। নিজেদের ‘গড়’ই যে হাতছাড়া। শহর তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার পড়্যার বাড়ি ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডে এ বারও ‘সূর্য’ই উঠেছে। অন্য দিকে, জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ থাকেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডেও ‘জোড়া ফুল’ ফোটেনি। তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর মৃণাল চৌধুরী হেরেছেন বড় ব্যবধানে। ‘গড়’ দখলে রাখার লড়াইয়ে ছিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি। তিনি অবশ্য উতরে গিয়েছেন। তাঁর এলাকা ২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন তৃণমূলের নির্মাল্য চক্রবর্তী।

দীপকের মোহ-তত্ত্ব
মেদিনীপুর পুরসভা কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের দখলে ছিল। এ বার একক ভাবে ক্ষমতায় এল তৃণমূল। ঝাড়গ্রাম পুরসভাও বামেদের হাত থেকে তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার মানছেন, মানুষ এখনও তৃণমূলের পক্ষ রয়েছেন। মোহভঙ্গ হয়নি। দীপকবাবুর কথায়, “জনগণ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। তাদের মোহমুক্তি ঘটেনি। আমরা আশাবাদী মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করে নেবে। দ্রুত মোহমুক্তি ঘটবে।” জেলা তৃণমূলের সভাপতি দীনেন রায় অবশ্য বলছেন, “মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ডে আস্থা রেখেছেন।”

বাঁচাল ২৩ নম্বর
২৪টি ওয়ার্ডের ফল বেরিয়ে গিয়েছে। তখনও তৃণমূল ১২। বিরোধী শিবির ১২। বোর্ড কে পাবে, উত্তেজনায় সকলে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফল তখনও জানা যায়নি। এই ওয়ার্ডে ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীদের ভিড়। লড়াইয়ে রয়েছেন সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক কীর্তি দে বক্সী, বিদায়ী উপপুরপ্রধান এরশাদ আলি, তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি জীতেন্দ্রনাথ দাস-সহ ৭ জন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফল প্রকাশের পর বোঝা গেল, আপাতত শহর টেনশন-ফ্রি। স্থায়ী পুরবোর্ডই হচ্ছে। জিতলেন তৃণমূলের জিতেন্দ্রনাথই।

কলেজে বিক্ষোভ
ডিএড (ডিপ্লোমা) পাশ করেও প্রাথমিকে টেট পরীক্ষায় সফল হতে পারেননি। প্রতিবাদে সোমবার চন্দ্রকোনার বেসরকারি ডিএড কলেজে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। কলেজ গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন, ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কও অবরোধ করা হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। জয়দেব মণ্ডল, জিতেন ঘোষেরা বলেন, “সরকার আমাদের প্রতারণা করেছে। এত টাকা খরচ করে ডিএড পাশ করেও টেটে পাশ না করিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করছে।” ডিএড উত্তীর্ণদের চাকরির দাবিও জানানো হয়।

বাম যুবরা পথে
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বাছাই পরীক্ষার মূল্যায়ন সঠিক হয়নি অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাল ডিওয়াইএফ। সোমবার খড়্গপুর মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ চলে। কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা সুরজিৎ সমাদ্দার বলেন, “বাকি থাকা শূন্যপদেও প্রার্থী নিতে হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.