টাটকা খবর
পুরভোটে জয়জয়কার তৃণমূলের
রাজ্যের পাঁচটি পুরসভার চারটিই দখলে এল তৃণমূলের। ঘোষিত ফল অনুযায়ী হাওড়া, কৃষ্ণনগর, ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর পুরবোর্ড দখল করেছে তৃণমূল। কেবলমাত্র বহরমপুরে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। এমনকী, অধীর চৌধুরীর খাসতালুক বহরমপুরেও ২টি আসনের দখল নিয়ে সেখানে দাঁত ফোটায় তৃণমূল। পুরভোটের এই সাফল্যে উল্লাসে মাতেন তৃণমূল সমর্থকেরা।

তিরিশ বছর পর ঝাড়গ্রামে বাম দূর্গের পতনে উচ্ছ্বাস বাঁধনহীন। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় এই জয়ের জন্য বাংলার মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘‘এটি কোনও বিক্ষিপ্ত ফল নয়। সামগ্রিক ভাবে এই ফলাফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি বাংলার মানুষের আস্থা প্রকাশ। আগামী ৩০ জানুয়ারি ব্রিগেডে এক জনসভায় বাংলার মা-মাটি-মানুষকে অভিনন্দন জানানো হবে।’’
আজ রাজ্যের পাঁচটি পুরসভার ভোটগণনার সঙ্গে কলকাতা, বিধাননগর, রাজারহাট-গোপালপুর-সহ আরও ২৩টি পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনের ভোটগণনা হয়। কলকাতার ১ ও ২৪, বিধাননগরের ১৩ ও রাজারহাট-গোপালপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।

জয়োল্লাস তৃণমূলের। মেদিনীপুরের
পঞ্চুরচকে ছবি তুলেছেন সৌমেশ্বর মণ্ডল।

আসছে জয়ের খবর। কৃষ্ণনগর গণনাকেন্দ্রের
বাইরে তখন হর্ষধ্বনি। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
কৃষ্ণনগরে ২৪টি ওয়ার্ডের ২২টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বাকি দু’টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে নির্দল। কৃষ্ণনগরের মতোই ঝাড়গ্রাম পুরসভায় জয়ী হল তৃণমূল। তিরিশ বছর পর বামেদের থেকে ঝাড়গ্রাম পুরসভার দখল ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। ঝাড়গ্রামের ১৭টির মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তারা। ১টি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে বামেরা।
হাওড়ার ১৩ নং ওয়ার্ডে মেয়র তথা ওই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী মমতা জায়সবালকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। এই পুরসভার ঘোষিত ৪৯টির মধ্যে ৪১টি ওয়ার্ড দখলে করেছে তারা। বামেদের দখলে এসেছে মাত্র দু’টি, ৩ ও ৪৬ নং ওয়ার্ড। কংগ্রেস ৪টি ও বিজেপি জয়ী ২টি ওয়ার্ডে। পরাজিত হয়েছেন ডেপুটি মেয়রও। তবে হাওড়ার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বুথে ভোটগণনা স্থগিত করে দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইভিএম-এ ভোটার সংখ্যার সঙ্গে নথিবদ্ধ ভোটারের সইয়ে অসঙ্গতির জন্য এই সিদ্ধান্ত। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই বুথে আগামী ২৭ নভেম্বর পুনর্নির্বাচন হবে।

বহরমপুর ফের দখলে। আবির খেলায় মাতলেন কংগ্রেস সমর্থকরা। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
আজ সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভোটগণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে বসানো হয় সিসিটিভি। ত্রিস্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তাবেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয় গণনাকেন্দ্রগুলিকে।
হাওড়া, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম, এই পাঁচটি পুরসভার বোর্ড গঠনে ভোট হয়েছিল গত শুক্রবার। একই সঙ্গে ওই দিন উপনির্বাচন হয়েছিল কলকাতা, বিধাননগর, রাজারহাট-গোপালপুর-সহ আরও ২৩টি পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডে। পাঁচটি পুরসভার মোট ১৪৫টি ওয়ার্ড দখলের লড়াইয়ে ছিলেন ৭৮৫ জন প্রার্থী। অপর দিকে, ২৯টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জোরদার লড়াই হয়েছে ১১৫ জনের মধ্যে।
একনজরে পুরভোটের ফল
পুরসভা জয়ী আসন তৃণমূল বাম কংগ্রেস বিজেপি অন্যান্য
হাওড়া তৃণমূল মোট আসন-৫০ ৪১ -
-৪৯
বহরমপুর কংগ্রেস মোট আসন-২৮ - ২৬ - -
-২৮
কৃষ্ণনগর তৃণমূল মোট আসন-২৪ ২২ - - -
-২৪
ঝাড়গ্রাম তৃণমূল মোট আসন-১৭ ১৬ - - -
-১৭
মেদিনীপুর তৃণমূল মোট আসন-২৫ ১৩ -
-২৫

পুরভোটের সামগ্রিক ফল
মোট পুরসভা ঘোষিত তৃণমূল বাম কংগ্রেস বিজেপি ত্রিশঙ্কু
- - -

উপনির্বাচনের সামগ্রিক ফল
মোট পুরসভা ওয়ার্ড তৃণমূল বাম কংগ্রেস বিজেপি ত্রিশঙ্কু
২৩ ২৯ ২৩ - -

আরুষি-হেমরাজ হত্যায় দোষী সাব্যস্ত তলবার দম্পতি
চাঞ্চল্যকর আরুষি তলবার ও হেমরাজ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন আরুষির চিকিত্‌সক বাবা-মা রাজেশ ও নূপুর তলবার। দীর্ঘ ১৫ মাস শুনানির পরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত সোমবার তলবার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁদের সাজা ঘোষণা হবে আগামিকাল। এই ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এমনকী, ফাঁসিও হতে পারে। বিস্তর টানাপোড়েন ও নাটকীয় ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে পাঁচ বছরেরও বেশি এই জোড়া খুনের ঘটনার তদন্ত চলেছে।
নবম শ্রেণির ছাত্রী আরুষির জন্মদিনের ঠিক আগের দিন, ২০০৮ সালের ১৫ মে গভীর রাতে নয়ডায় তাদের বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। খুনের ঘটনার পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার দায়েও তলবার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি শ্যাম লাল। এ ছাড়াও ওই ঘটনায় নয়ডা থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার অপরাধে রাজেশকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০৩ ধারা অনুসারেও দোষী সাব্যস্ত করে হয়েছে। রাজেশের ভাই দীনেশ তলবার জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা ইলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন।
গাজিয়াবাদে আদালতের রায়ের আগে আরুষির মা-বাবা। ছবি: এ এফ পি।
এই হত্যাকাণ্ডকে ‘সম্মানরক্ষার জন্য খুন’ বলে অনেকে মনে করেন। নেপাল থেকে আসা তাঁদের পরিচারক ৪৫ বছরের হেমরাজের সঙ্গে তাঁদের মেয়ে আরুষির ঘনিষ্ঠ মেলামেশায় তলবার দম্পতি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। আজ বিচারপতি তাঁর রায় ঘোষণার পরে রাজেশ ও নূপুর দু’জনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। রায়ের পরে তলবার দম্পতির নাম করে এক বিবৃতি বিলি করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যে অপরাধ করিনি সেই অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে আমরা গভীর ভাবে হতাশ, ব্যথিত এবং বেদনার্ত। আমরা একে পরাজয় বলে মানছি না এবং সুবিচারের আশায় আমাদের লড়াই চলবে।’
আরুষি হত্যা মামলা: ঘটনাপ্রবাহ যে পথে
১৬ মে ২০০৮: দন্তচিকিৎসক দম্পতি নূপুর ও রাজেশ তলবারের ১৬ বছরের কন্যা আরুষির দেহ উদ্ধার নয়ডার বাড়ি থেকে। নিখোঁজ নেপালি গৃহপরিচারক হেমরাজের দিকে সন্দেহের তির।
১৭ মে: তলবারদের বাড়ির টেরাস থেকে উদ্ধার হেমরাজের দেহ।
২৩ মে: জোড়া খুনের অভিযোগে আরুষির বাবা রাজেশ গ্রেফতার।
৩১ মে: মামলার তদন্তভার নিল সিবিআই।
১২ জুলাই: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে গাজিয়াবাদের আদালতে রাজেশের জামিন মঞ্জুর।
৫ জানুয়ারি, ২০১০: আদালতে তলবার দম্পতির নার্কো পরীক্ষার অনুমতি চাইল সিবিআই।
২৯ ডিসেম্বর: মামলা গুটিয়ে ফেলার আর্জি জানিয়ে রিপোর্ট পেশ করে আদালতে সিবিআই জানাল, রাজেশ মূল অভিযুক্ত হলেও তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।
২৫ জানুয়ারি, ২০১১: গাজিয়াবাদ আদালত চত্বরে আক্রান্ত রাজেশ।
৯ ফেব্রুয়ারি: মামলা বন্ধে সিবিআইয়ের রিপোর্ট খারিজ করে গাজিয়াবাদের বিশেষ আদালত জানাল, তলবার দম্পতির বিচার শুরু করতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের নতুন অভিযোগ দায়ের। আদালতে হাজিরা না দেওয়ার জন্য তলবার দম্পতির বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি সিবিআই বিশেষ আদালত।
১৪ মার্চ ২০১২: রাজেশের জামিন খারিজ করার জন্য কোর্টে সিবিআইয়ের আর্জি।
৩০ এপ্রিল: নূপুর তলবার গ্রেফতার।
৩ মে: নূপুরের জামিনের আর্জি খারিজ দায়রা আদালতে।
২৫ মে: খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে গাজিয়াবাদ কোর্টে চার্জ গঠন।
২৫ সেপ্টেম্বর: সুপ্রিম কোর্টের আদেশে জামিনে মুক্ত নূপুর।
এপ্রিল, ২০১৩: আদালতে সিবিআই জানাল, আরুষি ও হেমরাজকে তলবার দম্পতিই খুন করেছেন। আরুষি ও হেমরাজকে ‘আপত্তিজনক ও ঘনিষ্ঠ অবস্থায়’ পাওয়া যায়।
৩ মে: বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর আর্জি, সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা অরুণ কুমার-সহ ১৪ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে ডাকা হোক। আর্জির বিরোধিতা করল সিবিআই।
৬ মে: আর্জি খারিজ করে আদালত নির্দেশ দিল, রাজেশ ও নূপুরের বিবৃতি রেকর্ড করতে হবে।
১৮ অক্টোবর: সওয়াল-জবাব বন্ধ করে সিবিআই জানাল, তলবার দম্পতি তদন্তকারীদের ‘বিভ্রান্ত’ করেছেন।
১২ নভেম্বর: আদালত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রাখল।
২৫ নভেম্বর: দোষী সাব্যস্ত তলবার দম্পতি। সাজা ঘোষণা মঙ্গলবার।

রাজ্যে জলপথে কয়লা পরিবহণ চালু করল জিন্দল আইএফটি
জলপথে কয়লা পরিবহণ পরিষেবা চালু করল জিন্দল আইএফটি। সোমবার ওই পরিষেবার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী জি কে ভাসান। এই পরিষেবায় জাহাজে আসা আমদানি করা কয়লা গভীর সমুদ্র থেকে পরিবহণ করে নিয়ে যাওয়া হবে ফরাক্কায় এনটিপিসি-র বিদ্যুত্‌ উত্‌পাদন কেন্দ্রে। নদীপথে এই পরিমাণ পণ্য পরিবহণের পরিষেবা এই প্রথম দেশে চালু হল। পরিষেবাটি চালু করতে রাজ্যে জিন্দল আইএফটি ৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে।
এই দিন একই সঙ্গে কলকাতায় নতুন একটি জেটিরও উদ্বোধন করেন ভাসান। ৩৮ কোটি টাকা খরচে নতুন ওই জেটি নির্মাণ করেছে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (আইডব্লিউএআই)। ওই জেটি থেকে প্রধানত আমদানি শুল্ক ছাড়পত্র সংক্রান্ত কাজকর্ম সম্পন্ন হবে। নদীপথে কয়লা ছাড়াও ফ্লাই অ্যাশ, খাদ্যশস্য, ইস্পাত সিমেন্ট এবং পাট পরিবহণ করার ব্যাপারে নতুন এই জেটিকে ব্যবহার করা হবে।

মধ্যপ্রদেশে ও মিজোরামে আজ ভোট

মধ্যপ্রদেশে ও মিজোরামে সোমবার বিধানসভা নির্বাচন শুরু হল। মধ্যপ্রদেশে ভোট হয়েছে ২৩০টি আসনে ও মিজোরামে ৪০টি আসনে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট শুরু হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যে ২০% ভোট পড়েছে মিজোরামে। অন্য দিকে, দুপুর ২টো পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে ৪৬.২৩% ভোট পড়েছে। এই রাজ্যে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২৫৮৩। এ রাজ্যের ৫১টি জেলায় ৫৩ হাজার ৮৯৬টি বুথে ভোট হয়েছে। কয়েকটি জেলায় ভোট বয়কট ছাড়া এ দিনের ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
মিজোরামের ১,১২৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯৪টি উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত হওয়ায় নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়। ৩১ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয় উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে। সিল করে দেওয়া হয় মণিপুর, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ সীমান্ত। মিজোরামের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক অশ্বিনী কুমার জানান, শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে রাজ্যে। বিকেল সাড়ে ৩টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫ শতাংশ। সস্ত্রীক ভোট দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ রাজ্যের মানুষ কংগ্রেসকে চায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ফিরব আশাবাদী আমি।’’

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট দলে ফিরলেন জাহির, ঋদ্ধি
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারতীয় টেস্ট দলে ফিরলেন জাহির খান। দলে জায়গা পেলেন না গৌতম গম্ভীর। সন্দীপ পাটিলের নেতৃত্বে সোমবার জাতীয় নির্বাচকেরা এই দল বাছেন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত দুই টেস্টের জন্য। যদিও শিকে ছিঁড়ল না সহবাগের। টেস্ট ছাড়াও সফরে তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। জাতীয় দলে প্রথম বার ডাক পেলেন অম্বাতি রায়ডু। যদিও তাঁকে রিজার্ভ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে গেছে জাহিরের দলে ফেরার খবর। ২০১২-র ইডেন টেস্টের পর এই প্রথম দলে এলেন তিনি। ৩৫ বছরের পেসারের পক্ষে গিয়েছে রঞ্জিতে তাঁর সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান। ১৯.৮৪ গড়ে এ মরসুমে এখনও পর্যন্ত তাঁর সংগ্রহ ১৩টি উইকেট। টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন বাংলার ঋদ্ধি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শামি।

টেস্ট দল: মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (অধিনায়ক), মুরলী বিজয়, শিখর ধবন, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, আজিঙ্কে রাহানে, অম্বাতি রায়ডু, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা, রবীন্দ্র জাডেজা, ও প্রজ্ঞান ওঝা।

ওয়ান ডে দল: মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (অধিনায়ক), শিখর ধবন, সুরেশ রায়না, যুবরাজ সিংহ, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, আজিঙ্কে রাহানে, অম্বাতি রায়ডু, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, রবীন্দ্র জাডেজা, ইশান্ত শর্মা, মোহিত শর্মা ও অমিত শর্মা।

কিডনি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মত চাইল সুপ্রিম কোর্ট
কিডনির সমস্যা সংক্রান্ত এক জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির কাছে তাদের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার, প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমের নেতৃত্বে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এই জনস্বার্থ মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, ভারতে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাশপাশি, প্রতি বছর এই সমস্যায় মৃত্যু হয় প্রায় ২ লক্ষ মানুষের। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা কিডনির সমস্যায় মৃত্যু ঠেকাতে ও সুষ্ঠু চিকিত্সা দিতে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে ডায়ালিসিস সেন্টার গড়ে তোলা উচিত। বেসরকারি হাসপাতালগুলিও যাতে এই সব রোগীদের উপযুক্ত পরিষেবা ও চিকিত্সা দেয় সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। আর্জিতে আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী দেশে কমপক্ষে ৫০ হাজার ডায়ালিসিস করার জন্য যন্ত্রপাতি দরকার। কিন্ত বর্তমানে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন-এর সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষ কিডনি সমস্যায় ভুগছে। তাঁদের মধ্যে ৪১ শতাংশ মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে এই রোগে আক্রান্ত। আশ্চর্যের বিষয়, শুধুমাত্র ২২.৫ শতাংশ রোগী ডায়ালিসিসের সুযোগ পান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.