|
|
|
|
|
|
|
ছিনিয়র ছিটিজেন |
নিজেদের দায়হীনতায় তাঁরা জুনিয়রদের উপহার দিয়েছেন একটা যাচ্ছেতাই পৃথিবী।
এ দিকে তাঁদের দেখলে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে হবে। লিখেছেন রাজা ভট্টাচার্য। |
মাত্র বছর কুড়ি পরে জন্মেছিলাম বলে এই মাগ্গি-গন্ডার অফিস-টাইমে সিটটা ছেড়ে দিতে হল। অবাক হওয়া যাবে না, চুল কালো করে বয়েস কমিয়েও কী করে এটা পারেন! এমনিতেই পরবর্তী প্রজন্ম মানেই বিষ-মাল, যারা সোশালি মূর্খ, পলিটিকালি অপদার্থ, ফিজিকালি অসংযমী, মেন্টালি ব্যক্তিত্বহীন, ইকনমিকালি দু’নম্বরি, সেক্সুয়ালি চরিত্রহীন। তার ওপর ভিড়বাসে ওঁকে সিট না-ছাড়লে প্রবীণের অধিকার হরণের দায়ে বাসসুদ্ধ সিটহীন সচেতন সুনাগরিকদের সমবেত সুপ্ত সহিংস মাৎসর্যের তাপে বিবেক উদ্বেল হয়ে উঠবে, নিশ্চিত।
সিনিয়র সিটিজেন। নস্টালজিক এবং অনেকাংশেই চোরা সাম্প্রদায়িক। বাড়িতে মোটামুটি ফিউডাল লর্ড। ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনে চার টাকা কেজি বাসমতীর ঢেকুর তোলেন। উত্তম-সুচিত্রার স্মৃতি ধুয়ে সিরিয়ালের টাকনা দিয়ে চা খান। ব্যাংকে বেশি ইন্টারেস্ট আর রেল-টিকিট ও ইনকাম ট্যাক্সে অনেকটা ছাড় পান, আর এই দেশটার কিস্সু হবে না বলে গাল পাড়েন। বউমার স্লিভলেস পছন্দ করেন না, কিন্তু চুপকে চুপকে ‘ফ্যাভিকল সে’ বেশ লাগে। চান সেরে ভিজে গামছায় ঠাকুর-ছবি দেওয়া ক্যালেন্ডারের সামনে মাথা ও জ্বলন্ত ধূপ নোয়ান।
১৯৪৭। স্বাধীনতার পর দিন আমার মাতামহ যখন বাংলাদেশ ছাড়েন, তাঁর বয়স ৩৩, তাঁর স্ত্রীর ২৭, তাঁদের সন্তানের সংখ্যা ১০। আরও চারটে আগেই গেছে রোগে ভুগে। মা’র মুখে শুনেছি, কলকাতায় এসে পরিবারটির একমাত্র কাজ ছিল ‘স্ট্রাগল’। শিয়ালদহ স্টেশনে এক হপ্তার বেশি রাত কাটাতে হয়েছে। ১০ জন ভাইবোনের কনিষ্ঠাটির বয়স দেড় বছর। তার পরনে কোনও কাপড় ছিল না। আমার মাতামহী ও তাঁর প্রথমা কন্যা বাচ্চাটিকে আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখতেন। ১১টা ক্ষুধার্ত পেট একটা বড় কলাপাতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে কাড়াকাড়ি করে খেত নুন-মাখা ফ্যানা-ভাত। সেই কাড়াকাড়ির প্র্যাকটিস মানুষগুলো বয়ে বেড়িয়েছে আজীবন। পরস্পরের প্রতি এই ভাইবোনেরা কোমল হৃদয়বৃত্তির প্রকাশ করেছেন খুব কমই।
আমার পিতামহ যখন ‘দ্যাশের বাড়ি’ ছাড়েন, তাঁর স্কোরও বেশ ভাল। ময়মনসিংহের প্রায় বেকার ও নিষ্কর্মা কোয়াক কবিরাজের বছরের এ-পিঠ ও-পিঠ মিলিয়ে সাত জন পোলাপান জ্যান্ত। এ-পারে ঠাঁই হয় ক্যাম্পে। ওই অবস্থাতেও তাঁরা তাঁদের পরবর্তী সন্তানের পরিকল্পনা করেন এবং প্রকৃতির নিয়ম মেনেই যথাসময়ে তাঁদের শেষ শিল্পকর্মটি যখন ভূমিষ্ঠ হয়, তখন তাঁরা বেলঘরিয়ার জলা জমিতে স্বরচিত এক-ঘরের আটচালায়। চারিদিকে থিকথিক করছে ছেলেমেয়ে। তা হলে কেসটা কী খাড়াইল? যে সময়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলছে, বিশ্বের অন্য প্রান্তে চলছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ, এঁরা কেবল বিছানাতেই লড়ে গেলেন। দেশভাগের কালে যখন একটা ভাঙাচোরা দেশ একটা পুরোপুরি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দাঁড়িয়ে, তখন এঁরা সমাজের প্রতি চূড়ান্ত উদাসীনতায় জনসংখ্যা বাড়িয়ে গেছেন। আর সেই অভিশাপ আমরা আজও বয়ে চলেছি।
এঁদের গর্বিত প্রোডাক্ট আমাদের পিতারা আর এক কাঠি টিপিকাল সেয়ানা। মনে রাখবেন, এঁদের যৌবনেই ঘটে গেছে ইমারজেন্সি, বরাহনগরের গণহত্যা, নকশালবাড়ি আন্দোলন। ঠিক সেই সময়ে এঁরা বিপ্লবের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলতেন। চাকরি, সংসার, ঠাকুরঘর, বসুশ্রী, বায়োস্কোপ আর উল্টোরথ— এই নিয়ে মগ্ন ছিল জীবন। সমাজসেবা করেননি, থিয়েটার দেখেননি (শম্ভু মিত্র থাকলে এক-আধটা দেখেছেন), লিট্ল ম্যাগাজিন জানেন না। রাষ্ট্রের কাছে ‘গুড বয়’ সেজে দিন কাটত। রাষ্ট্রের পক্ষে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা তো সবাই এক্সপোজ্ড। কিন্তু আমাদের বাবারা, যাঁরা ‘নিরপেক্ষ’, তাঁরাই বেশি গন্ডগোলের। ডিরেক্ট শ্রেণিশত্রু নন, আবার স্থিতাবস্থার কাঙাল। এঁদের অধিকাংশই বিপ্লবের ‘ব’ বোঝেন না, কিন্তু রক্তপাতের ভয়াবহতার সমালোচনা করে বিপ্লবকে ইতিহাসে চালান দেন। যদিও পালিয়ে যাওয়া ছাড়া সেই ইতিহাসে তাঁদের খুব বেশি অবদান নেই। সেই পলায়নপর প্রজাতির সন্ততি হয়ে কী করে শিক্ষিত সমাজ গড়ব আমরা? ডিয়ার কাকাবাবু, আপনারাই আমাদের তৈরি করেছেন ঘাড় গুঁজে লাথ খেয়ে বেঁচে থাকা ক্লীব হিসেবে। আমাদের শিক্ষা নেই, স্বাস্থ্য নেই, সম্পদ নেই, সৌজন্য নেই। শুধু আছে আপাদমস্তক খিদে আর রন্ধ্রে রন্ধ্রে চালাকি। কী করে অন্য মানুষকে লেঙ্গি মারা যায়। এর জমি, ওর টাকা, অমুকের বউ, তমুকের চাকরি— এ সবের দিকেই আমাদের বিপ্লবের অভিমুখ। আপনারা অতি সাধারণ, তাই আমাদের সাধারণতর করে গড়ে তুলেছেন নিজেদের অজ্ঞতায়। এমন একটা পৃথিবী দিলেন, যেখানে কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সব স্তরে আপনাদের অপরিণামদর্শিতা আমাদের দুর্বল করে নিয়ত। অস্তিত্বের লড়াই তো সব প্রাণীকেই করতে হয়, কিন্তু আপনারা যে ভাবে আপনাদের আবর্জনা ছড়িয়ে আমাদের ময়দান পিছল করে রেখেছেন, তাতে তো দাঁড়াতেই পারছি না, লড়ব কী! তা হলে, আপনাদের দেখে সিট ছেড়ে দেব আশা করেন কোন মুখে? হায় তাত, উচিত কি তব এ কাজ? আমাদের বাড়ন্ত বয়সের পাশাপাশি ঘটে যাচ্ছে একের পর এক নারকীয় ঘটনা। পোখরান, লছমনপুর বাথে, গোধরা, কারগিল কিংবা গালফ ওয়ার, প্যালেস্তাইন, আফগানিস্তান। তখন কিন্তু আপনারা কেউ বলেননি— বাবারা, প্রতিবাদ করো, অন্তত একটু চোখ মেলে চাও। তোমার চার পাশটা ভাল না হলে তুমিও ভাল থাকবে না। কেউ তো বলেননি— অন্তত মরালি মানুষের পাশে দাঁড়াও। শুধু খুড়োর কলের সামনে মুলো ঝুলিয়ে ‘কেরিয়ার’-এর পেছনে দৌড় করিয়েছেন। বলেছেন, কম্পিটিশনের বাজার, এ লড়াই বাঁচার লড়াই। তাই বন্ধুকে টপকাও, মেজকা’র ছেলে যেন অঙ্কে বেশি না-পায়। ইংরাজি শেখালেন ক্লাস সিক্স থেকে, যারা সরকারি স্কুলের ভরসায় রইল, তারা ইংরাজিটা শিখল না আজও। আর বাকিরা বাংলাটা অনায়াসে গেল ভুলে। কম্পিউটার এল যখন, কত ঢপের প্রতিবাদ! এখন লাখ-লাখ ভাইটি আইটি ছাড়া কিছু বোঝে না, যেন এ পোড়া দেশে আর কোনও রকম প্রফেশনালের প্রয়োজন নেই। মানুষ বড্ড খারাপ আছে স্যর। আমরা মোটা ইএমআই দিয়ে ফ্ল্যাটে থাকছি, সন্ধেবেলায় সিরিয়াল দেখছি, ফাস্ট ফুড খাচ্ছি, মেডিক্লেমওয়ালা হসপিটালে মরে যাচ্ছি। এক উদাসীন প্রজন্ম থেকে স্বার্থপরতার ব্যাটনটা বাড়িয়ে দিচ্ছি আর এক উদাসীন প্রজন্মের হাতে। এমতাবস্থায়, নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে, যাওয়ার আগে দু-চারটে খিস্তি তো আপনাদের হজম করতেই হবে!
|
|
প্রখ্যাত লেখক লিখেছিলেন, বয়স হলে মানুষ সুন্দর হয়। কিন্তু সে দায় তো নিতে হবে মানুষকেই। পলিটিশিয়ানরা তো এখন খোলা খাতা, ওঁদের লজ্জাশরম নেই, কিন্তু যাঁদের ছবি, গান, নাটক, লেখা এক সময় রক্ত গরম করে দিত? সে সব সংস্কৃতিকর্মীরা অধিকাংশই হড়কেছেন রাজনীতির মাঠে। খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে। গানে-কবিতায়-অ্যাটিটিউডে পারফরমেন্সে বেশ একটা বিপ্লবের বডি-স্প্রে। তা না করে হঠাৎ কঙ্গাই-ছিপ্পাই! কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবনদর্শন যখন সমষ্টির রেডবুক, তখন সেই ব্যক্তিজীবনের ছায়া সামলে রাখতে হয়। ভান করে ‘পেশাদার’ হওয়া যায়, শিল্পী হওয়া যায় কি? কী জানি, প্রতিবাদ হয়তো কারও কারও পেশা! যদি ব্যক্তিগত জীবন বার বার শিল্পীর কাজকে, দর্শনকে প্রশ্ন করে, তখন প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয়। শ্রদ্ধার জনকে ঘৃণা করতে বড় কষ্ট, পায়ের তলার মাটি বেগানা হয়ে যায়।
অন্ধজনে তবে কে দেবে আলো? বড়রা যদি না ঠিক বড়দের মতো হয়, ছোটদের তো ভারী বিপদ! সব মানুষই একটা সুকুমার মন নিয়ে আসেন, কাজ করেন, সৃষ্টি করেন। কিন্তু যাঁরা চল্লিশের পর মনের বয়সটাকে উলটো দিকে ঘোরাতে পারেন না, তাঁদেরই মুশকিল। বয়ঃপ্রাপ্তির সুযোগে সারা জীবনের যত ম্যালপ্র্যাক্টিস এসে ছেঁকে ধরে। শেষ বয়সে সেই জাল ছিন্ন করে ডি-ক্লাসড হওয়া অত্তো সোজা না। জর্জ বার্নার্ড শ’ তো লিখেই গেছেন: ‘এভরি ম্যান ওভার ফর্টি ইজ আ স্কাউন্ড্রেল!’
পৃথিবীর ইতিহাসে এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি। হাইতির ফ্রান্সিস ডুভেলিয়র। ১৯৪৩-এ নানাবিধ অজানা মহামারীর হাত থেকে অজ্ঞ আনপড় মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে আনায় সরল দেশবাসীরা আদর করে তার নাম রাখেন পাপা ডক। ১৯৫৭ সালে বিপুল জনসমর্থনে হাইতির প্রেসিডেন্ট। তার পর ১৪ বছর ধরে হাইতির ইতিহাস কেবলই রক্তাক্ত। কালো জাদু আর ভুডু চর্চার হাত ধরে ছোট্ট সবুজ অথচ প্রাচুর্যে ভরা দেশটাকে শোষণ আর অন্ধকার থেকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া। সামান্যতম প্রতিরোধ বা প্রতিবাদের শাস্তি মৃত্যু বা নির্বাসন। পুলিশ দ্বারা ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত। প্রায় ষাটের কাছাকাছি এসে আবিষ্কার করেছিলেন অত্যাচারের নয়া তরিকা। বিন্দুমাত্র সন্দেহভাজন হলেই তাঁর বিশেষ পুলিশ (টনটন মাক্যুতে) গিয়ে ধরে আনত। পেট থেকে কথা বার করার জন্য মারধর নয়, হাত-পা বেঁধে ধীরে ধীরে চোবানো হত সালফিউরিক অ্যাসিডের চৌবাচ্চায়। কখনও ইন্টারোগেশন চেম্বারের গোপন ফুুটো দিয়ে, কখনও সামনে দাঁড়িয়ে এটা দেখতেন একদা হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো পাপা ডক। ফরাসি সাংবাদিক অ্যানিক কজঁ জানাচ্ছেন, লিবিয়ার স্বৈরাচারী মুয়াম্মর গদ্দাফি-র কাণ্ড। ১৩ থেকে ১৫ বছরের মেয়েদের বিভিন্ন স্কুল থেকে তাঁর ছ’মাইল বিস্তৃত প্রাসাদ বাব আল-আজিজায় তুলে এনে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হত। লাইনে আনার জন্যে নিয়মিত দেখানো হত অন্য মেয়েদের সঙ্গে গদ্দাফির ব্যভিচার, লাইভ কিংবা রেকর্ডেড পনর্র্। গদ্দাফি যখন তাঁর এই হারেমে রাজ করছেন, তখন তিনি সিনিয়র সিটিজেন। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান যখন হিরোশিমায় বোমা ফেলছেন, তাঁর বয়স ৬১। সিনিয়র বুশ যখন ইরাকে সেনা পাঠাচ্ছেন, তাঁর বয়স ৬৬। আর স্তালিন যখন ট্রটস্কি-সহ বহু রেড আর্মি লিডারদের টিপে-টিপে মারছেন, তিনিও ষাটোর্ধ্ব। তিনি যখন ‘ইহুদিরা আসলে আমেরিকার দালাল’ এই মর্মে রচনা করছেন কুখ্যাত ‘ডক্টরস’ প্লট’, জিউয়িশ অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট কমিটিকে কাঠগড়ায় তুলছেন, আর সোভিয়েতের আনাচেকানাচে পটাপট ইহুদি ডাক্তাররা জাস্ট খুন হয়ে যাচ্ছেন, তখন তাঁর বয়স মাত্র ৭৩।
তা হলে ডিয়ার মেসোমশাই, বুঝতেই পারছেন, বয়স হলেই মানুষ সুন্দর হয় না। তবে এই সব লোকেদের সঙ্গে আপনাদের তুলনা করছি বলে ভুল বুঝবেন না। ওই লোকগুলোর দম আপনার নিম্ন-মধ্যবিত্ত মেরুদণ্ডে কুলোবে না। শুধু বলতে চাইছি, ‘ভাল থাকা’ মানে আসলে ‘ভাল হয়ে থাকা’। আর এই ভাল হওয়ার প্রসেসটা যে রপ্ত করতে না-পারবে, সে বুড়িয়ে যাবে অচিরেই। নানান চর্চিত ও অর্জিত পাপে আকীর্ণ হবে তার অন্তর, অন্দর। কিন্তু হাজার অসুন্দরের মাঝে যিনি পাঁকে পদ্মফুল হয়ে ফুটতে পারেন, তাঁর বয়স বাড়ে না। যেমন বুড়োননি ঈশ্বর, রবি, মোহনদাস কিংবা কান্না-ধোওয়া বৃষ্টিতে একলা হেঁটে যাওয়া চ্যাপলিনের মতো হাজার হাজার। বন্ধুদের আমরা নাম ধরেই ডেকে থাকি।
পপুলেশন রিসার্চ ব্যুরো, ওয়াশিংটন ডিসি-র একটা পরিসংখ্যান: আগামী চার দশকে ভারতে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা নাটকীয় ভাবে বাড়বে। ২০৫০ সাল নাগাদ দেশে ষাট বা ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩২ কোটি ৩০ লক্ষ, যা ২০১২-তে আমেরিকার মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। ভাবুন এক বার, হাটে-মাঠে-বাটে গিজগিজ করছে বুড়ো। ব্যাপারটাকে সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত হিসেবে এড়িয়ে যেতেই পারেন। কিন্তু কেলোটা হল, এই বুড়োগুলো আমরাই! মানে আমরাই তো দেশের ভবিষ্যৎ! ২০৫০-এ আপনারা থাকবেন না, জানি। কিন্তু এইবেলা লজ্জিত হয়ে এট্টু সিট ছেড়ে দাঁড়ান। জাঁকিয়ে বসে ‘ভাল থাকা’র প্র্যাকটিসটা আমরা এ বার শুরু করি।
|
ছবি: সুমন চৌধুরী। |
|
|
|
|
|