জোর করে মাঠ থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগে দুই সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সকালে রামপুরহাট থানার গোপালপুর গ্রামের ঘটনা। ধৃত শিবদাস লেট সিপিএমের বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য এবং দিলীপ মেহেনা রামপুরহাট ১ ব্লকের সারা ভারত কৃষক সভার সভাপতি। এসডিপিও (রামপুহাট) কোটেশ্বর রাও বলেন, “গোপালপুরের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন সাহা ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁদের ধরা হয়েছে।” রবিবার ধৃত দুই সিপিএম নেতাকে রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ধরে ওই গ্রামের একটি খেতজমিতে ধান কাটার কাজ হচ্ছিল। অভিযোগকারী চিত্তরঞ্জন সাহার দাবি, ওই খেতজমি তাঁরই। জোর করে তাঁর জমি থেকে ঝান কেটে নেওয়া হচ্ছে। চিত্তরঞ্জনের আরও অভিযোগ, ওই কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামের সিপিএম নেতারা তাঁর বাড়িতে চড়াও হন। তিনি বলেন, “ওই জমির বর্গাদার দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে ধানের ভাগ দিচ্ছিলেন না। তাই আমি ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বর্গা উচ্ছেদের মামলা করি।” তাঁর দাবি, সম্প্রতি আদালত তাঁর পক্ষে মামলার রায় দিয়েছে। তাই তিনি ওই জমিতে একাই ধান চাষ করা শুরু করেন। কিন্তু ধান পোঁতা থেকে ধান কাটা শুরু হওয়া পর্যন্ত এলাকার সিপিএম নেতারা চিত্তরঞ্জনের উপরে নানা ভাবে অত্যাচার চালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। গত তিন দিন তাঁর জমি থেকে জোর করে ধান নিয়ে চলে যাওয়ায় তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন বলে জানিয়েছেন। এ দিকে সিপিএমের রামপুরহাট জোনাল সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস বলেন, “গোপালপুরের ওই জমি থেকে বর্গাদার উচ্ছেদ হয়েছেন কি না আমার জানা নেই। তবে চিত্তরঞ্জন সাহা নন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও জমির বর্গাদারই ওখানে ধান লাগিয়েছিল। নিজেদের উৎপাদিত ধানই তাঁরা কাটতে গিয়েছিলেন।” |