গত ৯ এবং ১০ নভেম্বর ‘মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ ডেভলপমেন্ট সোসাইটি’র উদ্যোগে দ্বিতীয় ‘মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হল মুর্শিদাবাদ শহরের কাঠগোলা বাগানে। অনুষ্ঠানের লক্ষ্য, বা উদ্দেশ্য কিছুই বোঝা গেল না। অনুষ্ঠানের প্রচার দুর্বল হওয়ায় স্থানীয় মানুষ, পর্যটক কাউকেই সে ভাবে উৎসবে সামিল করা যায়নি। রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগ এই উৎসবে কতটা সক্রিয় ছিল বোঝা গেল না। যদিও তাদের ‘লোগো’ উৎসবের প্রবেশপত্রে ছাপা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাউল ও সুফি গানের ব্যান্ডের দল, শিল্পী নূপুরছন্দা ঘোষ ও পণ্ডিত যশরাজের উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল। সংগীতপ্রেমী মুর্শিদাবাদের অনেকেই এই অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত হলেন। মুর্শিদাবাদে সংগীতপ্রেমী মানুষের সংখ্যা বড়ই নগন্য, দর্শক ও শ্রোতার করুণ উপস্থিতি শিল্পীদের কাছে সেই বার্তাই পৌঁছে দিল। এর দায় অনুষ্ঠান নিয়ে কর্তৃপক্ষের প্রচার বিমুখতা। জেলাবাসীর দুর্ভাগ্য পণ্ডিত যশরাজ ঐতিহাসিক শহরে অনুষ্ঠান করা সত্ত্বেও বেশির ভাগ মানুষ দেখতে পেলেন না। সেই যন্ত্রণা সকলের থেকে যাবে চিরদিন, চিরকাল।
শান্তনু বিশ্বাস, লালবাগ
|
গত ১৭ নভেম্বর পূর্বরেলের হাওড়া বিভাগের কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখার বাজারসৌ ও কর্ণসুবর্ণ স্টেশন দু’টির মধ্যবর্তী এলাকায় রেলের কিছু মেরামতি চলায় ওই শাখায় দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এই রুটিন মেরামতির কাজগুলি রবিবারেই হয়ে থাকে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ মনে রাখলে ভাল করত, ওই দিন ছিল রাস পূর্ণিমা, যে উপলক্ষে এই এলাকার হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে নবদ্বীপ যায়। কিন্তু সড়কপথ পরিবহণের ব্যবস্থা না থাকায় ভরসা সেই ট্রেন। ১৭ নভেম্বর মেরামতির কাজের জন্য ট্রেন বন্ধ থাকায় তাঁরা দুর্ভোগে পড়েন। শুরু হয়েছে আমনধান কাটার মরশুম। মরশুমে ধানের চারা রোপন ও পাকা ধান কাটার সময় সকালের দিকে ওই শাখার তিনটি ডাউন ট্রেনে কৃষি শ্রমিকদের ভিড় হয়। ওই ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য দরকার ট্রেন গুলিতে কিছু অতিরিক্ত কামরা। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।
প্রদীপনারায়ণ রায়, শক্তিপুর
|
কিছু দিন ধরে জঙ্গিপুর মহকুমার অন্যান্য বাজারের মতো রঘুনাথগঞ্জ শহরের বাজারেও ন্যায্য মূল্যে আলু না পাওয়ায় ক্রেতাদের দুর্ভোগ ও কষ্টের সীমা নেই। বাজারে সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে দু’টি দফতর রয়েছে। একটি মহকুমা এগ্রিকালচার মার্কেটিং দফতর ও অন্যটি জঙ্গিপুর নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। কিন্তু ওই দু’টি দফতরই তৎপরতার সঙ্গে বাজারে অভিযান চালিয়ে আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণের সাহস দেখাতে না পারায় ক্রেতারা ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে বাধ্য হচ্ছে। কাদের প্ররোচনায় ও বাধায় এই অপরিহার্য সব্জির দাম ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে তার জবাব কে দেবে?
শান্তনু রায়, রঘুনাথগঞ্জ
|
জঙ্গিপুর মহকুমার ওমরপুর-মুরারই রাজ্য সড়কের বেহাল দশার কারণে যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। যাত্রী বোঝাই যানবাহন চলছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। যে কোনও সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক পথটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি।
আনন্দ মুন্দ্রা, জঙ্গিপুর |