|
|
|
|
টুকরো খবর |
দুই তীর্থের বিধবাদের পুনর্বাসন নিয়ে ভাবনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বৃন্দাবন ও বারাণসীর বিধবাদের আশ্রয় দিতে সরকারি অর্থে পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ নিজেই এই নির্দেশ দিয়েছেন। সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্তকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৯ নভেম্বর বৃন্দাবন ও বারাণসীর বিধবাদের দুর্দশার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন গুরুদাসবাবু। তিনি জানান, হাজার-হাজার বিধবা উত্তরপ্রদেশের ওই দু’টি শহরে দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তরুণী, প্রৌঢ়া, বৃদ্ধা, সব বয়সের বিধবাদের অবস্থাই খুব খারাপ। তাঁদের দেখার কেউ নেই। তথাকথিত কিছু পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সাহায্য করতে পারে। কিন্তু ওই কেন্দ্রগুলির অবস্থাও খুব খারাপ। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি অনুরোধ করেন, সরকার নিজেই একটি কেন্দ্র খুলুক। পুরোপুরি সরকারি অর্থসাহায্যেই চালানো হোক সেই কেন্দ্র। বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য সরকারি কর্তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে বৃন্দাবন-বারাণসীতে পাঠানোর জন্যও অনুরোধ করেন তিনি। চিঠি পেয়ে আজ জবাব দিয়েছেন মনমোহন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গুরুদাস বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে এর আগেও আমি বিভিন্ন বিষয়ে চিঠি লিখেছি। কিন্তু প্রাপ্তিস্বীকার ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। প্রধানমন্ত্রীর থেকে এমন চিঠি এই প্রথম। ওখানকার বিধবাদের জন্য অবিলম্বে সুরাহার প্রয়োজন।”
|
সরকারি কর্তাকে গুলি করে হত্যা হাফলঙে
নিজস্ব প্রতিনিধি • শিলচর |
অফিস থেকে ডেকে এনে সেচ বিভাগের এক এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে দুই দুষ্কৃতী কাছ থেকে গুলি করে মারল। ডিমা হাসাও জেলার পুলিশ সুপার বেদান্ত মাধব রাজখোয়া জানিয়েছেন, আজ বেলা পৌনে একটা নাগাদ দুই বন্দুকধারী হাফলঙে, সেচ বিভাগের কার্যালয়ে হানা দেয়। এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজীব কুমার পাঠককে তাঁর অফিস থেকে বাইরে ডেকে আনে। কেউ কিছু বোঝার আগেই রাস্তায় দাঁড় করিয়ে একে-৪৭ থেকে তাঁকে গুলি করে। এ ফোঁড় ও ফোঁড় করে দেয় তাঁর বুক-পিঠ। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বছর পঞ্চাশের রাজীববাবু। অনেক দিন থেকে তিনি ডিমা হাসাওয়ে কর্মরত। দু’মাস আগে দিয়ুংমুখ থেকে হাফলঙে আসেন ভারপ্রাপ্ত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। তাঁর বাড়ি অসমেরই বরপেটায়। রাজখোয়ার দাবি, দুষ্কৃতীদের সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশি চলছে। ব্যবহৃত কাতুর্জের খোল উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি একে-৪৭ এরই। কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে এসপি তা বলতে না পারলেও ডিএইচডি (অ্যাকশন) স্বীকার করেছে, তারাই গুলি করে মেরেছে পাঠককে। জঙ্গি সংগঠনটির স্বঘোষিত প্রচার সচিব মাওরিং ডিমাসা সংবাদ মাধ্যমকে টেলিফোনে জানান, জঙ্গিকর দিতে অস্বীকার করায় ওই এগজিকিটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
|
হত গারো জঙ্গি
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পুলিশের গুলিতে মারা গেল এক জিএনএলএ জঙ্গি। দুই কট্টর জঙ্গি ধরাও পড়েছে। পুলিশ জানায়, দক্ষিণ পশ্চিম খাসি হিলের একটি গ্রাম থেকে সাকারিয়া থোংনি ও ফোলডেন স্টার লিংডো নামে দুই এইচএনএলসি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য দিকে, পশ্চিম গারো হিলের তুরায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রথমে জ্যাকুইস সাংমা নামে এক জিএনএলএ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে খবর পেয়ে কম্যান্ডো বাহিনী গত কাল সোনাবিল গ্রামে জিএনএলএ ঘাঁটিতে হানা দেয়। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে জিএনএলএ-র এরিয়া কম্যান্ডার তথা মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ইন্ডিয়ান সাংমার মৃত্যু হয়েছে।
|
ধানবাদে যুবক খুনে অভিযুক্ত কাউন্সিলর |
এক যুবককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল ধানবাদ পুরসভার এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের নাম মনোরঞ্জন সিংহ। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। তবে আপাতত কাউন্সিলর ফেরার। ধানবাদের পুলিশ সুপার অনুপ ম্যাথু জানান, তাঁর খোঁজ চলছে। গাড়ি চুরির একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত অঙ্কিত সিংহ নামে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। তদন্তকারীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে ধানবাদের হাউজিং কলোনি এলাকা থেকে অঙ্কিতের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে অমিত মিশ্র নামে অঙ্কিতের এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে। অমিতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সুপার জনান, অমিত জেরার মুখে জানায় ওই কাউন্সিলরের একটি গাড়ি কয়েকদিন আগে চুরি হয়েছিল। কাউন্সিলরের সন্দেহ ছিল, অঙ্কিতই গাড়িটি চুরি করেছে। গাড়ি ফেরত দেওয়ার জন্য কাউন্সিলর অঙ্কিতকে এসএমএসও করেছিল। কিন্তু অঙ্কিত কোনও উত্তর দেয়নি। সোমবার রাতে অঙ্কিত ও অমিত একটি বাইকে চেপে ফিরছিল। পথে ওই কাউন্সিলরের মুখোমুখি হয় তারা। তখন ওই কাউন্সিলর নিজের রিভলবার বের করে অঙ্কিতকে গুলি করে। অমিতের কথার সত্যতা যাচাই করতে ওই কাউন্সিলর এবং অঙ্কিত—দু’জনেরই মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন খতিয়ে দেখে পুলিশ। ঘটনার রাতে সত্যিই হাউজিং কলোনির কাছে দু’জনের উপস্থিতিই মোবাইল টাওয়ারে পাওয়া গিয়েছে।
|
স্টিং অপারেশন বিতর্কে কেজরিওয়ালের দল |
বেআইনি ভাবে টাকা তুলছেন আম আদমি পার্টির উঁচু তলার নেতারা এমন দৃশ্য স্টিং অপারেশনে তুলে রেখেছিল একটি ওয়েব পোর্টাল। সেই বিতর্কিত ভিডিও নিয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে আম আদমি পার্টি। আর ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা। দলের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ওই ভিডিওটি জাল। দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। কেজরিওয়ালের দাবি, ওই পোর্টালটির কাছে আসল ভিডিওটি চাওয়া হয়েছিল। তারা তা দিতে পারেনি। কারণ সেটা নানা দৃশ্য কেটেজুড়ে বানানো জাল ভিডিও। এই বিতর্কে দলের যে সব নেতার নাম জড়িয়েছে, তাঁরা ভোটে লড়তে পারবেন কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। যার প্রেক্ষিতে কেজরিওয়ালের জবাব, যদি নির্বাচন কমিশন মনে করে দেশের আইন লঙ্ঘন করে আম আদমি পার্টি কিছু করেছে, তা হলে তা মানতে আপত্তি নেই। দিল্লির আসন্ন ভোটে লড়বেন যাঁরা, দলের তরফেই সেই প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
|
ঘুষ-ভোট, দুই নেতা বেকসুর |
ঘুষের বিনিময়ে ভোট মামলায় অমর সিংহ ও সুধীন্দ্র কুলকার্ণীকে বেকসুর ঘোষণা করল দিল্লির বিশেষ আদালত। দিল্লি পুলিশ চার্জশিটে এই দুই নেতাকেই ঘটনার মূল পরিকল্পকনাকারী বলে বর্ণনা করেছিল। বিচারক এই দুই নেতাকে ছাড় দিলেও অমর সিংহের প্রাক্তন সহকারী সঞ্জীব সাক্সেনার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপির তিন সাংসদ অশোক আর্গল, ফগ্গন সিংহ কুলস্তে ও মহাবীর সিংহ ভাগোরা ২০০৮-এর ২২ জুলাই অভিযোগ করেছিলেন, লোকসভার আস্থাভোটে ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করার জন্য তাঁদের ঘুষ দেওয়া হয়েছে। তিন জনকে এ দিন চক্রান্তের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন বিচারক। প্রমাণের অভাবে অমর সিংহকে ছাড় দেওয়া হলেও, বিশেষ বিচারক জানিয়েছেন, আডবাণীর সহকারী সুধীন্দ্র কুলকার্ণীর নাম এই মামলায় কোনও ভাবেই জড়ায় না। কারণ, শুধু স্টিং অপারেশন চালানো সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘুষ পাওয়া বিজেপি সাংসদদের পরিচয় করান।
পুরনো খবর: ঘুষ কাণ্ডে জেলে অমর, চাপে কংগ্রেস
|
যৌন হেনস্থার অভিযোগ |
গোয়ায় অনুষ্ঠিত এ বারের ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শঙ্কর মোহন নামে এক উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১৬ নভেম্বর রাতে ওই উচ্চপদস্থ কর্তা তাঁকে হেনস্থা করেন। এবং নিজের অফিসে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মদ্যপানের প্রস্তাবও দেন। তার পর মেয়েটি বাড়িতে সব কথা জানালে পরিবারের লোকেরা তাঁকে দিল্লি ফিরে আসতে বলেন। সোমবার বাড়ি ফিরে বছর পঁচিশের ওই ছাত্রী জানান, গোয়ায় চলচ্চিত্র উৎসবেরই একটি কাজে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “শঙ্কর মোহন আমাকে যা যা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তা খুবই অপমানজনক।” |
|
|
|
|
|