|
|
|
|
১০০ দিনের কাজ নিয়ে দু’দলে অশান্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইন্দাস |
১০০ দিন কাজ প্রকল্পে শ্রমিকদের কাজ পাওয়া এবং সুপারভাইজার নিয়োগ নিয়ে সিপিএম-তৃণমূল কাজিয়ায় ফের অশান্তি ছড়িয়েছে ইন্দাসের শাসপুর এলাকায়। বুধবার দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল হয়।
ইন্দাস ব্লকে ১০টি পঞ্চায়েত। তৃণমূলের দখলে রয়েছে ৯টি। একমাত্র শাসপুর পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে রয়েছে। ওই পঞ্চায়েতেই শ্রমিকদের কাজ দেওয়া এবং সুপারভাইজার নিয়োগে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পক্ষান্তরে, গায়ের জোরে তৃণমূল ওই প্রকল্পে কাজ বন্ধের চেষ্টা করছে বলে পাল্টা অভিযোগ সিপিএমের। দু’দলের তরফেই বুধবার বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। দু’দলের তরফেই একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের কাজ যাতে বন্ধ না হয় এবং শ্রমিকেরা যাতে কাজ পান, তার ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানকে বলা হয়েছে। সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই প্রকল্পে শাসপুর পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রাম সংসদে একটি সেচনালা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। ওই গ্রাম সংসদ থেকে পঞ্চায়েতে নির্বাচিত সদস্য তৃণমূলের। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের সমর্থক শ্রমিকদের ওই সেচনালা সংস্কারের কাজে নেওয়া হয়নি। এমনকী, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সুপারভাইজারদের কাজ তদারকির দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। ওই কাজ নিয়ে চূড়ান্ত দলবাজি করেছে সিপিএম। পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের চম্পা শ্যামের অভিযোগ, “আমি এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমাকে কিছু না জানিয়েই সিপিএমের প্রধান আমার গ্রাম সংসদে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করাচ্ছেন। বুধবার ওই সেচনালা সংস্কারের কাজে যাওয়া আমাদের দলের সমর্থক শ্রমিকদের কাজে নেওয়া হয়নি। প্রতিবাদ করায় তাঁদের মারধরও করেছে সিপিএমের লোকেরা।” ব্লক তৃণমূলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হোসেনের অভিযোগ, “২০১০-১১ অর্থবর্ষে প্রশিক্ষণ নেওয়া বেশ কয়েকজন সুপারভাইজার আমাদের দলের সমর্থক। তাই তাঁদের শাসপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান কাজ দিচ্ছেন না। আমাদের দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের না জানিয়েই সব কাজ হচ্ছে। দলীয় রং দেখে ১০০ দিন প্রকল্পে কাজ করাচ্ছেন সিপিএমের প্রধান।”
যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের দিলীপকুমার রায়। তাঁর দাবি, “সরকারি নিয়ম মেনেই সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে। কোন দলবাজি হয়নি। ওই সেচনালা সংস্কার কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থানীয় একটি স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীকে। যে সব শ্রমিকেরা কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, সকলকে কাজ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৃণমূলের কিছু লোক কাজে বাধা দিচ্ছে।” সিপিএমের ইন্দাস জোনাল সম্পাদক অসীম দাসের অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকেরা পছন্দমতো সুপারভাইজার নিয়োগের জন্য চাপ দিচ্ছিল। ওদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার ওই কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের মারধর করেছে। এলাকায় নতুন করে অশান্তি সৃষ্টির জন্যই এ সব শুরু করেছে ওরা।” |
|
|
|
|
|