হাওড়া পুরভোটের আগে কংগ্রেসের মধ্যে ফের ভাঙন দেখা দিল উলুবেড়িয়া পুরসভায়। বৃহস্পতিবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের চার জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন পবিত্র পাণ্ডে, সমীরণ চক্রবর্তী, মেহরাজ মল্লিক ও রবিয়াল হক মোল্লা।
২০১১ সালের শেষে উলুবেড়িয়া পুরসভায় কংগ্রেসের মধ্যে প্রথম ভাঙন দেখা দেয়। ওই সময়ে কংগ্রেসের চার কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। সে সময়ে ফরওয়ার্ড ব্লকেরও এক কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এ দিনের দ্বিতীয় দফায় ভাঙনের পরে উলুবেড়িয়া পুরসভায় কংগ্রেস কাউন্সিলরদের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১১ থেকে ৩। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের আরও ৪ জন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা হয়ে দাঁড়াল ২০।
২০১০ সালের জুনে উলুবেড়িয়া পুর নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট করে লড়েছিল। ২৯ জন কাউন্সিলর-বিশিষ্ট এই পুরসভায় কংগ্রেস পায় ১১টি আসন, তৃণমূল পায় ১১টি আসন। বাকি ৭টি আসন পায় বামেরা। জোট ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু চেয়ারম্যান পদ নিয়ে কাজিয়া দেখা দেয় দু’দলের মধ্যে। কোনও ঐকমত্য না হওয়ায় ভোটাভুটি হয়। তাতে কংগ্রেসের সাইদুর রহমান ১৩ ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বামেরা ভোটে যোগ দেয়নি। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বোর্ড চলে মোটে এগারো মাস। তারপরেই কংগ্রেসের ৪ কাউন্সিলর ও ফরওয়ার্ড ব্লকের এক জন তৃণমূলে যোগ দেন। বোর্ড তৃণমূলের দখলে চলে যায়। কংগ্রেসের প্রাক্তন পুরপ্রধান সাইদুর রহমান বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে আমরা জানি, ওঁরা তৃণমূলে যোগ দেবেন। ফলে এটা আমাদের কাছে নতুন নয়।” দল ছাড়া কাউন্সিলর রবিয়াল বলেন, “দিদির নেতৃত্বে উন্নয়নের যে কাজ শুরু হয়েছে, তাতে সামিল হতেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত।”
|
টিটাগড়ে খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
টিটাগড় থানা এলাকার বাঁশবাগানে বুধবার রাতে এক যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম মহম্মদ আলি (২৩)। তার নামে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ ছিল। পুলিশের অনুমান, দু’দল দুষ্কৃতীর কাজিয়া থেকেই এই খুন। |
হাওড়ায় গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তিতে দুষ্কৃতীদের কালি লেপন এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মূর্তিতে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারা দিন কলকাতার নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাল সিপিআই। এর আগে সিপিআই-এর আমন্ত্রণে একটি সভায় সিপিএম যায়নি। সিপিআই অবশ্য প্রতিবাদের সময় তা মনে রাখেনি। |