|
|
|
|
সম্পাদক সমীপেষু... |
হেলমেট কাকে বলে? |
|
কলকাতার রাস্তার ধারে ধারে ট্রাফিক পুলিশের একটি বিজ্ঞাপন খুব চোখে পড়ছে, যার মূল বক্তব্য: সবচেয়ে ধীরগতিতে চলা প্রাণীও জানে, হেলমেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রচারবার্তাটির উদ্দেশ্য মহৎ, সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, হেলমেট কাকে বলে? কচ্ছপ সারা দেহে ‘বর্ম’ পরে থাকে, মাথাটি কিন্তু একেবারেই অরক্ষিত। হ্যাঁ, কোনও বিপদ দেখলে সে মাথা ঢুকিয়ে নেয়। কিন্তু মানুষের তো সে উপায় নেই!
অনিন্দিতা রায়। কলকাতা-১
|
‘সুজাতা নয় গো, জয়া’ |
‘ক্ষয় ধরেছে ‘কলের বাঁশি’তে, সংরক্ষণে উদ্যোগী বিশ্বভারতী’ (৮-১১) প্রতিবেদনে রামকিঙ্করের ‘সুজাতা’ ভাস্কর্যটি সম্বন্ধে লেখা হয়েছে, তিনি ‘সুজাতা এবং সিদ্ধাথর্র্কে নিয়ে বৌদ্ধ সাহিত্যের এই বিখ্যাত গল্পটিকে ভাস্কর্যে রূপ দিয়েছিলেন’। উক্তিটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। রামকিঙ্কর বৌদ্ধ সাহিত্যের গল্পকে রূপ দেওয়ার জন্য এই ভাস্কর্য গড়েননি।
১৯৩৫ সালে তৈরি এই ভাস্কর্য সম্পর্কে রামকিঙ্কর বলেছেন:
‘সুজাতা’ এ নাম কিন্তু আমি দিইনি। কাছেই ছিল বুদ্ধমূর্তি। এখনকার কংক্রিটের বুদ্ধ নয়। সেই পুরানো বুদ্ধ গোবরমাটি আলকাতরার।... সেই বুদ্ধের দিকেই চলেছে আমার এই মেয়ে। নন্দবাবু নাম দিলেন, সুজাতা। ...তবে মূর্তি গড়ার সময় একটা চেহারা ছিল মনে সুজাতা নয় গো, জয়া জয়া আপ্পাস্বামী। ছাত্রী ছিল কলাভবনের। লিকলিকে লম্বা। পরে সে মোটা হয়ে গেছে। ছাত্রীর চেহারাটাই করে দিলাম। হাতে আসন আছে, দেখেছো নিশ্চয়ই। মাথার ভাঁড়টা জুড়েছি মাস্টার মশাইয়ের সাজেশনে, পরে। ...কাঁকর সিমেন্টের কাজ ওটাই প্রথম। মূর্তি শেষ হতেই নন্দবাবু গাছ লাগিয়ে দিলেন। গাছগুলো একটু বড় হতে মিলেমিশে হল বেশ।... জয়ার চেহারা গাছের মতো মাটি থেকে পাক খেয়ে উঠেছে। মিকেলঅ্যাঞ্জেলোর মোজেস মনে পড়ছে? এমনি পাক খাওয়া।’ (‘শিল্পী রামকিঙ্কর আলাপচারি’, সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সংকলিত, ১৯৯৪, পৃ ২৭-২৮)
‘সুজাতা’-কে বলা যেতে পারে ভারতের আধুনিকতাবাদী ভাস্কর্যের প্রথম পর্বের অন্যতম প্রধান দৃষ্টান্ত।
মৃণাল ঘোষ। কলকাতা-১১০
|
চাই আর এক জন |
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রায় নিত্য খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও কোনও বড় ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্ত কমিশন গঠন করছেন। কিছু দিন পর আবার আর এক চিকিৎসা বিভ্রাট। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একা সামলাতে পারছেন না। তাই প্রস্তাব: আর এক জন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চাই। তাঁদের মধ্যে কাজ ভাগ করে দিলে স্বাস্থ্যের ব্যাধি প্রশমিত হতে পারে।
কবীন্দ্রনাথ শীল। কলকাতা-৯
|
ভিক্টোরিয়া: আলো ও ধ্বনি |
‘শহরে বিবিধ দ্রষ্টব্যের শ্রী বৃদ্ধির উদ্যোগ’ (‘কলকাতা’, ১৭-১১) শীর্ষক যে সংবাদটি ছাপা হয়েছে, তাতে লেখা হয়েছে যে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আলো ও ধ্বনির অনুষ্ঠানটি কয়েক বছর ধরে বন্ধ। এই বক্তব্যটি তথ্যগত ভাবে ঠিক নয়। বর্ষার কারণে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, এই তিন মাস বাদ দিয়ে সারা বছরই এই অনুষ্ঠান চালু থাকে, এবং আজ দুই দশকেরও বেশি রয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য অল্প কয়েক দিন হল এই অনুষ্ঠান সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে। আশা করা যায় দু’সপ্তাহের মধ্যেই আবার চালু হবে।
জয়ন্ত সেনগুপ্ত। কলকাতা
|
‘অসম্ভব প্রকল্প’ |
আমার লেখা প্রবন্ধে (‘সত্যিই কি তিনি ‘রহস্যপুরুষ’, পুস্তক পরিচয়, ১৬-১১) ছাপা হয়েছে ‘...যা তৈরি করেছে এক কৌতূহলজনক লিটরারি কন্সট্রাক্ট। এ এক অসম্ভব প্রবন্ধ।’ হবে ‘এ এক অসম্ভব প্রকল্প।’
চিন্ময় গুহ। কলকাতা-১৯ |
|
|
|
|
|