|
|
|
|
পরম পাঁচালি |
গোয়ায় ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-য়ের প্রতিযোগিতায় তিনি। সেরা
অভিনেতার
পুরস্কারের দৌড়ে। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-এর সঙ্গে আড্ডায় প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত। |
০২২,০৩৩ আর ০৮৩২ কোন এসটিডি কোডটা ডায়াল করে আপনাকে আজকাল ফোনে ধরা যায়? নাকি বলবেন এখন তো মোবাইলের যুগ। তাই ফোন নম্বরের আগে জিরো ডায়াল করলেই হবে...
(হাসি) হ্যাঁ, মোবাইল নম্বরের আগে তো একটা জিরো ডায়াল করলেই দেশের যে কোনও প্রান্তে থাকলেই যোগাযোগ করা যায়।
মানে কলকাতা, মুম্বই, না গোয়ার পানাজি আগামী দশ দিন কোথায় সব চেয়ে বেশি দেখা যাবে আপনাকে?
মঙ্গলবার থেকেই আমি গোয়াতে। ভারতীয় সিনেমাকে নিয়ে এনএফডিসি আয়োজিত প্যানেল ডিসকাশনে আমি ছিলাম। তার পর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অপুর পাঁচালি’র স্ক্রিনিং পর্যন্তও থাকব। এটি থাকছে ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে। এটিই একমাত্র বাংলা সিনেমা, যেটি এ বছর কম্পিটিশনে আছে।
আরও চারটে বাংলা সিনেমা তো এ বার ইফি-র প্যানোরামাতে। তাদের মধ্যে শুধু ‘অপুর পাঁচালি’ প্রতিযোগিতায়। এটা ভাবলে আপনার মধ্যে যে অভিনেতার ইগোটা রয়েছে, তাতে কোনও প্রভাব পড়ে?
‘ইগো’র থেকেও বেশি যেটা বলব, তা হল এর জন্য মনে সুন্দর অনুভূতির সঞ্চার হয়। গর্ববোধ তো হয়ই।
এ দেশ থেকে নাসিরুদ্দিন শাহ্-কে নিয়ে করা ‘কফিন মেকার’-ও সেই প্রতিযোগিতায়। এক লেজেন্ডারি অভিনেতার সঙ্গে বেস্ট অ্যাক্টর পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতার অনুভূতিটা কেমন? যদিও উনি হয়তো প্রতিযোগিতার উর্ধ্বে...
উনি তো আমার আইডল। প্রতিযোগিতার কোনও প্রশ্নই নেই।
অন্যান্য বিদেশি ছবি, যেগুলো কম্পিটিশনে রয়েছে, তাদের খোঁজ রেখেছেন?
কিছুটা জানি। কিন্তু আমি প্রতিযোগিতা হিসেবে ব্যাপারটাকে দেখছি না। ‘অপুর পাঁচালি’ জিতবে কি না তাও ভাবছি না। আমি কৌশিকদাকে অনেক দিন ধরে দেখছি। দেখেছি কী ভাবে ও নিজের ক্ষেত্রে সেরা হয়ে উঠেছে। কৌশিকদার চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতাটাও অসাধারণ। যেটা বিরল একটা প্রতিভা। আমার মনে হয় কৌশিকদার বানানো সিনেমাগুলোর ভেতর ‘অপুর পাঁচালি’ সবার সেরা। আমার আরও যে জিনিসটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, তা হল বিশ্বের তাবড় তাবড় ভাল সিনেমার সঙ্গে এই ছবিটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় রয়েছে। আর দু’টি মাত্র ভারতীয় ছবি, যা ওই জায়গাতে পৌঁছতে পেরেছে। সেটাই বড় অ্যাচিভমেন্ট। আমাদের এই সিনেমাটা সম্পর্কে দেশের আর বিদেশের দর্শকের প্রতিক্রিয়াটা জানতে আমি দারুণ ইচ্ছুক।
বেস্ট অ্যাক্টর পুরস্কার জিতলে কিন্তু টাকার অঙ্কটা অনেক। নাকি আমি অভিনেতা, ওই সব টাকা ইত্যাদি বুঝি না- গোছের একটা উন্নাসিক ভাব আপনার?
(হাসি) সত্যি কত, সেটাও জানি না...
বেস্ট অ্যাক্টর মানে কুড়ি হাজার ইউএস ডলার। কনভার্ট করলে সেটা দাঁড়ায় ১২,৪৪,২৪০ টাকায়। আর বেস্ট ডিরেক্টর পাবেন তিরিশ হাজার ইউএস ডলার। কনভার্ট করলে টাকার পরিমাণ হয় ১৮,৬৬,০০০... এ ছাড়াও রয়েছে তিরিশ হাজার
ইউএস ডলারের স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড...
টাকার অঙ্কটা শুনে সত্যিই আমার আলাদা কোনও লোভ হচ্ছে না। সম্মানটাই আমার কাছে বড়।
যে চারটে বাংলা সিনেমা প্রতিযোগিতায় নেই, তাদের পরিচালক আর অভিনেতাদের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা কেমন? এতে কি শত্রু বাড়ল?
এত ছোট একটা ইন্ডাস্ট্রি। শত্রুতার জায়গা কোথায়? যে ক’জন আছি, সবাই মিলে বন্ধু হয়ে কাজ করাই ভাল। |
|
সত্যি কি তা হয়? সাফল্য বা সাফল্যের সম্ভাবনা থেকেই তো অনেক সময় ‘দোস্ত দোস্ত না রহা’ হয়ে যায়...
সে ভাবে দেখতে গেলে প্রত্যেকটা নতুন সিনেমা সই করলেই নতুন শত্রু তৈরি হয়। এটা শুধু ফিল্মের দুনিয়ার সত্য নয়। জীবনের বড় সত্য এটাই।
আচ্ছা, এই ইফি-তে প্যানেল ডিসকাশন ইত্যাদির পরে তো আপনার ‘আঁতেল’ ইমেজটা আরও স্ট্রং হয়ে উঠবে, তাই না?
কিছুটা হলেও এই ইমেজটা নিয়ে আমি বাঁচতে শিখেছি। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে বুদ্ধিদীপ্ত আর আঁতেলকে গুলিয়ে ফেলা হয়।
এতে কি আপনার কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হয়? কেউ কি ভাবে যে পরম মানেই তো খুব কঠিন বিদেশি সিনেমা নিয়েই গল্প করবে?
আমি সব ধরনের সিনেমা দেখি। যেমন বুনুয়েল দেখি, সেই সঙ্গে মনমোহন দেশাইটাও দেখি। সমস্যা হল যে আমি যখন সিনেমা নিয়ে আলোচনা করেছি, তখন শুধুমাত্র এই বুনুয়েল নিয়েই কথা বলেছি হয়তো। মনমোহন দেশাইটাও যে আমার দেখতে ভাল লাগে, সেটা আমার বলা হয়ে ওঠেনি। তাই লোকে ভাবে আমি বোধহয় শুধুমাত্র ‘আঁতেল’ সিনেমা দেখি। ‘হাওয়া বদল’ পরিচালনা করেছি। সেই সময় তো এটাও শুনেছি যে ছবিটা ভাল। কিন্তু এ বার আমার একটা সিরিয়াস ফিল্ম বানানো উচিত!
বলিউডে অনেক নতুন অভিনেতাই বিদেশে সিনেমা নিয়ে পড়াশুনো করেছেন। আপনি তো টলিউডের একমাত্র অভিনেতা যিনি কাজ করতে করতে বিদেশে গিয়ে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশুনো করেছেন। পরিচালনার সময় মনে হয় না এমন সিনেমা বানাই যা ফেস্টিভ্যালে দেখানো হবে? শুধু বক্স অফিসে বাণিজ্য নয়...
আমি সারা পৃথিবীর সিনেমা নিয়ে পড়াশোনাটা করেছি। আমার কাছে গ্রাউন্ড রিয়েলিটিটা গুরুত্বপূর্ণ। সারা পৃথিবীর সিনেমাতে শিল্প আর বাণিজ্য বিভাজনটা উঠে গিয়েছে। আমি এই দু’টোর মধ্যে বিরোধ দেখি না। ফেস্টিভ্যালে যে ছবি যায়, সেটা শুধুমাত্র আর্ট সিনেমা নয়। যেহেতু বিদেশি সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করেছি, তাই বলে কিন্তু বাণিজ্যমুখী সিনেমা করতে আমার দ্বিধা নেই। তবে সেটা নান্দনিক হতে হবে। একটা প্রবাদ আছে থিঙ্ক গ্লোবালি অ্যাক্ট লোকালি। নিজের সিনেমার যত বড় অডিয়েন্স তৈরি করা যায়, সেটা আমি চেষ্টা করি। তার সঙ্গে ফেস্টিভ্যালে যদি সেটা যায়, তা হলে তো দারুণ ব্যাপার। আগে লোকে দেখুক। তার পর তো ফেস্টিভ্যালে যাওয়া।
বলিউডে আজকাল কাজ করছেন। ওখানে আপনার ইমেজটা কী রকম? অফ ক্যামেরা আপনি কি ওখানেও ‘আঁতেল’ ইমেজটাই পছন্দ করেন?
বলিউডে সব থেকে বড় বিষয় হল আপনাকে বুঝতে হবে নিজেকে কী ভাবে প্রেজেন্ট করতে হয়। আমি চাই ওখানে আমার একটা সর্বভারতীয় ইমেজ থাকুক। এই নয় যে আমি একজন বাঙালি অভিনেতা হয়েই চিহ্নিত হয়ে থাকি। হ্যাঁ, আমি আদ্যন্ত বাঙালি। বাঙালি ভাবেই মানুষ হয়েছি। তবে সেই ঝান্ডা নিয়ে আমাকে তো আর সব সময় ঘুরতে হবে না। আমি যতটা বাঙালি, ততটাই ভারতীয়। আমি বাঙালি বলে আমাকে শুধুমাত্র বাংলা চরিত্রই দেওয়া হোক, তা আমি মনে করি না। আর মুম্বইতে আরও একটা ব্যাপার খুব জরুরি। ইরানি সিনেমা নিয়ে আলোচনা করার মানুষ ওখানে আছেন। কিন্তু ওখানে একটাই কথা। আর ইউ ডেলিভারিং অর নট?
মোদ্দা কথা হল তুমি আঁতেল হও বা না হও, শেষ পর্যন্ত তোমার কাজটা কি সাফল্য আনছে সেটাই কি ওখানে গুরুত্বপূর্ণ?
হ্যাঁ, ওখানে যে কাজটা দেওয়া হচ্ছে, সেটা ঠিকঠাক করছ কিনা সেটাই সব চেয়ে জরুরি।
আপনি তো ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-য়ের রিমেক-য়ে রয়েছেন। অনীক দত্ত তো ইন্টারভিউতে বলেছেন যে ওঁর এই সিনেমাটা এ ভাবে বানানোর সম্পর্কে একটা রেজার্ভেশন আছে। হিন্দি সিনেমার শু্যটিংটা করার পর অনীকবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে?
এই তো কিছু দিন আগে ওঁর সঙ্গে একটা বিজ্ঞাপনেও কাজ করলাম। ‘গ্যাং অব ঘোস্টস’য়ে শ্যুটিং করেছি। তা নিয়ে একটু কথা হল। তবে বেশি কিছু নয়।
‘আশ্চর্য প্রদীপ’ দেখেছেন?
না, দেখা হয়নি।
আপনি নিজে পরিচালক। অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ পরিচালক হিসেবে কেমন হবেন বলে মনে হয়?
রুদ্র আমার অনেক দিনের বন্ধু। একটা সময় প্রোডাকশন হাউস করেছিলাম। রুদ্র এক অসাধারণ অভিনেতা বলে বিশ্বাস করি। তবে পরিচালক রুদ্রকে নিয়ে আমার একটু সন্দেহ আছে।
২০১৩-তে প্রচুর বাংলা সিনেমা করেছেন। তবে আপনাকে আজকাল খুব একটা কলকাতার পার্টিগুলোতে দেখা যায় না। এটা কি শুধুমাত্র কর্মব্যস্ততার কারণে?
একটু রেক্লুজ হয়ে গিয়েছি। যেহেতু অনেকটা সময় কলকাতার বাইরে থাকতে হয় কাজের সূত্রে, তাই এমনিতেই ওই সার্কিটটার বাইরে থাকতে হয়। আর এই ‘এলিট’ ফিল্ম সার্কিটে তো হাতে গুনে ১৫ জন মানুষ আছেন। সেখানে দু’টো জিনিস হয়ে থাকে। স্ক্র্যাচিং দ্য ব্যাক, অর বিচিং। হয়তো সামনে কেউ বলল দারুণ ভাল লাগছে কাজটা। কিন্তু পেছনে গিয়ে বলল অন্য কথা। এই সব থেকে নিজেকে একটু দূরে রাখি।
‘কহানি’র প্রযোজক জয়ন্তীলাল গাদা তো ‘গ্যাং অব ঘোস্টস’য়ের পরিবেশনা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। শুনেছিলাম, উনি নাকি আপনাকে কুন্দন শাহ-র সিনেমা (যেটাকে অরিজিনালি ‘কহানি ২’ বলা হচ্ছিল) করতে জোরাজুরি করেছিলেন...
হ্যা। অনেক বার ফোন করেছিলেন। আমি স্ক্রিপ্টটা পড়েছি। ওটা একটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। কুন্দন শাহ কী সব দারুণ দারুণ সিনেমা করেছেন! আমাকে দেওয়া হয়েছিল এক পুলিশ অফিসারের চরিত্র।
সেই ইন্সপেক্টর রানার মতো কাউকে রেখে আবার ‘কহানি’র গন্ধটা রেখে দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি...
আমি তা জানি না। ডেট-য়ের সমস্যা ছিল। কয়েকজন পুলিশ অফিসারের চরিত্র আমি করেছি। ঠিক করেছিলাম যে ওটা করব না। অনেক বার ফোন আসত। শেষে তা থেমে যায়।
শুধু ইন্সপেক্টরের চরিত্র বলেই না করলেন?
না...কুন্দন শাহ-কে আমি শ্রদ্ধা করি। কাল্ট সিনেমা বানিয়েছেন। কিন্তু এই স্ক্রিপ্টটা পড়ে ‘ডেটেড’ মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল সময়োপযোগী নয়।
‘ট্রাফিক’ ছবিটি করে তো আপনি দারুণ উত্তেজিত...
অদ্ভুত একটা জিনিস শুনলাম ওটা করতে গিয়ে। ‘কহানি’ দেখার পর কেরলে নাকি অনেকেই ভাবে যে আমি মালয়ালি...শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতাটা খুব ভাল। ছবিতে বুম্বাদা একজন ফিল্মস্টার। আমি একজন ডাক্তার। মনোজ বাজপেয়ী কনস্টেবলের ভূমিকায়। বুম্বাদার সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। মনোজের সঙ্গে এই প্রথম। দারুণ অভিনেতা তো বটেই। মানুষ হিসেবেও দারুণ। আর খুব মজা করতে ভালবাসেন। একদিন আমি ওকে বলছিলাম যে পরের দিনটা যদি ছুটি হয়, তা হলে... কথা শেষ হওয়ার আগেই ও বলল: ‘নাঙ্গা নাচেঙ্গে!’ ভাবুন তো, কী সেন্স অব হিউমার! তার পর ওর ঘরে গেলাম। ওয়াইন আর আড্ডা। কী দারুণ জমেছিল।
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত আনন্দplus-য়ের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে কলকাতাতে স্টার বলতে উনি বোঝেন বুম্বাদা, দেব আর জিৎ। আর চমৎকার অভিনেতা বলতে বোঝেন শাশ্বত, আবির আর আপনাকে। কারণ ওঁর ভাষায় স্টারডম কথাটা জনপ্রিয় সিনেমার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য...
আমি ইন্দ্রনীলের সঙ্গে একমত নই। জনপ্রিয়তা ব্যাপারটা জায়গা স্পেসিফিক। দর্শক স্পেসিফিক। এই তো সেদিন কলকাতার মধ্যেই একটা জায়গায় আমি গাড়ি থেকে নামতেই পারলাম না। আমি হয়তো দশ জন মানুষের কাছে স্টার। দেব বা জিৎ হয়তো একশো বা দু’শো জনের কাছে স্টার। জনপ্রিয়তার ডিগ্রিটা এই দশ জনের কাছেও যা, একশো জনের কাছেও তাই।
বলিউডে তো স্টারদের ছেলেরা ছাড়াও কিছু জনপ্রিয় সিনেমার মূখ্য চরিত্র হিসেবে মুম্বইয়ের বাইরে থেকে আসা অভিনেতাদের নেওয়া হচ্ছে। যেমন সুশান্ত সিংহ রাজপুত (‘কাই পো ছে’, ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’), রণবীর সিংহ (‘ব্যান্ড বাজা বারাত’, ‘রাম-লীলা’)। ওঁরা বলিউডে যে ধরনের বাণিজ্যিক সিনেমা করছেন, আপনি কি সেই ঘরানার সিনেমা করার ডাক পাওয়ার আশা রাখেন?
বলিউডে ওই পার্থক্যটা বড় নয়। বড় প্রোডাকশন হাউস, লবির ব্যাপার আছে। আমি তো ওখানে নবাগত। যে ক’টা ফিল্ম করেছি, সেগুলো আমার কাছে এসেছে। সেই স্ক্রিপ্টগুলোর কনটেন্ট ভ্যালু দেখছি। আমি যতটা মুম্বইয়ের অভিনেতা, ততটাই কলকাতারও। সুশান্ত সিংহ রাজপুত বা রণবীর সিংহ-র মতো সিনেমা করার টার্গেট নিয়ে বলিউডে কাজ খুঁজছি না। |
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল |
|
|
|
|
|