৭৪-এ শেষ অন্তিম যুদ্ধ, শতরান রোহিত-পূজারার |
দেওনারায়ণের বলে স্যামির তালুবন্দি হলেন তিনি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা শুরু করল ছোটোখাটো চেহারাটা। সম্ভবত শেষবারের মতো। আর সঙ্গে সঙ্গেই যেন বজ্রাহত হল ওয়াংখেড়ে-সহ আপামর ক্রিকেটবিশ্ব। সচিন তেন্ডুলকরের বড় রান দেখতে আজ ওয়াংখেড়ের দিকে তাকিয়ে ছিল আট থেকে আশি। সচিনকে দেখতে আজও মাঠে উপস্থিত গোটা তেন্ডুলকর পরিবার। মাঠে এসেছেন সস্ত্রীক আমির খান, হৃত্বিক রোশন, যুবরাজ সিংহ, হরভজন সিংহ, দিলীপ বেঙ্গসরকর, রাহুল গাঁধী-সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব।
|
শুরুটা রাজকীয় ভঙ্গিতেই করেছিলেন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’। শিলিংফোর্ডের প্রথম ওভারেই মেরেছিলেন দু’টি অসাধারণ বাউন্ডারি। টিনো বেস্টের বলে সকলের হৃদ্স্পন্দন বাড়িয়ে জোরালো কট বিহাইন্ডের আবেদন নাকচ করেন আম্পায়ার। সেই বেস্টের বলেই বাউন্ডারি মেরে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। প্রত্যাশার পারদ যখন ঊর্ধ্বমুখী তখনই শতরান থেকে ২৬ রান দুরে থেমে গেলেন লিটল মাস্টার। শেষ হল ২৪ বছরের রূপকথার।
এ দিকে চেতেশ্বর পূজারা ও রোহিত শর্মার শতরানে ভর করে রানের পাহাড়ে ভারত। টেস্টে পূজারার এটি পঞ্চম শতরান। রোহিতের দ্বিতীয়। পর পর দু’টি টেস্টে শতরান করলেন তিনি। অর্ধশতরান করেছেন বিরাট কোহলিও। সচিন-পূজারার ব্যাটে ভর করে মধ্যাহ্নভোজের আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৮২ রানের গণ্ডি টপকে যায় ভারত। এর পর বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পূজারা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ভারতকে। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে শিলিংফোর্ডের বলে আউট হন কোহলি। ১১৩ রানে সেই শিলিংফোর্ডের বলেই আউট হন পূজারা। বেস্টের বলে ফিরে যান ধোনিও। ৩০ রানে গ্যাব্রিয়েলের বলে আউট হন অশ্বিন। চা বিরতির পরেই শিলিংফোর্ডের বলে আউট হন ভুবনেশ্বর কুমার। পাওয়েলের থ্রোতে রান আউট হন ওঝা। ভুবনেশ্বরের ক্যাচ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে এক ইনিংসে পাঁচটি ক্যাচের রেকর্ড করেন স্যামি। সিলিংফোর্ড পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। দশম উইকেটে রোহিত-সামি জুটি যোগ করেন ৮০ রান। ওয়াংখেড়েতে এটি দশম উইকেটে রেকর্ড পার্টনারশিপ। সামি ১১ রানে দেওনারায়ণের বলে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়তেই ৪৯৫ রানে শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস। রোহিত শর্মা ১১১ রানে অপরাজিত থেকে যান। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের স্পিনের সামনে ধরাশায়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের শেষে পাওয়েল, বেস্ট ও ব্রাভোর উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে মাত্র ৪৩ রান। অশ্বিন দু’টি ও প্রজ্ঞান ওঝা একটি উইকেট নিয়েছেন।
|
শিশুমৃত্যুতে ভাঙচুর নার্সিংহোমে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
শিশুমৃত্যুর অভিযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর করল উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কড়েয়া থানার তিলজলা রোডে। নার্সিংহোমের মালিক মাকসুদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা ফারজানা খাতুন বেশ কয়েক দিন ধরেই নার্সিংহোমটিতে ভর্তি ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি সন্তানের জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শিশুটি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকালে ফারজানা দেখেন, শিশুটি মারা গিয়েছে। তার পরেই তাঁর পরিজনেরা এবং এলাকার বাসিন্দারা নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান।
|
মালদহে
দুষ্কৃতী-পুলিশ লড়াই
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
মালদহের সাকুল্লাপুর গ্রামে দুষ্কৃতী-পুলিশ গুলির লড়াইয়ে জখম হলেন চার পুলিশকর্মী। পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে দুই দুষ্কৃতীও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গঙ্গা লাগোয়া সাকুল্লাপুরের সামনেই আগে থেকে খবর পেয়ে ওই দুষ্কৃতীদের জন্য ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ দুষ্কৃতী দল গ্রামে ঢুকতেই শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত গুলির লড়াইয়ের পর পিছু হঠে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের দিকে গুলি-বোমা ছুড়তে ছুড়তে যন্ত্রচালিত বড় নৌকা করে নদী পেরিয়ে বিহারে পালায় তারা। কিন্তু মালদহের পুলিশকর্তারা তত ক্ষণে বিহার পুলিশকে খবর পাঠিয়ে দিয়েছেন। শেষে নদীর ওপারে বিহারের আমদাবাদ থানার পুলিশের তত্পরতায় গ্রেফতার হয় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত দুই দুষ্কৃতী। মালদহের জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই দুষ্কৃতীদের এ রাজ্যে আনতে পুলিশের একটি দল বিহারে যাচ্ছে। পুলিশের দাবি, সাকুল্লাপুরের কয়েকজন স্বচ্ছ্বল ব্যবসায়ীর বাড়িতেই ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেছিল ওই দুষ্কৃতী দল। দলে অন্তত কুড়ি জন ছিল। ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশকর্মীরা ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া ৪২টি তাজা বোমা, দু’টি পাইপগান, ৮ টি হাঁসুয়া, ৬ রাউন্ড খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। |
নাসিকের কাছে বেলাইন মঙ্গলা এক্সপ্রেস, মৃত অন্তত দুই |
ফের রেল দুর্ঘটনা। শুক্রবার ভোর ছ’টা ২০ নাগাদ নাসিকের ঘোটির কাছে বেলাইন হয় ১২৬১৮ নিজামুদ্দিন-এর্নাকুলাম মঙ্গলা এক্সপ্রেসের দশটি কামরা। দুর্ঘটনায় অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। আহত ৩৭জন। আহতদের ঘোটি, কাসারা ও নাসিকের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রিলিফ ট্রেন। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। দুর্ঘটনার ফলে বাতিল করা হয়েছে মানমাদ-কুর্লা-গোদাবরি এক্সপ্রেস, মানমাদ-মুম্বই পঞ্চবটি এক্সপ্রেস-সহ একাধিক ট্রেন। লাসালগাঁও স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে সেবাগ্রাম এক্সপ্রেস ও রাজ্যরানি এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শুরু করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। |