রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তূপে গুটিসুটি মেরে পড়েছিল সে। খিদে-তেষ্টা-ঠান্ডায় যখন মরোমরো অবস্থা, তখনই চোখে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা পর্বতারোহী জোয়ানে লেফসনের। সেই সুবাদেই সে পা রাখল সাড়ে সতেরো হাজার ফিটেরও বেশি উচ্চতায় এভারেস্ট বেসক্যাম্পে। সে আর কেউ নয়, রুপি নামের একটি কুকুর। বয়স দশ মাস। প্রথম ভারতীয় কুকুর হিসেবে এভারেস্ট বেসক্যাম্পে পৌঁছোনোর রেকর্ড গড়ল রুপি।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন গল্ফ খেলোয়াড় লেফসন সম্প্রতি হিমালয়ে নানা অভিযান করেছেন। চলতি বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে লাদাখে লে-এর একটি গ্রামে রাস্তার পাশে রুপিকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তখন তার বয়স আট মাস। তিনি বলেন, “ছানাটার হাড় জিরজিরে অবস্থা দেখেই বুঝেছিলাম, বেশ কয়েক দিন খাবার জোটেনি। ওই অবস্থায় ছেড়ে আসতে পারলাম না।” মাস খানেকের মধ্যেই লেফসনের আদরে চেহারা ফেরে রুপির। সুযোগও আসে অভিযানের। |
এভারেস্ট বেসক্যাম্পে রুপি। ছবি: এএফপি। |
নেপালের লুকলা থেকে শুরু হয় যাত্রা। ৮ দিনের ট্রেকিংয়ে বেশ কয়েক বার ঝড়-বৃষ্টি-তুষারপাত কাবু করেছে লেফসন-রুপিকে। তবে রুপিকে আগলে রেখে, সুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে অক্টোবরের ২৬ তারিখে এভারেস্ট বেসক্যাম্প পৌঁছে যান লেফসন। তাঁর কথায়, “ও খুব মজা করেছে। সুযোগ পেলেই বরফ খেয়েছে, গড়াগড়ি দিয়েছে বরফে। বাধা না দিলে, হয়তো বরফে ঘুমিয়েও পড়ত।” বললেন, “ভেবেছিলাম আমি রুপিকে নিয়ে অভিযানে যাব। কিন্তু ও-ই আমাকে টেনে নিয়ে গেল।”
রুপি রেকর্ড গড়লেও, লেফসনের ক্ষেত্রে কিন্তু এমন ঘটনা প্রথম নয়। ২০০৯ সালে অস্কার নামের একটি কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীর ৩২টি দেশে ঘুরে নজর কেড়েছিলেন তিনি। অস্কারের কথা ভেবেই এই অভিযানের পরিকল্পনা করেছিলেন লেফসন। কিন্তু জানুয়ারিতে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায় অস্কার। লেফসনের সেই স্বপ্নই পূরণ করল ভারতের পাহাড়ি কুকুর রুপি।
|
আমলকি চারা বিলি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের অধীন ভেষজ উদ্ভিদ পর্ষদের উদ্যোগে বুধবার কালনার চারটি স্কুলে প্রায় দু’হাজার ছাত্রছাত্রীদের আমলকি চারা দেওয়া হল। চন্দনগরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ওই চারা বিলি করা হয়। কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রীমন্ত ঘোষ জানান, আমলকির মধ্যে অজস্র ভেষজ গুণ রয়েছে। পড়ুয়াদের সেকথা জানাতেই এই উদ্যোগ। |