টাটকা খবর
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে সিবিআই প্রধান
বেটিংকে বৈধতা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে ধর্ষণের উপমা টেনে বিতর্কে জড়ালেন সিবিআই অধিকর্তা রঞ্জিত সিন্হা। তাঁর ইস্তফা দাবি করেছেন মহিলা কমিশনের সদস্য থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেত্রী, সকলেই।
সিবিআইয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান চলছে রাজধানীতে। গত কাল তারই অংশ হিসেবে ক্রীড়াজগতে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একটি আলোচনাসভায় যোগ দেন সিন্হা। সেখানে বেটিংকে বৈধতা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে নানা উপমা টানেন তিনি। বেটিং বন্ধ করার উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে কি না সেই প্রশ্নও তোলেন। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হঠাত্‌ বলে বসেন, “বেটিং বন্ধ করতে না পারলে তাতে আইনি সিলমোহর দেওয়া উচিত। কথায় আছে ধর্ষণ আটকাতে না পারলে তা উপভোগ করুন। এটাও সেই ধরনের ব্যাপার।”
সিবিআই প্রধানের এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে শোরগোল। নানা শিবিরের মতে, আইনের এক রক্ষকের মুখে এই মন্তব্য গভীর এক সামাজিক ব্যাধির প্রতিফলন। মহিলা কমিশনের সদস্য নির্মলা সামন্ত প্রভালকরের দাবি, “যে পদে উনি আছেন তাতে এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই অনভিপ্রেত। এটা জঘন্য মানসিকতার পরিচয়।” কমিশন ইতিমধ্যেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে সিন্হাকে নোটিস পাঠিয়েছে। ওই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন মমতা শর্মাও। তাঁর কথায়, “আমরা ভাবতাম কেবল নিচুতলার সরকারি কর্মীদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এখন বোঝা যাচ্ছে শীর্ষকর্তাদের সচেতনতাও বাড়াতে হবে।’’ কমিশন সিন্হাকে সরানোর সুপারিশও করতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্মলা।
সম্প্রতি বেশ কিছু বিতর্কে জড়িয়েছে সিবিআই। কোনও কোনও মামলায় তারা এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র। কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় কার্যত কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে ওই তদন্তকারী সংস্থা। আবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে তার নাম ‘কংগ্রেস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ দিয়েছে কিছু রাজনৈতিক দল। সিন্হার এই মন্তব্য অকারণে তদন্তকারী সংস্থাকে ফের বিতর্কে জড়াল বলে মনে করছেন অনেকে।
সিন্হার মন্তব্যে স্তম্ভিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কিরণ বেদী, শিল্পপতি কিরণ মজুমদার শ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামিনী শর্মার মতো ব্যক্তিত্বরা। বিষয়টি অক্সিজেন জুগিয়েছে বিরোধীদের সিবিআই-বিরোধিতাতেও। সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাট ‘বিকৃত মানসিকতার’ গন্ধ পেয়েছেন এই মন্তব্যে। তাঁর প্রশ্ন, “বেশ কিছু ধর্ষণ মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি এই মন্তব্য করেন কি করে?” সিন্হার ইস্তফা দাবি করেছে বিজেপিও।
পরিস্থিতি দেখে সিবিআইয়ের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সিন্হা কাউকে আঘাত করতে চাননি। কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
তাতে অবশ্য চিড়ে বিশেষ ভেজেনি বলেই মনে করছেন অনেকে। বিজেপি মুখপাত্র নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য, “যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সিবিআই প্রধানের পরিবার তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করেন কি না জানার ইচ্ছা রইল।”

ইস্টবেঙ্গল কোচের পদ থেকে ইস্তফা ফালোপার

মঞ্চ তৈরি হয়েই ছিল, শুধু ঘোষণারই অপেক্ষা ছিল। অবশেষে বুধবার বিকেলে ইস্টবেঙ্গল কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ব্রাজিলীয় কোচ মার্কোস ফালোপা। ফালোপা জানান, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। ইস্টবেঙ্গলের প্রতি তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই। নতুন কোচ হয়ে যিনি আসবেন, তাঁর প্রতি শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ফালোপা। ডার্বি ম্যাচের আগে দলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের বিরুদ্ধে তাঁর ‘সদ্য প্রাক্তন’ দলই ‘ফেভারিট’। এ দিকে কোচের দায়িত্বে ফিরতে চেয়ে ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদারকে ই-মেলের লেখার পর ক্লাবের সমর্থকদেরও দাবি, মর্গ্যানকেই কোচ করা হোক। সেই দাবিতে ক্লাবের বাইরে বেশ কিছু সমর্থক স্লোগানও দেন। তবে নতুন কোচ কে হবেন, সে বিষয়ে ক্লাবের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা এখনও কানে বাজছে দীপার
২৪ ঘণ্টা আগে খুড়তুতো ভাইয়ের বলা কথা বুধবারেও কানে বাজছে দীপা প্রধানের। ‘মায়ের সঙ্গে কথা বলব। ফোনটা মা’কে দে না দিদি’। সে কথা আর বলা হয়নি।
ছত্তীসগঢ়ের সুকমা থেকে ভোটের ডিউটি করে ফেরার সময় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মঙ্গলবার মারা গিয়েছেন বিএসএফ জওয়ান যুবরাজ প্রধান (২১)। কিন্তু তাঁর মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর থেকে ফোনের কথাটাই বেশি করে মনে পড়ছে দিদি দীপার।
জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের কাঁঠালগুড়ি চা বাগানে বাড়ি যুবরাজের। সেখানে থাকেন তাঁর মা, দুই বোন। সোমবার শিলিগুড়ির এক হাসপাতালে যুবরাজের মা সরিতা প্রধানের গলব্লাডারে অস্ত্রোপচার হয়। অপারেশন চলার সময় যুবরাজ কয়েক দফা ফোনে মা’র খোঁজখবর নেন। দীপার মোবাইলে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শেষ বার ফোন করেন ওই জওয়ান। দীপার কথায়, “মঙ্গলবার যখন ফোন করেছিল, সে সময় জেঠিমার ঠিকঠাক জ্ঞান ফেরেনি। ওকে বললাম, ‘পরে কথা বলিস’। তা আর হল না। তার চার ঘণ্টার মধ্যে আমার মোবাইলেই ওর মৃত্যুসংবাদ এল। দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে।”
বাড়ির কাছেই সাইকেল সারাইয়ের দোকান ছিল যুবরাজের বাবা মনুই প্রধানের। পাঁচ বছর আগে তিনি মারা যান। সংসার চালাতে বাড়ির পাশে মুদির দোকান খোলেন সরিতাদেবী। দু’বছর আগে বানারহাট থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরে যুবরাজ বিএসএফ কনস্টেবলের চাকরি পান। মায়ের দোকান বন্ধ করে সংসার চালানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন সেই থেকেই।
ত্রিপুরায় চাকুরিরত যুবরাজ গত সেপ্টেম্বরে বাড়িতে এসেছিলেন। টানা কুড়ি দিন দু’বোন ও মাকে নিয়ে হইহুল্লোড় করে কাটিয়েছিলেন। অক্টোবরে তাঁকে যেতে হয় ছত্তীসগঢ়ে। ডিসেম্বরে তাঁর বাড়ি আসার কথা ছিল। সে সময়ই বাড়ির লোকজনের পছন্দ করা এক পাত্রীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে পাকা হওয়ারও কথা ছিল। একথা জানিয়ে তাঁর দু’বোনসন্ধ্যা এবং সুধা বললেন, “বাবা মারা যাওয়ার পরে বহু কষ্টে আমাদের দিন কেটেছে। দু’বছর আগে আমরা সুখের মুখ দেখতে শুরু করি। দাদা ছিল ভরসা। মা এখনও খারাপ খবরটা জানেন না। বিছানায় শুয়ে দাদার অপেক্ষায় রয়েছেন। বাড়িতে কেউ আসার শব্দ পেলে আমাদের বলছেন, ‘দেখ বোধ হয়, তোদের দাদা এল’।”
সহকর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ডুয়ার্সের মালবাজারের বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসা বিএসএফ জওয়ান রেমান টোপ্পোও যুবরাজের বাড়ি এসেছিলেন। বললেন, “প্রশিক্ষণ নেওয়া থেকে শুরু করে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা এক সঙ্গে ছিলাম। খুব প্রাণচঞ্চল ছেলে ছিল যুবরাজ। ও আর নেই শুনে বাড়িতে বসে থাকতে পারলাম না।”
কাল, শুক্রবার যুবরাজের দেহ ডুয়ার্সে পৌঁছবে বলে আত্মীয়দের ফোনে জানিয়েছেন বিএসএফ-কর্তারা।

বৃদ্ধা হত্যায় দু’জনের যাবজ্জীবন, পথ দেখাল সিসিটিভি
সত্তর বছরের বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অপরাধে দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল শিলচর দায়রা আদালত। সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাবাস বলে তাঁর রায়ে জানিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক এস পি মৈত্র। উল্লেখ্য, সিসিটিভি-র ফুটেজই ছিল এই মামলার প্রধান সাক্ষী।
গত তিন দিন থেকে এই রায় নিয়ে শিলচর শহরে জল্পনা-কল্পনা চলছিল। সোমবার কাঞ্চন দেবী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৬০ বছরের রাধানাথ যাদব এবং ৪১ বছরের বিষ্ণু গোয়ালা, দু’জনকেই দোষী বলে ঘোষণা করে আদালত। ২০১২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, অন্য দিনের মতোই দুধ দিতে গিয়ে ফ্ল্যাটের চারতলায় উঠে কাঞ্চন দেবীর ঘরে কলিং বেল বাজায় বিষ্ণু। পরিকল্পনা মতো সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল কিশোর ভাইপো সঞ্জুকে। কাঞ্চন দেবী নাতনির বাড়িতে কাজের জন্য এক জন লোক খুঁজছিলেন। সঞ্জুকে নাতনির বাড়ির জন্য এনেছে বলে কাঞ্চন দেবীকে সে জানায়। তিনি ফ্ল্যাটের দরজা খুলে দু’জনকে ভিতরে বসতে দেন। বিষ্ণু জল খেতে চায়। কাঞ্চন দেবী জল আনতে রান্নাঘরে যাওয়ার সময়েই কাকা-ভাইপো মিলে বৃদ্ধাকে ধরে মেঝেতে ফেলে তাঁর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘরে যে সিসিটিভি রয়েছে, দীঘর্র্ দিন ধরে দুধ দেওয়ার সুবাদে বিষ্ণু তা জানত। কিন্তু এর কার্যকলাপ জানা না-থাকায় খুনের পর সবক’টি ক্যামেরা ভেঙে সে সঞ্জুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এর আগেই অবশ্য পুরো হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ মেশিন-বন্দি হয়ে যায়। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই ফুটেজ দেখেই কাকা-ভাইপোকে গ্রেফতার করে। বিচারক মৈত্র এই ঘরে ঢুকে সিসিটিভি ভাঙার জন্য বিষ্ণুকে আরও দুই বছরের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সঙ্গে এক হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে এক মাসের জেল।
কিন্তু কেন এই বৃদ্ধাকে মারতে গেল বিষ্ণু গোয়ালা? সে-ই পরে পুলিশের জেরায় জানায়, কাঞ্চন দেবীকে খুন করতে তিন লক্ষ টাকায় সুপারি দিয়েছিল পাশের ফ্ল্যাটের মালিক রাধানাথ যাদব। উল্লেখ্য, রাধানাথের দালানেই কাঞ্চন দেবীদের পারিবারিক মিষ্টির দোকান। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, রাধানাথ অনেক দিন থেকেই ওই বৃদ্ধাকে দোকান ছাড়তে বলছিল। কিন্তু কাজ হচ্ছিল না। তাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে বিষ্ণু-সঞ্জুকে নিয়ে ছক কষেছিল। কিশোর সঞ্জু অবশ্য জামিনে মুক্ত হয়েছে। তার বিচার হচ্ছে শিলচর জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে। ২১ নভেম্বর তার মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে।

নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে সুকুর আলির জামিন
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় জামিন পেলেন গড়বেতার সিপিএম নেতা সুকুর আলি। বুধবার বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস ও বিচারপতি সুবল বৈদ্যের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। গত ৭ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার অভিযুক্ত হিসেবেই তমলুক আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সুকুর। তবে জামিন পেলেও আপাতত জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না সুকুর। কারণ, গোয়ালতোড় থানার কঙ্কাল-মামলায় তিনি এখনও জামিন পাননি।
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলাতেই অভিযুক্ত পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাউরা। তাঁরাও ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন। এ দিন হাইকোর্টে সুকুর আলির আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এই মামলায় আমার মক্কেলকে আটক রাখার কোনও কারণ নেই। ইতিমধ্যে অধিকাংশ অভিযুক্তের জামিন হয়ে গিয়েছে।”
২০০১-এ ছোট আঙারিয়া গণহত্যা মামলায় প্রথম নাম জড়ায় সিপিএমের গড়বেতা জোনাল সম্পাদক তথা দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য সুকুর আলি ও তাঁর সঙ্গী গড়বেতা জোনাল কমিটির সদস্য তপন ঘোষের।

পটনা বইমেলায় পাল্লা দিচ্ছেন সচিন ও মোদী
বোমা বিস্ফোরণের আতঙ্ক ঝেড়ে ফেলে পটনার গাঁধী ময়দান মেতেছে বইয়ের নেশায়। পটনা বইমেলার আসর বসেছে গাঁধী ময়দানে। তবে এ বারের বইমেলা সচিন জ্বরে কাবু। একই সঙ্গে আছেন আরও এক জন। রাজনীতির ময়দানে এখন সব থেকে আলোচিত নাম, নরেন্দ্র মোদী। এই দু’জনের উপর লেখা বই এ বারের মেলায় যুবকদের কার্যত গ্রাস করে ফেলেছে। স্টলের মালিকেরা এক দিকে যেমন উত্‌সাহিত, অন্য দিকে বইয়ের মজুত ফুরিয়ে আসায় কিছুটা হতাশও।
রবিবার থেকে পটনার গাঁধী ময়দানে শুরু হওয়া বইমেলায় এ বার সচিনকে জানতে যুবকদের মধ্যে উত্‌সাহ চোখে পড়ার মতো। ক্রিকেট থেকে অবসরের খবরে সচিনের উপর লেখা বই ‘দি স্টোরি অব ওয়ার্ল্ড গ্রেটেস্ট ব্যাটসম্যান’ বিকোচ্ছে হাতে হাতে। স্টলের মালিক আর কে অগ্রবাল বলেন, “আগে জানলে আরও বই নিয়ে আসতাম। আমার ১০০টি বই বিক্রি হয়ে গিয়েছে।” বই কিনতে আসা যুবক অজয় কুমার বললেন, “ক্রিকেটকে জানতে হলে সচিনকে পড়তে হবে। ক্রিকেটের ভগবানের অবসর নেই। তিনি ক্রিকেটের সঙ্গেই আছেন।”
সচিন ছাড়াও বই বিকোচ্ছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনান্ডোর উপর লেখা ‘রোনাল্ডো: দি অবসেশন ফর পারফেকশন’। সেখানেও ক্রেতাদের ভিড়। তবে সচিন এবং রোনাল্ডোর সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদীর জীবন নিয়ে লেখা ‘নরেন্দ্র মোদী: সংঘর্ষ্ সে শিখর তক্।’ মেলা উদ্বোধনের দিনই ৫০টি বই বিক্রি হয়েছে। স্টলের মালিক ধীরেন্দ্র কুমার বললেন, ‘‘এই বই কেনার ব্যাপারে যুবকদের মধ্যে বেশি উত্‌সাহ দেখা যাচ্ছে।”

সিবিআই সেজে প্রতারণা, গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ার যুবক
পরনে স্যুট-বুট-টাই। হাতে দামি মোবাইল, ফাইল। সাতসকালে ঘরে ঢুকে ধোপদুরস্ত পোশাকের যুবক বলছে, ‘‘সিবিআই থেকে আসছি। অনেক দুর্নীতি করেছেন। সেই সূত্রে প্রচুর আয় করেছেন।’’ ঘাবড়ে যান পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বিমান পান্ডা।
পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার আড়ংকিয়ারানা গ্রামে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা। সাতসকালেই বিমানবাবুর বাড়িতে হাজির হয়ে সটান ঘরে ঢুকে নিজেকে সিবিআই অফিসার বলে পরিচয় দেওয়া যুবকের সঙ্গে ছিল ‘সিবিআইয়ের পরিচয়পত্র’ এবং আগ্নেয়াস্ত্র। অভিযোগ, বিমানবাবুর কপালে সেই আগ্নেয়াস্ত্র ধরে সে হুমকি দেয়, “৬৭ লক্ষ টাকা না দিলে আপনার অবস্থা কিন্তু খারাপ হবে।’’
নিজের সম্পর্কে অভিযোগ না মানলেও যুবককে সিবিআই অফিসার বলে প্রায় মেনেই নিয়েছিলেন বিমানবাবু। পরে সন্দেহ হওয়ায় কৌশলে বছর তিরিশের ওই যুবককে ধরিয়ে দেন তিনি।
পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগে দেবাশিস মণ্ডল নামে ওই যুবককে ধরা হয়। তার কাছ থেকে সিবিআই-এর ভুয়ো পরিচয়পত্র পাইপগান, ৪ রাউন্ড গুলি, মিলেছে।”

অপহৃত তিন ব্যবসায়ী
তিন বাঙালি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করল গারো জঙ্গিরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম গারো হিল জেলার টিকরিকিলা এলাকায়। পুলিশ জানায়, ১৫ জনের সশস্ত্র জঙ্গিদলটি টেবরংগ্রের সাপ্তাহিক বাজারে হানা দেয়। সেখান থেকে তিন বাঙালী ব্যবসায়ী— দুলাল রায়, মাণিক রায় ও আবদুল্লা আলিকে অপহরণ করে। অপহৃতদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জঙ্গি হামলায় হত এমপিপি নেতা
অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের হামলায় মারা গেলেন মণিপুর পিপল্স পার্টির (এমপিপি) সহ-সভাপতি হাওবিজাম মণিসানা (৬৩)। আজ ইম্ফল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে, চাংগাংগেই উচেকন এলাকায় তাঁর গাড়ির উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তিনি গাড়িতে একাই ছিলেন। পুলিশের সন্দেহ, এটি কোনও জঙ্গি সংগঠনের কাজ। তবে এখনও হত্যার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

মুম্বইয়ে অবৈধ নির্মাণ ভাঙায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

একটি আবাসনের অবৈধ নির্মাণ ভাঙাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুম্বই। এ দিন বৃহত্ মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) কর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় ওই আবাসনটি ভাঙতে গেলে আবাসিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ জোর করে তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে বলে আবাসিকদের অভিযোগ। বিতণ্ডা চলাকালীন খবর আসে যে, ২০১৪-র ৩১ মে পর্যন্ত ওই আবাসন ভাঙার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত ১ অক্টোবর মুম্বইয়ের এই ক্যাম্পা কোলা আবাসনের অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত কেন নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল?

সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর আবাসিকদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৮১ সালে। ৮১’ থেকে ৮৯’-এর মধ্যে মুম্বইয়ের ওরলিতে ক্যাম্পা কোলা আবাসনে বহুতল নির্মাণের অনুমতি দেয় বৃহত্ মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। তবে ছ’তলার উপর সেই নির্মাণ বাড়ানো যাবে না বলে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল তারা। সেই নির্দেশ না-মেনে কিছু প্রোমোটার ৭টি বহুতল বানান, যেখানে ২০ তলার ফ্ল্যাটও রয়েছে। এই নির্মাণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছিল। সম্প্রতি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্মাণগুলিকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করে তা অবিলম্বে ভাঙার নির্দেশ দেয়। ঘর খালি করার জন্য ওই ৭টি বাড়ির বাসিন্দাদের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় শীর্ষ আদালত। সেই সময় শেষ হলে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিশবাহিনী সঙ্গে নিয়ে বিএমসি-র বিশেষ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করে।
সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের নির্দেশ জানার পর এলাকায় আবাসিকদের মধ্যে সাময়িক স্বস্তি ফিরে আসে।

মধ্যপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২২

মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া জেলায় পথ দুর্ঘটনায় ২২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্তরা প্রত্যেকেই টিকমগড় জেলার বাসিন্দা। দাতিয়ায় জনমজুরের কাজ করতেন তাঁরা। বুধবার সকালে একটি ট্রাকে করে কাজে যাওয়ার সময় দাতিয়া-ঝাঁসি সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন পুলিশের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে দাতিয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে আরও চার জনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকাকালীন আরও আট জন মারা যান। প্রসাশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের তিন জন আত্মীয়ও রয়েছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.