শাবক-সহ গন্ডার হত্যা
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
জাতীয় উদ্যানে হানা দিয়ে মা ও শাবক গন্ডারকে হত্যা করল শিকারিরা। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ওরাং রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যানে হানা দিল চোরাশিকারিরা। বন দফতর সূত্রে খবর, রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ উদ্যানের হাজারবিঘা বন শিবিরের কাছে গুলির একাধিক শব্দ শোনা যায়। অবশেষে বনরক্ষীরা তল্লাশি চালিয়ে ব্রহ্মপুত্রের পার থেকে একটি স্ত্রী গন্ডার ও তার শাবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে। দু’জনেরই নাক থেকে খড়্গ কেটে নিয়েছিল শিকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে .৩০৩ বোরের চারটি খালি কার্তুজ মিলেছে। শিকারিদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছে। চলতি বছরে, রাজ্যে শিকারিদের হাতে মরা গন্ডারের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪। |
ডুয়ার্সের রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গলে উদ্ধার হল বাইসনের কঙ্কাল। শনিবার বিকালে বন কর্মীরা জঙ্গলে টহল দিতে গিয়ে বাইসনটির কঙ্কাল খুঁজে পান। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ওই এলাকাতেই পাওয়া গিয়েছিল একটি পূর্ন বয়স্ক হাতির কঙ্কাল। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এফডি রবীন্দ্রপাল সাইনি বলেন, “কঙ্কালটি বেশ পুরানো। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বাইসনটির স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছিল।” |
তথ্য: সব্যসাচী ঘোষ, ছবি: দীপঙ্কর ঘটক |
রবিবার ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের আইভিল চা বাগানে হাতিদের দু’টি দল ঢুকে পড়ে। বেলা বাড়তেই বুনোরা আইভিল বাগানের উত্তর দিকের শেষ প্রান্তে ২০নং সেকশনে দাঁড়িয়ে যায়। এর পাশেই নাগেশ্বরী চা বাগান। সেই বাগানেও ঢুকে পড়ে ৪টি হাতির দল। খবর পেয়ে বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। শুঁড় তুলে চিৎকার, শরীরের মাঠি ছড়ানো ছাড়া বাগানে কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি হাতির দলটি। সন্ধ্যা নামতেই দুই শাবককে সঙ্গে নিয়ে দুই মাদি হাতি ফের মূর্তি নদী পার হয়ে চাপড়ামারি ফিরে যায়। ৬টি হাতির দল সন্ধ্যা নামলেও বাগান ছেড়ে যায়নি। |