প্রসূতি মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের এক নার্সিংহোমে। ওই প্রসূতির পরিজনেরা নার্সিংহোমে ভাঙচুরও চালান। মারধর করা হয় নার্সিংহোমের কর্মী, চিকিৎসক ও পুলিশকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মৃতার স্বামী, দুই ভাই-সহ পাঁচ জনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে প্রভাতী দোলাই (২২) নামে ওই প্রসূতিকে মহিষাদলের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের পর তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে শনিবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার শ্বশুর নিতাইচন্দ্র দোলাই-এর অভিযোগ, “অস্ত্রোপচারের পর থেকে বৌমা গুরুতর অসুস্থ হতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক গুরুত্ব দেননি। তারপর শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে কলকাতায় নিয়ে যেতে বলেন। টাকা জোগাড় করার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।” মহিষাদল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক গৌরাঙ্গসুন্দর তুঙ্গ যুক্ত ওই নার্সিংহোমের সঙ্গে। তিনি বলেন, “ওই প্রসূতির জন্ডিস ছিল। তাই জরুরি বুঝে ‘সিজার’ করে শিশুকে নিরাপদে জন্ম দেওয়া হয়।” তাঁর দাবি, “সমস্তটাই বাড়ির লোকজনকে বুঝিয়ে বলা হয়েছিল। এবং তাঁদের অনুমতি নিয়েই ওই অস্ত্রোপচার করা হয়। কিডনি বিকল হয়েই ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।” ওই নার্সিংহোমের মালিক সুপর্ণা বাগ বলেন, “চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। ডাক্তার ও নার্সরা নিয়মিত রোগীর দেখভাল করেছেন।” তাঁর অভিযোগ, “রোগীর পরিজনরা লাঠি নিয়ে চড়াও হয়ে ওটির যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, ফোন, জানলা, টেবিলের কাঁচ, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছেন। মারধর করেছেন চিকিৎসক ও নার্সদের।”
তবে, রোগীর পরিজন বা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যাওয়া পুলিশকর্মীদের মারধরের অভিযোগে ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
বিয়েবাড়ির ভোজ খেয়ে অসুস্থ হলেন ৩৭ জন। হুগলির গুপ্তিপাড়া পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের ঘটনা। এরা প্রত্যেকেই ভর্তি রয়েছেন কালনা মহকুমা হাসপাতালে। তবে শনিবার পর্যন্ত অসুস্থদের কাউকেই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়নি বলে জানিয়েছেন মহকুমা হাসপাতালের সুপার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার দুপুরে ওই গ্রামের বাসিন্দা শেখ আবদুল আজিজের মেয়ে সাফিয়া খাতুনের বিয়ে ছিল। সেই উপলক্ষ্যে বরযাত্রী ছাড়া নিমন্ত্রণ ছিল গ্রামের বাসিন্দাদেরও। অনুষ্ঠানের পরদিন থেকেই গ্রামের অনেকেই পেটের অসুখে অসুস্থ হয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করেন। কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার অভিরূপ মণ্ডল বলেন, “সম্ভবত খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই এই অসুস্থতা। তবে বর্তমানে রোগীরা সকলেই স্থিতিশীল।” |