পরিষেবা কর ফাঁকি দিলে এ বার থেকে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম আজ এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চরম ব্যবস্থা হিসেবে এ ধরনের ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, ইতিমধ্যেই সারা দেশে পরিষেবা কর ফাঁকির জালে ধরা পড়েছেন ১০ জন। যে-সব ক্ষেত্র দীর্ঘ দিন ধরেই পরিষেবা কর ফাঁকি দেওয়ায় ‘নজির’ গড়েছে, সেগুলিকে বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান চিদম্বরম। এই সব ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে: পরামর্শদান, তথ্যপ্রযুক্তি, আবাসন ইত্যাদি।
তবে চিদম্বরম জানান, যে-সব ব্যক্তি পরিষেবা ক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ টাকা কিংবা তারও বেশি আয় করেছেন, অথচ কর বাবদ সরকারি কোষাগারে কিছুই জমা দেননি, গ্রেফতার করা হচ্ছে শুধু তাঁদেরই। তিনি বলেন, “এ ধরনের ব্যক্তিকে বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দেওয়া যায় না।” বিভিন্ন বণিকসভা ও পরিষেবা শিল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ দিন অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক করে দিয়ে অবশ্য বলেছেন, তিনি চান না কেউই কর ফাঁকি দিয়ে শাস্তির মুখে পড়ুন। বরং সবাইকে সৎ করদাতা হিসেবেই দেখতে চান অর্থমন্ত্রী। এর জন্যই গত ২০ মে, ২০১৩ চালু করা হয়েছে, স্বেচ্ছা করদান উৎসাহ প্রকল্প। এর আওতায় ২০০৭-এর ১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত বকেয়া কর থোক হিসেবে জমা দিতে পারবন করদাতা। এর জন্য তাঁকে কোনও সুদ বা জরিমানা দিতে হবে না।
অর্থমন্ত্রী জানান, পরিষেবা কর স্বেচ্ছায় জমা দিতে ১৭ লক্ষ ব্যবসায়ী আগেই নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। কিন্তু খাতায়-কলমে কর জমা দিয়েছেন, ৭ লক্ষ জন। চিদম্বরম বলেন, “ওই বাকি ১০ লক্ষের কাছে আমাদের পৌঁছতে হবে। এর জন্যই ওই স্বেচ্ছা করদান প্রকল্প। আশা ওই ১৭ লক্ষের বেশির ভাগই সৎ করদাতা হয়ে উঠতে পারবেন।” |