জলপাইগুড়ি থেকে প্রকাশিত ‘নীরজ কোরক’-এর শারদ সংখ্যা প্রকাশ উপলক্ষে হল এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পত্রিকা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন আনন্দগোপাল ঘোষ। স্বাগত ভাষণ দিলেন মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস। গল্পকার জ্যোৎস্নেন্দু চক্রবর্তী সংবর্ধনা পান। সপ্তার্শ ভৌমিক ও সৌগত মুখোপাধ্যায়ের মাতৃবন্দনা, চণ্ডীপাঠ, রবীন্দ্র বীথির শিক্ষার্থীদের আবাহনী নৃত্য, শেখর কর, গৌতমেন্দু নন্দী, মিতা চৌধুরী, মণিদীপা নন্দী বিশ্বাসের সঙ্গীতের পাশাপাশি অণু গল্প পাঠ করলেন অলোক গঙ্গোপাধ্যায়। পরে কবিতা পাঠ করেন ছন্দবীথি কুন্ডা, পুণ্যপ্রভা বর্মন, রেবা সরকার প্রমুখ। নতুনপাড়ায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করলেন মণিদীপা। শারদ রবীন্দ্রসঙ্গীতে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘটে। |
জলপাইগুড়ির রূপায়ণ নাট্যসংস্থা আয়োজিত নাট্যসন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হল মনোজ মিত্রের ‘গন্ধজালে’ নাটকটি। নিম্নবিত্ত মানুষের দ্রুত অর্থ উপার্জনের লোভের পরিণতি, চাহিদা এবং আশা পূরণের স্বপ্নভঙ্গ, এক ধর্ষিতা নারীর মানসিক টানাপোড়েন প্রভৃতি বিষয় অভিনয়ের মাধ্যমে যথাযথ ভাবে ফুটিয়ে তুললেন নাটকের কুশীলবরা চন্দ্রিমা মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস দাস, অলিভা ঘোষকুণ্ডু, সৃজনী পাল, জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপঙ্কর রায় প্রমুখ। সুজিত সাহার আলোকসম্পাত এবং রমেশ মাহাতোর মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিল মুন্সিয়ানার ছাপ। পরিচালনার কাজটি দক্ষ হাতে সামলেছেন দীপঙ্কর রায়।
|
টোপামারি পারিবারিক শারদাঞ্জলি দুর্গাপূজা কমিটি পুজোয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। মহাষষ্ঠীতে প্রকাশিত হল ক্ষুদ্র পত্রিকা ‘শরৎ শিউলি’। সপ্তমী থেকে নবমী তিন দিন নাচগান, আবৃত্তি, নাটক। ছিল ভাওয়াইয়া গীতি আলেখ্য ‘কুংকুরির সুতা’। নির্মলেন্দু রায় নির্দেশিত ‘ঘ্রাঁও’ এবং রীনা ভারতীর নির্দেশনায় পূজা কমিটির মহিলা সদস্যদের পরিবেশিত ‘বনজোছনা’ নাটক দুটি প্রশংসা পায়। দর্শক উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। |