|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
পরিচয়ের গোড়ায় গলদ |
বইপোকা |
শিরোমিতি বা ফ্রেনোলজি-র সূচনা করিয়াছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর! এই সংবাদ জানাইয়াছে ‘বালক’ পত্রিকার একটি সংকলনের লেখক পরিচয়। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী-র সম্পাদনায় পত্রিকাটি এক বৎসরকাল প্রকাশিত হইয়াছিল। কার্যাধ্যক্ষ ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কার্যত সম্পাদকও। পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই জ্যোতিরিন্দ্রনাথের একটি রচনা প্রকাশিত হইয়াছিল, ‘মুখ চেনা’। মনুষ্যের মুখ দেখিয়া কী প্রকারে চরিত্র সম্বন্ধে অনুমান করা যায় তাহা লইয়া জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ওই প্রবন্ধে আলোচনা করিয়াছিলেন। বালক (পুনর্মুদ্রণ পরিকল্পনা ও উপস্থাপনা: অনাথনাথ দাস ও অমল পাল, দে’জ পাবলিশিং) সংকলনের লেখক পরিচয়ে লেখা হইয়াছে, ‘চিত্রাঙ্কনে তিনি (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ) একটি বিশেষ ধারার সূচনা করেন যেটি শিরোমিতি বা ফ্রেনোলজি নামে বিখ্যাত। ১৯১৪ সালে শিল্পী উইলিয়ম রোটেনস্টাইনের উদ্যোগে ইংল্যান্ড থেকে এই ধরনের স্কেচ একত্র করে পঁচিশটি চিত্রের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।’ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ফ্রেনোলজি-র চর্চা করিয়াছিলেন, ওই বিদ্যার পথিকৃৎ তিনি হইবেন কেন? দুই শত বৎসরের অধিক পূর্বে ওই ছদ্ম-বিজ্ঞানের মূলগত উন্নতিসাধন করিয়াছিলেন জার্মান চিকিৎসক ফ্রানজ জোসেফ গল। তদ্ব্যতীত, ফ্রেনোলজি চিত্রাঙ্কনের কোনও বিশেষ ধারা নহে, ছদ্ম-বিজ্ঞানের একটি ধারা। আর জ্যোতিরিন্দ্রনাথের পঁচিশটি স্কেচের অ্যালবামটির নাম, Twenty-five collotypes from the original Drawings of Jyotirindranath Tagore. কলোটাইপ মুদ্রণের একটি বিশেষ পদ্ধতি, তাহার সহিতও ফ্রেনোলজি-র কোনও সম্পর্ক নাই। |
|
|
|
|
|