টুকরো খবর
ফেরার যুদ্ধে মনোজের অনুপ্রেরণা সচিনই
টিম ইন্ডিয়ায় তাঁরা এক সময়কার সতীর্থ। লড়াইটা শুরু করেছিলেন একসঙ্গেই। গত ছ’বছর ধরে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য লড়েছেন দু’জনই। ইডেনে তাঁদের একজন রোহিত শর্মা যখন ব্যাট হাতে টেস্টের বাইশ গজে রাজ্যপাট গুছিয়ে বসলেন, অন্য জন মনোজ তিওয়ারি তখন মাঠের বাইরে। হাঁটুর চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার জন্য রিহ্যাবে ব্যস্ত। বাংলার মনোজ কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রবল আত্মবিশ্বাসী। রোহিতের ১৭৭ কি চাপ বাড়াচ্ছে? শুনে হাসছেন মনোজ, “চাপ কেন? রোহিতের ইনিংস বরং অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। ওর সঙ্গে কাল রাতেও কথা হল। সেঞ্চুরির জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” মনোজ আরও বলছেন, “চোটের জন্য একটু পিছিয়ে পড়েছি। আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। চ্যালেঞ্জটা তো থাকবেই। জাতীয় দলে ফিরবই। এটাই আমার চ্যালেঞ্জ।”

শহরে এক অনুষ্ঠানে।—নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ কলকাতার ঝাঁ-চকচকে বইয়ের দোকানে ক্রিকেট নিয়ে সাংবাদিক বিকাশ সিংহের নতুন বই ‘দ্য বিগ ফিক্স’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলছিলেন মনোজ, “ফিট হয়ে মাঠে ফিরতে এখনও দু’মাস। তার পর বিজয় হাজারে ম্যাচ আসবে। সেখানে বড় রান পেতেই হবে।” বেঙ্গালুরুতে রিহ্যাবের পাশাপাশি মোটিভেশনাল ভিডিও ফুটেজ দেখা এবং বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের আত্মজীবনী পড়া চলছে। এই মুহূর্তে পড়ছেন সচিনের জীবনী। মনোজ বলছেন, “সচিনের পরামর্শেই রোহিত বদলে গিয়েছে। আমারও ফেরার অনুপ্রেরণা সচিন পাজি। জাতীয় দলে থাকার সময় এক বার বলেছিলেন, কে কত রান করছে তা নিয়ে না ভেবে নিজে রানটা করো। সুযোগ আসবেই। সচিনের এই কথাটাই আমার দলে ফেরার মোটিভেশন।”

রঞ্জিতে দিন্দা নিলেন ৪
রঞ্জির প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলা প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যাওয়ার পথে। জয়পুরে রাজস্থানকে অশোক দিন্দার পেসের দাপটে ২৪৪ রানে আটকে রেখে দ্বিতীয় দিনে বাংলা তিন উইকেটে ১৭২। দিনের শেষ ওভারের আগের ওভারে জমে যাওয়া ওপেনার রোহন বন্দ্যোপাধ্যায় (৭৭) আউট না হলে আরও ভাল জায়গায় থাকত লক্ষ্মীরতন শুক্লর দল। এর আগে দিন্দা (৪-৫৮) এ দিন সকালে তিন উইকেট তুলে নিয়ে আগের দিন ২২২-৬ স্কোরে থাকা রাজস্থানকে আর মাত্র ২২ রানের বেশি এগোতে দেননি। তবে ওপেনার বিনীত সাক্সেনাকে ক্রিজ থেকে সরাতে পারেনি বাংলা বোলিং। আগাগোড়া ইনিংস ব্যাট করে বিনীত অপরাজিত থাকেন ১১৯ রানে। একই দিনে ইডেনে জাতীয় দলে মহম্মদ সামি আর সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে রাজ্য দলে অশোক দিন্দার চমকপ্রদ বোলিং এ মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার পেস আক্রমণের সম্ভাব্য তীক্ষ্মতার পরিষ্কার প্রমাণ। ব্যাটিংয়েও বাংলার ওপেনিং জুটি ভাল শুরু করে এ দিন। রোহন আর অরিন্দম দাস (৩২) প্রথম উইকেটে মাত্র আট রানের জন্য সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়তে পারেননি। দলের ৯২ রানে অরিন্দম আউট হওয়ার পর অনুষ্টুপ মজুমদার (১১) বেশিক্ষণ টিঁকতে পারেননি। তবে অভিজ্ঞ খদ্ধিমান সাহা তৃতীয় উইকেটে রোহনের সঙ্গে ৬৩ রান যোগ করার পর দিনের শেষে নিজে ৩৪ রানে অপরাজিত। অন্য প্রান্তে শুভময় দাস (০) সবে নেমেছেন। প্রথম ইনিংসে লিড নিতে বাংলার দরকার ৭৩ রান।

বিশ্ব মিটের বাইরে লিয়েন্ডাররা
তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে এ বারও ঢুকল না অধরা এটিপি ট্যুর ফাইনালস ডাবলস খেতাব। টেনিস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চেক সঙ্গী রাদেক স্টেপানেককে নিয়ে গ্রুপ পর্যায়ে ছিটকে গেলেন লিয়েন্ডার পেজ। এ দিন সপ্তম বাছাই লিয়েন্ডাররা প্রথম সেট জিতেও শেষে হারলেন ৬-৪, ৬-৭ (৫-৭), ৮-১০ স্প্যানিশ জুটি লোপেজ-গ্রানোলার্সের কাছে। চোদ্দো বার বিশ্ব মিটে খেলে চার বারের রানার্স (’৯৭, ’৯৯, ২০০০, সঙ্গী ভূপতি। ২০০৫ সঙ্গী জিমোনজিচ) লিয়েন্ডার-এর জুটির এ বার তিনটের মধ্যে দু’টো ম্যাচ হারেন।

চোট থেকে ফিরেই চার গোল ওডাফার
রবিবার ভবানীপুর ম্যাচের আগে চার গোল করে ওয়ার্ম আপ করে নিলেন মোহনবাগানের নাইজিরীয় স্ট্রাইকার ওডাফা ওকোলি। এ দিন মোহনবাগান মাঠে অনুশীলনে বেলেঘাটার একটি দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে মোহনাবাগান। চোট থেকে ফিরেই সেই ম্যাচে চার গোল করেন ওডাফা। ম্যাচ ১০-০ জেতে মোহনাবাগান।

স্কুল ফুটবল
আজ, শনিবার থেকে শালবনিতে শুরু হচ্ছে ৫৯তম রাজ্য বালিকা স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (অনুর্ধ্ব ১৯)। রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদের উদ্যোগে এবং জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদের ব্যবস্থাপনায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। তিন দিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা। খেলা হবে শালবনি স্টেডিয়ামে। নদীয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ ৮টি জেলার দল যোগ দেবে। শনিবার দুপুরে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করার কথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহের। সোমবার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

ফাইনালে দুই জেলা
অনূর্ধ্ব ১৭ আন্তঃজেলা স্কুল ফুটবলের ফাইনালে উঠল নদিয়া ও জলপাইগুড়ি। এই খেলা হয় বর্ধমানের স্পন্দন মাঠে। নদিয়া টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে হুগলিকে। নির্ধারিত সময়ে খেলা ছিল গোলশূন্য। পরের সেমিফাইনালে জলপাইগুড়ি ৪-০ গোলে হারিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরকে। গোল করেন দেবআদিত্য সরকার, বিক্রম মণ্ডল, সনাতন কর্মকার ও বিকি সাহা। শনিবার সকাল ১০টায় ফাইনাল ও আটটা তৃতীয় স্থান নির্ধারণের খেলা।

স্কুল ভলিবল

অরবিন্দ স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব ১৭ স্কুল ভলিবলের একটি দৃশ্য।—নিজস্ব চিত্র।
আন্তঃজেলা অনূর্ধ্ব ১৭ স্কুল ভলিবলে অরবিন্দ স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে বর্ধমান ২৫-১৬, ২৫-২৩ পয়েন্টে বীরভূমকে হারিয়েছে। পরের ম্যাচে মালদহ ২৫-১০, ২৫-২১ পয়েন্টে নদিয়াকে ও হাওড়া ২৫-১৫, ২৫-১২ পয়েন্টে উত্তর দিনাজপুরকে হারিয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ও স্বপন দেবনাথ। শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে মেয়েদের বিভাগের খেলা।

রানার্স বর্ধমান
৫৮তম আন্তঃজেলা অনূর্ধ্ব ১৭ স্কুল ভলিবলে রানার্স হয়েছে বর্ধমান। বর্ধমান কোয়ার্টার ফাইনালে ২-০ সেটে উত্তর ২৪ পরগনাকে ও সেমিফাইনালে একই ফলে নদিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। ফাইনালে তারা হুগলির কাছে ১-৩ সেটে হেরে গিয়েছে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.