শুধু ফুটপাত নয়, রাস্তাও চলে গিয়েছে হকারদের দখলে। ফলে মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরের পথচারীদের হাঁটার জায়গাই নেই। বাধ্য হয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে জেনেও পথচারীরা অনেক ক্ষেত্রে রাস্তার মাঝ বরাবর হাঁটছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শহরের রাস্তা হকারমুক্ত করতে পুরসভা বার কয়েক উদ্যোগ নিলেও সমস্যা মেটেনি।
কান্দি পুরসভার ভিতরবাজার, হাসপাতাল সংলগ্ন বাজার বা জেলা বাজারের রাস্তা দখল করে রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। কান্দি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাজার এলাকার ফুটপাত হকারদের দখলে। বাসস্ট্যান্ডটি শহরের এক প্রান্তে। সেখান থেকে মূল শহরে আসার একটিমাত্র রাস্তা আছে। রাস্তার দু’ধারে রয়েছে সব্জি, তেলেভাজা, চা-পান-বিড়ির দোকান। ফলে রাস্তা সরু হয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। খড়গ্রামের বাসিন্দা প্রকাশ ঘোষ বলেন, “প্রায় ব্যবসার কারণে শহরে আসতে হয়। কিন্তু হাঁটার রাস্তা খুঁজে পাওয়াই দায়। বাসস্ট্যান্ড থেকে শহরে আসতে হাজারও ঝক্কি সামলাতে হয়।” অথচ শুধু যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাই রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছেন, তা নয়। শহরের বড় ব্যবসায়ীরাও দোকানের নানা জিনিস রাস্তার উপর ঝুলিয়ে রাখেন। রাস্তা দখলমুক্ত করতে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বার কয়েক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। দিন কয়েক রাস্তা হকারমুক্ত থাকলেও তারপর যে কে সেই অবস্থা। |
কান্দি মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তারকনাথ প্রামাণিক বলেন, “আমরা চাই, রাস্তা দখলমুক্ত করে কান্দি বাজার এলাকাকে স্বচ্ছন্দে চলাফেরার যোগ্য করতে তুলতে। পুরসভা এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও সাহায্য চাইলে অবশ্যই তা করা হবে।”
এ দিকে, রাস্তা দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন কান্দি পুরসভার পুরপ্রধান গৌতম রায়। তিনি বলেন, “পুরসভা চায়, শহরের রাস্তা দখল করে ব্যবসা বন্ধ হোক। আমরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বহু বার রাস্তা দখলমুক্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রশাসনের কাছে যত বারই এ বিষয়ে সাহায্য চাওয়া হয়েছে, তত বারই আমাদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।” তবে দিন কয়েক আগে সর্বদলীয় বৈঠকে রাস্তামুক্ত করার ব্যাপারে সহমত তৈরি হয়েছে। শীঘ্রই প্রশাসনের সহায়তায় হকার উচ্ছেদ অভিযানে নামা হবে বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু।
কান্দির মহকুমাশাসক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, “পুরসভা ও বাসিন্দারা যদি যান, প্রশাসন অবশ্যই সহযোগিতা করবে। তবে যে-সব ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন, তাঁদের বিকল্প ব্যবস্থাও ভাবতে হবে আমাদেরই।” |