দার্জিলিং পাহাড়ে জীববৈচিত্র কেন্দ্র করে ফেডারেশন অব সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন বা ফোসেপ-এর উদ্যোগে হয়ে গেল এক সচেতনতা শিবির। একসময় সিঙ্গালালা, টাইগার হিল, সিঞ্চল ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারিতে রকমারি গাছগাছালি সমৃদ্ধ ঘন জঙ্গল ছিল, ছিল বিভিন্ন ধরনের বন্য জন্তু আর পাখি। জঙ্গল কমতে কমতে মিলিয়ে যাবার উপক্রম। বেশ কিছু প্রজাতির পাখি আর বন্য জন্তুও লুপ্তপ্রায়। সিঞ্চল ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারিতে এক সময় ২০ থেকে ২৫টি শেরুর দেখা মিললেও এখন সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৩টি। দেখা মেলে না ঈগলের, শকুনও লুপ্তপ্রায় বলে জানান ফোসেপ সম্পাদক ভরতপ্রকাশ রাই। তিনি বলেন, বুক (Buk) বা কাটুস (Katus)-এর মতো গাছগুলিও দার্জিলিং পাহাড়ে এখন হারিয়ে গেছে বললে চলে। দার্জিলিং সংলগ্ন অঞ্চলের স্কুল, পাহাড়ি গ্রাম চা-বাগান এলাকায় দু’মাস ধরে চলে সচেতনতা শিবির। ছাত্রছাত্রীদের হাতে ফোসেপের পক্ষ থেকে বার্ডস অব সিকিম হিমালিয়া অ্যান্ড বার্ডস অব নেপালছবিসমৃদ্ধ বই দু’টি তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্যালামান্ডার সংরক্ষণের ব্যাপারে ছাত্র ছাত্রী ও স্থানীয় মানুষদের উৎসাহিত করতে প্রচারাভিযান চালায়। ৩ দিনের কর্মসূচি চলে পোখরিরং, মানেভঞ্জন, নামথিং এলাকায়। অংশ গ্রহণ করেন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ। সান্দাকফুতে ফোসেপ ‘সাফাই অভিযান’ করে। পরিবেশ দূষণকারী পদার্থের মধ্যে ছিল প্লাস্টিকের বোতল, ক্যান, নুডলস ও চিপসের প্যাকেট-সহ ১৫০০ কেজি বর্জ্য। ফোসেপ সম্পাদক ভরতপ্রকাশ রাই বলেন, হোটেল ও পর্যটকের ফেলা বর্জ্যগুলির জন্য পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ৩ দিনের ‘সাফাই অভিযান’-এ ১৫০ মানুষ সামিল হন।
|
সারা বছর ধরে জলপাইগুড়ি শহর থেকে বেশ কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। কোনওটি সাপ্তাহিক, কোনওটি পাক্ষিক, কোনওটি আবার প্রকাশিত হয় মাসে একবার। শারদীয়া উৎসবে প্রকাশিত হল এমনই দুটি পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যা“উত্তরের হাওয়া” এবং “শব্দ ঊশিরা”। একগুচ্ছ কবিতা, গল্প এবং প্রবন্ধ নিয়ে পাঠকের দরবারে হাজির সম্পাদক পুষ্পিতা মণ্ডলের “উত্তরের হাওয়া”। বিষয়বৈচিত্রে পিছিয়ে নেই সম্পাদক ছন্দবীথি কুন্ডা’র “শব্দ ঊশিরা”। গল্প কবিতা প্রবন্ধের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে ভ্রমণ, বড় গল্প, অণু গল্প এবং সাক্ষাৎকার। প্রকাশিত হয়েছে “নীরজ কোরক” (সম্পাদক মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস)-সহ আরও কয়েকটি পত্রিকা। শুধু পত্রিকাই নয়, প্রকাশিত হয়েছে তিব্বতের স্বাধীনতা সম্পর্কিত ড. অরুণভূষণ মজুমদারের বই “টিবেট অ্যাজ সি ওয়াজ”। শারদোৎসবের রেশ শেষ হবার আগেই প্রকাশিত হচ্ছে ড. নিরঞ্জন হালদারের উপন্যাস “দ্বিতীয় বঙ্গেশ্বর”। প্রবহমান এই সাহিত্যধারার সঙ্গে মিশে আছে শহরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। |