মান্না দে-র সঙ্গে কলকাতার ছিল যাকে বলে নাড়ির টান। শিল্পীও প্রায়শ নিজের পরিচয় দিতেন ‘সিমলের ছেলে’ বলে। উত্তর কলকাতার সিমলেপাড়ার ন’নম্বর মদন ঘোষ লেন তাঁর জন্মস্থান। ওই বাড়িটিতে সম্ভব হলে ‘মান্না দে আর্কাইভ’ করা যেতে পারে না কি? ওই সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত হতে পারে শিল্পীর ব্যবহৃত দ্রব্যসামগ্রী, ব্যক্তিগত হারমোনিয়ম, কাশ্মীরি টুপি, রেকর্ডিংয়ের বিভিন্ন ছবি, তাঁর রেকর্ড-ক্যাসেট-সিডি, পারিবারিক অ্যালবাম থেকে শিল্পীর বিভিন্ন বয়সের ছবি, তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের ছবি, শিল্পীর হস্তলিপি, এমন আরও অনেক কিছু। আর্কাইভটি হবে মান্না দে-র প্রতি রাজ্যবাসীর শ্রদ্ধার্ঘ্য।
সন্তোষ চক্রবর্তী। কলকাতা-৩৪
|
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি-র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আই এস আই)-এর সংযোগ রয়েছে বলে আপনার পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে (‘খালেদা পুত্রের সহযোগী...’, ২৬-১০), সেটি অসত্য ও ভিত্তিহীন। এটি এমন একটা সময়ে প্রকাশ করা হল, যখন বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। সকল জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় সংসদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করবে। এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি প্রচারণার ফলে জনাব তারেক রহমান ও বিএনপি সম্পর্কে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হবে। বিএনপির সঙ্গে ভারতের জনগণ ও সরকারের একটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের জনগণের চোখে জনাব তারেক রহমানের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সকল দেশকে বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু মনে করে। বাংলাদেশের কোনও কোনও রাজনৈতিক দল বিদেশি সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থনের ওপর নির্ভর করলেও, বিএনপি তা করে না। বিএনপি সকল দেশ, বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। প্রতিবেশী-সহ কোনও দেশের স্বার্থপন্থী কাজে বাংলাদেশের জমিনকে ব্যবহার করতে না-দেওয়ার নীতিতেও বিএনপি অবিচল রয়েছে। দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, জাতীয়তাবাদী নেতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান শহিদ জিয়ার উত্তরসূরি হিসেবে তাঁরই লালিত আদর্শ ও লক্ষ্যকেই অগ্রসর করে নেওয়ার কাজে অংশগ্রহণ করছেন। তিনি রাজনৈতিক দীক্ষা নিয়েছেন তাঁরই প্রথিতযশা মা, বিএনপির বর্তমান চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে। তিনি এমন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন যে শান্তিতে থাকবে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করবে।
জনাব তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর চিকিৎসা ও আরোগ্যলাভের প্রক্রিয়া দীর্ঘ ও কষ্টকর। আনন্দবাজার উল্লিখিত তৎপরতায় তাঁর জড়িত থাকার কোনও দূরতম সম্ভাবনাও নেই।
রুহুল কবির রিজভী। যুগ্মমহাসচিব, বি এন পি
|
শফিকুল হক প্রশ্ন তুলেছেন, ইদ-উল-ফিতর্-এর সময় ‘কেন বিশেষ ট্রেন চালানো হবে না’। (সম্পাদক সমীপেষু, ১-১১) এই প্রসঙ্গে জানাই, ইদ-উল-ফিতর্ উপলক্ষে পূর্ব রেল গত ৮ অগস্ট হাওড়া ও মালদহের মধ্যে এক জোড়া বিশেষ ট্রেন এবং শিয়ালদহ ও কৃষ্ণপুরের মধ্যে (শিয়ালদহ-লালগোলা শাখা) এক জোড়া ‘মেমু’ স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করেছিল। দুটি বিশেষ ট্রেনের খবরই রাজ্যের বহুলপ্রচারিত সংবাদপত্রগুলিতে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলিতে ঘোষণার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
রবি মহাপাত্র। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, পূর্ব রেলওয়ে, কলকাতা |