সম্প্রীতির ভাইফোঁটা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
সম্প্রীতির গণভাইফোঁটা পালিত হল বোলপুরের জামবুনিতে। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় এক ব্যক্তির উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার এলাকার পথশিশুদের নিয়ে ওই গণভাইফোঁটায় আয়োজন করা হয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির দাদা পীযূষ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ভাইফোঁটা দেয় ওই কচিকাঁচারা। ২০০৩ সাল থেকে স্থানীয় হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ই এই গণভাইফোঁটার আয়োজন করে আসছেন। এত দিন জামবুনি এলাকার মাগা মায়ের মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ওই গণভাইফোঁটা হয়ে আসছিল। এ বারেই প্রথম তিনি নিজেই বাড়ির পাশে জামবুনি দক্ষিণ শারদাপল্লিতে এই আয়োজন করেন। স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রিয়া রুদ্র, সংযুক্তা সরকার, কাকলি ভট্টাচার্যরা বলে, “এ বছরও অনেক দাদাভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়েছি। এই দিনটার জন্য আমরা অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করি।” অপেক্ষায় থাকে খোকন, সোমনাথ, সনাতন, রুমকি, বেতালি, চৈতালিরাও। মেতে ওঠে ওমর, গণি, আব্বাসি, জাকিররাও। প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় মিষ্টির প্যাকেট। হরিপ্রসাদবাবু বলেন, “সকলের মুখে কিছু ক্ষণের জন্য হলেও হাসি ফুটেছে। আমার এই আয়োজন সার্থক হয়েছে।” প্রায় ১৪৫ জন পথশিশু ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল। হাজির ছিলেন বিশ্বভারতীর শিক্ষা সত্রের শিক্ষকশিক্ষিকারাও।
|
দুবরাজপুরে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার তিন দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
বোমা ও অস্ত্র-সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে এলাকায় বিএসএনএলের অপটিক্যাল ফাইবার চুরির ঘটনায় ওই দুষ্কৃতীরা জড়িত। সোমবার গভীর রাতে দুবররাজপুর-বক্রেশ্বর রাস্তায়, মেটেলা গ্রামের কাছে তারা ধরা পড়ে। পুলিশ জানায়, অপরাধ সংগঠিত করার জন্য দুষ্কৃতীদের একটি দল মেটেলার কাছে জড়ো হয়েছিল। সেই খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শেখ কবীর হুসেন, শেখ কামরুল এবং শেখ জিয়ারুল নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করে। প্রত্যেকেই দুবরাজপুর থানার পছিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি তাজা বোমা, ভোজালি, রডের মতো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ দিনই দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হাজতে থাকার নির্দেশ দেন।
|
জীর্ণ সেতুতে ঝুঁকির যাত্রা |
দুবরাজপুর-লোবা রাস্তায় চিতগ্রামের কাছে হিংলো নদীর সেচ খালের উপরে অবস্থিত রেলিংহীন এই সেতুর অবস্থা বিপজ্জনক। অথচ আশপাশের ১৫টি গ্রামের মানুষের কাছে এই সেতুর গুরুত্ব অনেক। এলাকাবাসীর দাবি, সেতু ভেঙে পড়ে যে কোনও দিন বিপদ ডেকে আনবে। অভিযোগ মেনে হিংলো সেচের এসডিও সাধন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সেতুটির সংস্কার প্রয়োজন জানিয়ে ইতিমধ্যেই ঊধ্বর্র্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি অকর্ষণ করা হয়েছে।” |