বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় এক সঙ্গে দেড়শো জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের একটি আদালত।
ঢাকার পিলখানায় বাংলাদেশের তত্কালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের সদর দফতরে ৫৭ অফিসার-সহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। ২০০৯-এর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনায় বিদ্রোহীরা বিডিআর-এর ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ ও তাঁর স্ত্রীকেও খুন করে। চার বছর বিচারের পরে আজ ১৫২ জন আসামিকে প্রাণদণ্ড দেন বিচারক। এ ছাড়া ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন ও ২৬২ জনকে ৩ থেকে ১০ বছর মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ না-হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ২৭৭ জন।
বিদ্রোহ, খুন ও লুটপাটের জন্য ৮৪৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। আইনজীবীদের মতে আসামির সংখ্যার বিচারে এ’টি সম্ভবত বিশ্বের সব চেয়ে বড় হত্যা মামলা। সব আসামিকে কাঠগড়ায় তুলতে ঢাকার বক্সিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে অতিরিক্ত দায়রা আদালত বসানো হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে ৭৮২ জন বিডিআর সদস্য ও ২০ জন অসামরিক লোক। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, পিলখানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ছক ছিল। সেই চেষ্টা বিফল হওয়ার পরের দিন বিদ্রোহ করে বিডিআরের সম্পূর্ণ নেতৃত্বকেই নিকেশ করে দেওয়া হয়। আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ওই ঘটনার পিছনে আইএসআই ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ইন্ধন ছিল। বিদ্রোহ ছড়ানোর জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা ছড়ানো হয়।” সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ইতিমধ্যেই প্রাণদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালত। বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করার পরে বিডিআর-কে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে নতুন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গঠন করতে হয় শেখ হাসিনা সরকারকে। |