কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় জখম হয়েছেন ছয় জন গ্রামবাসী। শনিবার ফরাক্কার বটতলার ওই ঘটনার পর সিপিএম ও কংগ্রেসের দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। গ্রামে পুলিশি টহলদারি চলছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ওই গ্রামে এক সিপিএম কর্মী খুন হন। খুনের ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েক জন কংগ্রেস সমর্থককে গ্রেফতারও করে। সম্প্রতি গ্রামের সিপিএম সমর্থকদের একাংশ তৃণমূলে যোগ দেন। পুরনো খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেল থেকে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। শুরু হয়ে যায় কংগ্রেস ও নবাগত তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে তুমুল বোমাবাজি। শনিবার রাত পর্যন্ত কয়েকশো বোমা ফাটে। ফরাক্কা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সোমেন পাণ্ডে বলেন, ‘‘কংগ্রেস এলাকার সমাজবিরোধীদের নিয়ে এসে পরিকল্পিত ভাবে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গ্রামবাসীদের উপর বোমাবাজি শুরু করে। কংগ্রেস চাইছে এলাকায় তৃণমূলের শক্তি রুখতে।’’ ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক বলেন, “পুলিশকে কব্জায় রাখতে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম হাত মিলিয়েছে। তাই ওরা জোট বেঁধে কংগ্রেসের সমর্থকদের উপর বোমাবাজি করে।”
|
এক প্রৌঢ়কে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। মৃতের নাম বাবর আলি (৫০)। তাঁর বাড়ি থানারপাড়ার গোরভাঙা গ্রামে। শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন বাবর। সেই সময় পিছনের একটি বাগান থেকে জনা পনেরো দুষ্কৃতী প্রথমে বোমা ও গুলি ছোঁড়ে। তারপর ওই দোকানে এসে বাবরকে এলোপাথাড়ি কোপায়। করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তেহট্টের এসডিপিও সুনীল সিকদার বলেন, “বাবরের বিরুদ্ধে পুরনো খুনের মামলা রয়েছে। দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর গোলমালের জেরে এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে আমারা জানতে পেরেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
কালীপুজোয় মাতল সীমান্তের গ্রাম নরসিংহপুর। এলাকার দু’টি ক্লাবের পুজো নিয়ে মেতেছে সারা গ্রাম। একটি ক্লাবের থিম মাদুর কাঠির ছোঁয়া। অন্যটি নজর টানছে পাটের প্রতিমা ও মণ্ডপ সজ্জার মাধ্যমে। ক্লাবের কর্তারা জানান, “মুর্শিদাবাদ তো বটেই, পড়শি জেলা নদিয়া থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন এখানে ঠাকুর দেখতে।”
|
পুজো মণ্ডপে কালী প্রতিমার সোনা ও রুপোর গহনা চুরির অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে শান্তিপুরের বকুলতলা এলাকার ঘটনা। ক্লাবের কর্তা সৌরভ সাধুখাঁ বলেন, “রাতে পুজোর পর আমরা সবাই মণ্ডপ ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। মূর্তির গা থেকে এভাবে গয়না চুরি হবে ভাবতে পারিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।” |