নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবে জেলায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে চালু হওয়া ওই কন্ট্রোল রুমে একটিও ফোন আসেনি। অভিযোগ জানাতে কেউ এগিয়ে না এলেও জেলা জুড়ে শব্দ বাজির দাপট যে কমেনি তা শনি ও রবিবার রাতে ভালই বুঝেছেন জেলাবাসী। জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার জন্য সব রকমের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি মদের ঠেক ভাঙা হয়েছে। কয়েকশো লিটার দেশি মদ নষ্ট করা হয়েছে। মদের ঠেক, জুয়ার ঠেক বসে বলে চিহ্নিত জেলার এমন বেশ কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় পুলিশ নজর রাখছে। তবে আমাদের কন্ট্রোল রুমে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।” অভিযোগ না এলেও শব্দ বাজির দাপট কিন্তু থামেনি। কালীপুজোর দিন, দীপাবলির দিন দু’দিনই সন্ধ্যা হতে না হতেই নিষিদ্ধ বাজির কানফাটা শব্দে জেরবার হয়েছেন জেলাবাসী।
কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবকে মাথায় রেখে জেলা সদরে ওই বিশেষ কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার কয়েক জন পুলিশ অফিসার ২৪ ঘণ্টা সেখানে ডিউটিতে থাকছেন। পুলিশের তরফে আগেই ৮১৪৫৪০১০২০ নম্বরের কন্ট্রোল রুমে থাকা মোবাইলটির কথা জানানো হয়েছিল। সেখানে ফোন করে যে কেউ অভিযোগ জানালে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। শনিবার সকাল থেকে বীরভূমের বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশ নজরদারি ছিল। বোলপুর মহকুমার লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার ও বোলপুর থানা এলাকায় বেআইনি মদ এবং জুয়ার ঠেকে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বোলপুরের এসডিপিও সূর্যপ্রসাদ যাদব বলেন, “চারটি থানা এলাকায় আমাদের নজরদারি রয়েছে। একশোরও উপর বেআইনি দেশি মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। একাধিক বেআইনি মদ এবং জুয়ার ঠেকে অভিযানও হয়েছে। আনন্দের উৎসবে এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আমরা সতর্ক আছি।”
|
আটক তিন
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক তন্ত্রসাধিকা-সহ তার দুই শাগরেদকে আটক করল পুলিশ। রবিবার নলহাটির বারুণিঘাটা গ্রামের ঘটনা। এসডিপিও (রামপুরহাট) কোটেশ্বর রাও বলেন, “ওই তিন জনের বিরুদ্ধে একটি খুনের চেষ্টার অভিযোগ হয়েছে। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় দা হাতে গ্রামেরই এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল এক যুবক। যুবকের পরনে তখন কোনও পোশাক ছিল না। গ্রামবাসীদের দাবি, চাপ দিতেই সম্রাট মাল নামে ওই যুবক জানায়, কল্যাণী লেট নামে ওই তন্ত্রসাধিকার কথা শুনে একটি শিশু জোগাড় করার জন্য তিনি স্থানীয় বাসিন্দা অভিরাম লেটের বাড়িতে ঢুকেছিলেন। রাতেই তাকে গ্রামবাসী পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশের কাছে ওই যুবক দাবি করেছে, তিনি বাঁশ কাটতে বেরিয়েছিলেন। রাতে পুলিশ কল্যাণীকে না ধরলেও পরের দিন সকালে গ্রামবাসীই কল্যাণী এবং তার আর এক শাগরেদ বিক্রম মালকে ধরে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ফের ওই গ্রামে গিয়ে তাদের আটক করে। বাসিন্দারা জানান, কল্যাণীদেবী বাড়ির কাছে একটি জায়গায় মনসার থান ও কালীমূর্তি স্থাপন করে সাধনা করতেন। রাতে অভিরামবাবু তিন জনের বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। |