মেদ কমাতে কর বৃদ্ধি! স্থূলতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে এটাকেই সেরা উপায় মনে করছে মেক্সিকো। ঠান্ডা ও মিষ্টি পানীয়ে এবং জাঙ্ক ফুডের উপর অতিরিক্ত কর বসাতে বিল পাশ হয়েছে মেক্সিকোর পার্লামেন্টে। সারা বিশ্ব স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে সারা বিশ্ব। তালিকায় প্রথম নামটিই মেক্সিকোর। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশের প্রায় ৩৩% মানুষই ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত, ফলে বিপজ্জনক হারে বেড়েছে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি অসুখ। এমনকী শিশুদের শরীরেও বাসা বাঁধছে নানা জটিল রোগ। সমীক্ষা বলছে, দেশের ৯%-এরও বেশি শিশু আক্রান্ত ডায়াবেটিসে।
এই সমস্যা এড়াতে তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবারের উপর অতিরিক্ত ৮% কর বসানো হবে। সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বছর এক জন মেক্সিকোবাসী গড়ে ১৬২ লিটার ঠান্ডা পানীয় পান করেন। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। তাই ঠান্ডা পানীয়ের দামও লিটারে প্রায় পাঁচ টাকা করে বাড়ছে। এ ছাড়াও খাবারের মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যকর ও কোনটি অস্বাস্থ্যকর তা চিহ্নিত করেও দেওয়া হবে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো মেক্সিকোবাসীদেরপ্রতি দিন সকালে এক ঘণ্টা করে শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিয়েছেন। দেশের মানুষের স্থূলতা বৃদ্ধির সমস্যায় উদ্বিগ্ন এনরিক বলেছেন, “দেশে স্থূলতা মহামারীর আকার নিয়েছে। এই অবস্থায় হাত গুটিয়ে থাকা যায় না।” মেক্সিকোর খাবার প্রস্তুতকারীরা এতে অখুশি। তাঁদের বক্তব্য, ডেনমার্কে কর বাড়িয়ে সরকারের আয় বাড়লেও দেশবাসীর স্বাস্থ্যের উন্নতি কিছু হয়নি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাইক রেনার অবশ্য বলেন, “ডেনমার্কে ওই কর বসানোর পরে গড়ে ৪% পর্যন্ত মেদ কমেছে।
স্থূলতা রোধে খাবারে কর বসানো অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক দেশে ক্যালোরি বাড়ায়, এমন খাবার ও পানীয়ে বসানো হয়েছে অতিরিক্ত কর। নরওয়েতে মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয়, চকোলেট ইত্যাদি কিনতে গেলে বেশ চড়া দাম দিতে হয় ১৯৮১ থেকে। ১৯৮৪ সালে মিষ্টি পানীয়ের উপর অতিরিক্ত কর বসানো হয় নিউজিল্যান্ডের সামোয়ায়। অস্ট্রেলিয়ায় ঠান্ডা পানীয়, মিঠাই ও বেকারির খাবার কিনতে ১০% বেশি কর দিতে হয় ২০০০ থেকে।
|
হরতাল তুলুন, আর্জি হাসিনার
সংবাদ সংস্থা • ঢাকা |
হরতালের পথ ছেড়ে আলোচনায় বসার জন্য ফের খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আবেদন জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার থেকে ৬০ ঘণ্টার হরতাল শুরু হলেও, এ দিন দুপুর থেকেই নাশকতা শুরু করেছে বিএনপি ও জামাতে ইসলামির কর্মীরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার নানা জায়গায় অন্তত ১৬টি ছোট-বড় গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি বাসও রয়েছে। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকার সোহরাবর্দি উদ্যানে আজ আওয়ামি লিগের একটি বিশাল জনসভায় বক্তৃতা দেন শেখ হাসিনা। সেখানেই তিনি হরতাল ছেড়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কথা শুরুর আবেদন জানান বিরোধী নেত্রীর উদ্দেশে। হাসিনা বলেন, “পরীক্ষার মধ্যেই হরতাল ডেকেছেন। হরতাল তুলে নিন। শিশুদের পরীক্ষা দিতে দিন। দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবেন না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরতাল করে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামিদের রক্ষা করা যাবে না। তার চেয়ে আলোচনায় বসুন। আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।
পুরনো খবর: আবার ৬০ ঘণ্টার হরতাল বাংলাদেশে |