টুকরো খবর
শিলিগুড়িতে পুলিশের ফাঁদে কেএলও জঙ্গি
কেএলও জঙ্গি সন্দেহে ধনঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে প্রধাননগর থানার পুলিশ দার্জিলিং মোড় লাগোয়া দাগাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের কাছ থেকে একটি সেমি অটোমেটিক রিভলবার মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ জানায়, মালদহের পান্ডুয়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয় কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শিলিগুড়ি থেকে টাকা তুলে নেপালে যাওয়ার পথে সে ধরা পড়ে। জেরায় পুলিশকে সে জানায়, কেএলও-এর প্রথম সারির অনেক জঙ্গি এখন নেপালে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকেই উত্তরবঙ্গ এবং অসমের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতাক ছকও কষা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতকে এ দিন শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানেই কেন্দ্র ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারেরা ধনঞ্জয়কে জেরা শুরু করেছেন। তার কাছ থেকে একটি রিভলবার, কার্তুজ, ৯টি সিম কার্ড, দুটি এটিএম কার্ড, একটি জাল ড্রাইভিং লাইলেন্স এবং বেশ কিছু নেপাল ও ভারতীয় টাকা উদ্ধার হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “ধনঞ্জয় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করছিল বলে খবর ছিল। শিলিগুড়িতে সম্ভবত সে টাকা আদায় করতেই এসেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে ধরা হয়েছে।” তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, শিলিগুড়ি বা লাগোয়া এলাকার কোনও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্যই ধনঞ্জয় নেপাল থেকে শিলিগুড়ি এসেছিল।

বিনয় তামাঙ্গের অবস্থা স্থিতিশীল
জেলবন্দি মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। শনিবার তাঁর অনশনের চতুর্থ দিনে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে দুই চিকিৎসকের একটি দল তাঁকে দেখতে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে যায়। তাঁকে রাইস টিউবের মাধ্যমে পুষ্টি সরবরাহের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞরা। পরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার মধুসূদন সরকার গিয়ে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি বিনয় তামাঙ্গকে অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানান। এ দিন সকালে বিনয়ের স্ত্রী সরলা এবং মেয়ে শবনম তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথবাবু বলেন, “রক্তচাপ, শর্করার পরিমাণ, ইউরিয়া সবই স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা বিনয়বাবুকে চিকিৎসা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি। আমাদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাও তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন।” জেলবন্দি মোর্চা নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে চার দিন আগে অনশন শুরু করেন ওই জিটিএ সদস্য।

৫ হাজার কোটি ক্ষতির দাবি
দার্জিলিঙে ক্রমাগত অশান্তি আর বন্ধের ফলে ১৯৮৬ সাল থেকে চলতি মরসুম পর্যন্ত সিকিম প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বলে দাবি করলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং। শনিবার দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে তিনি এ দাবি করেন। কেন্দ্র ও রাজ্যকে এ নিয়ে চিঠিও দিয়েছেন তিনি বলে জানান পবন। সুযোগ পেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তিনি। চামলিং বলেন, “হিসেব করে দেখেছি ৫ হাজার কোটি টাকার মত যে বিপুল রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছি, তা গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের জন্যই।” কিন্তু, সিকিম বিধানসভায় গোর্খাল্যান্ডের দাবির সমর্থনে সর্বসম্মত ভাবে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ওই আন্দোলনের প্রতি যা নৈতিক সমর্থন দেওয়ার সামিল। তা হলে? সরাসরি এর কোনও জবাব দিতে চাননি চামলিং। তিনি বলেন, “গোর্খাল্যান্ডের দাবি মানা হবে কি না তা কেন্দ্র ও রাজ্যের বিষয়।”

বাগানে মৃত্যুর খবর জানা নেই: মন্ত্রী
বন্ধ রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে কোন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর তিনি জানেন না বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। গত অক্টোবর মাসে রেড ব্যাঙ্ক বাগানের পাশাপাশি একই মালিকানাধীন সুরেন্দ্র নগর চা বাগান বন্ধ করে মালিক পক্ষ চলে যান। ওই ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই বাগানে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শ্রমিকরা দাবি করেছেন। মৃতের তালিকাতে একজন বারো বছর বয়সী বালক সহ দুই জন মহিলা রয়েছেন। সকলের অপুষ্টি জনিত রোগে ভুগে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকাবাসীদের অনেকেরই অভিযোগ। তবে শ্রমমন্ত্রী বলেন, “ডুয়ার্সের চা বাগান গুলির অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল। রেড ব্যাঙ্ক বাগানের এই অবস্থা নতুন নয়। বহু দিনের পুরনো। তবে মৃত্যুর খবর আমার জানা নেই।”তবে জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সীমা হালদার অবশ্য ৬ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন। তবে সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন ধরে রোগে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর দাবি। তিনি জানান, ১৩০ কুইন্টাল চাল শ্রমিকদের দেওয়া হবে। এদিন বাগান পরিদর্শন করেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি নূর জাহান বেগম।

মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুঠপাট
পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে ভরদুপুরে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সোনা-ব্যবসায়ীকে মারধর করে সর্বস্ব লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা। মালদহের সামসি স্কুলপাড়ায় শনিবার দুপুরে ওই ঘটনাটি ঘটে। ওই ব্যবসায়ী জীবন রায়কে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরা না হলে লাগাতার ব্যবসা বন্ধেরও হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে তল্লাশি চলছে। দু’টি বাইকে চেপে ৬ জন দুষ্কৃতী হানা দিয়ে ওই কাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

দুই জওয়ানের নামে খুনের চেষ্টার মামলা
এক গ্রামবাসীকে মারধরের অভিযোগে পুলিশ দুই বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। জখম নীতীশ বিশ্বাস নামে যুবককে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিবপুরের চরণটোলায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত জওয়ানদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে বিএসএফকে বলা হয়েছে। ৩১ নম্বর ব্যটেলিয়ানের কমানডেন্ট টি এস নেগি বলেন, “ওই যুবক এক জওয়ানকে চড় মারেন। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাচ্ছি।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.