শনিবার প্রিমিয়ার লিগ মহারণে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সঙ্গে ০-২ হারল হোসে মোরিনহোর চেলসি। প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে দুটো ম্যাচে হেরে গেল চেলসি।
নিউক্যাসলের সঙ্গে সুরলে ও এটোকে রিজার্ভে রেখে তোরেস ও মাতাকে নিয়েই আক্রমণ সাজান ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’। ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই অবশ্য উত্তাপ বাড়তে থাকে। মোরিনহোকে সতর্ক করে দিয়ে নিউক্যাসল কোচ অ্যালান পার্ডিউ বলেছিলেন যে, আগের দিনের মতো সেলিব্রেট করলে চেলসি কোচকে থাপ্পড় মারতেও দ্বিধাবোধ করবেন না তিনি।
প্রথমার্ধের শুরুর থেকেই আক্রমণের অনেক সুযোগ তৈরি করেও গোলের মুখ দেখেনি চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটে ম্যাচের ছবি পাল্টায়। অপ্রত্যাশিত ভাবে প্রথম গোল পায় নিউক্যাসল। হেড দিয়ে গোল করে পার্ডিউর দলকে ১-০ এগিয়ে দেন গুফরান। শেষের দিকে রেমি গোল করে নিউক্যাসলের জন্য জয় নিশ্চিত করেন। নিজের কেরিয়ারে কোনও দিন নিউক্যাসলের ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতেননি মোরিনহো। সেই ধারাই বজায় রইল। |
আর একটা বিশ্রী দিন। নিউক্যাসলে মোরিনহো। ছবি: এএফপি। |
ম্যাচ শেষে মোরিনহো বলেন, “আমরা ভাল খেলতে পারিনি। আমরা যা খেলেছি, তাতে হারটাই প্রাপ্য ছিল। পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা সমতা ফেরানোর। কিন্তু একটাও কাজে লাগাতে পারলাম না।” প্রথমার্ধের শেষেই তিনি যে দলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, সে কথা জানিয়ে মোরিনহো যোগ করেন, “প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পরেই ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের বললাম যে ম্যাচ কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টাবে। মনঃসংযোগটা ধরে রাখতে হবে।”
ভুলটা কোথায় হল? হারের জন্য ফরোয়ার্ডদের দায়ী করে মোরিনহো বলছেন, “আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম প্রথমার্ধে। কিন্তু কিছুই কাজে লাগাতে পারলাম না। একবার পিছিয়ে পড়ার পর প্লেয়ারদের মধ্যে গোল করার ইচ্ছাটাই দেখা গেল না। সব মিলিয়ে খুব হতাশ লাগছে। লিগে একটা ম্যাচ হারা মানে বাকি দলগুলোর থেকে পিছিয়ে পড়া।” পাশপাশি নিউক্যাসল ম্যানেজারের কাছে ম্যাচটা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সান্ডারল্যান্ডের কাছে হেরে আবার জয়ের মুখ দেখল নিউক্যাসল। তাও আবার চেলসির মতো ‘হেভিওয়েট’ দলকে হারিয়ে। পার্ডিউ বলেন, “যোগ্য দল হিসাবে জিতেছি। চেলসি খুবই ভাল দল। কিন্তু আমরাও ঘরের মাঠে দারুণ খেলেছি। সান্ডারল্যান্ডের সঙ্গে হারের পর চেলসির মতো দলকে হারাতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। আশা করব, এই ফর্ম ধরে রাখবে আমার দল।” |
প্রিমিয়ার লিগে জিতল দুই ম্যাঞ্চেস্টার। শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে ক্র্যাভেন কটেজে ফুলহ্যামকে ৩-১ হারাল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমার্ধের শুরুতেই ভ্যালেন্সিয়ার গোলে ম্যান ইউ ১-০ এগোয়। দলের তারকা স্ট্রাইকার রুনি এবং ফান পার্সির গোলে বিরতির আগে ব্যবধান বাড়ায় মোয়েসের দল। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে ফুলহ্যামের কাচানিক্লিচ গোল করলে ম্যাচ ৩-১ শেষ হয়। পাশাপাশি চেলসির কাছে হারার পরে আবার জয়ের মুখ দেখল পেলেগ্রিনির ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। শনিবার এতিহাদ স্টেডিয়ামে নরউইচ সিটিকে ৭-০ হারাল পেলেগ্রিনির ক্লাব। প্রথমার্ধের শুরুতেই ব্র্যাডলি জনসনের আত্মঘাতী গোলে ১-০ এগোয় ম্যান সিটি। সিলভা, নাস্তাসিচ ও নেগ্রেদোর গোলে বিরতির আগে ৪-০ শেষ করে আগেরোর দল। দ্বিতীয়ার্ধেও ‘গোল-ফিস্ট’ চলতে থাকে। আগেরো, জেকো ও তোরের গোলে ম্যাচ ৭-০ শেষ হয়। এ দিন আবার লিভারপুলকে ২-০ হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান নিজেদের দখলে রাখল আর্সেনাল। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি কাজোরলার গোলে ১-০ এগোয় আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে র্যামসির গোলে ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে আর্সেনাল। |