|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
পেশাদারি মধ্যস্থতা জরুরি |
বইপোকা |
বাংলা সাহিত্যের এমন দুর্মর দুরবস্থা কেন? অন্তত গত এক দশকে এই প্রশ্নটির বিবিধ উত্তর উঠিয়া আসিয়াছে আলোচকমহলে। কাহারও মতে, প্রাতিষ্ঠানিক পত্রপত্রিকাগুলি নূতন লেখক খুঁজিতে সম্প্রতি অনীহ। কেহ বলেন, সাহিত্যসেবা, সাহিত্যিকের দায় ইত্যাকার শব্দ তাহার মূল্য হারাইয়াছে বলিয়াই ধ্রুপদী সাহিত্যের সৃষ্টি হইতেছে না। কিন্তু একটি বিষয় আলোচনায় প্রায়শ উঠে না। প্রকাশক এবং লেখকের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কোনও সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বঙ্গীয় বইপাড়ায় গড়িয়া উঠে নাই। নূতন গ্রন্থের প্রস্তাব লইয়া হয় প্রকাশক লেখকের নয় লেখক প্রকাশকের দ্বারস্থ হইবেন, এ পাড়ায় এখনও ইহাই দস্তুর। অথচ ইংরাজি ভাষায় ‘লিটারারি এজেন্ট’ নামক একটি শ্রেণি পেশাদার ভাবেই কাজ করিয়া থাকেন। ইংরাজি ভাষার অনেক নবোদিত সাহিত্যিকের উত্থানের নেপথ্যে ওই শ্রেণির অবদান এখন আর অবিদিত নহে। বঙ্গীয় বইপাড়ায় অধুনা এজেন্টের কাজ কেহ কেহ করিতেছেন বটে, কিন্তু সে প্রচল এখনও নেহাতই শখের প্রাণ হইয়া রহিয়াছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁহারা প্রকাশকের আজ্ঞাবহ, নামমাত্র দক্ষিণায় তৃপ্ত এবং কোনওপ্রকারে গ্রন্থমধ্যে একটি স্বীকৃতি পাইলেই আহ্লাদিত। ইহাতে প্রকাশকের দায় নাই। বাণিজ্যেই তাঁহাদের লক্ষ্মী বসত করেন। কিন্তু যাঁহারা নিরন্তর নিজস্ব চর্চায় প্রকাশককে প্রকাশযোগ্য বই কিংবা বিষয় যোগাইয়া চলিয়াছেন তাঁহারা পেশাদার হইলে বইপাড়ার বাণিজ্য চণ্ডীমন্ডপ ডিঙাইতে পারে। এ কালে সরস্বতীর সহিত লক্ষ্মীর বিরোধ আদতে ঘুচিয়া গিয়াছে, এই সত্যটি মানিয়া লইলে সরস্বতী এবং লক্ষ্মী উভয়েই কিঞ্চিদধিক সমাদৃত হইবেন। |
|
|
|
|
|