পাঁচবেড়িয়া থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৮ মাইল এলাকা ‘ভাণ্ডারদহ বিল’ নামে পরিচিত। এর পাড়ে রয়েছে বিখ্যাত বিন্দুবাসিনী মন্দির। বিলটি একদা স্লুইস গেট মাধ্যমে ভাগীরথীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। খাগড়ার স্লুইসের মাধ্যমে বিষ্ণুপুর বিল থেকে এই বিলে জল আসত। দক্ষিণের নিকাশি নালার মাধ্যমে চালতিয়া, চাঁদা ও বেয়ালিয়া বিল হয়ে ভাগীরথীর সাথে এর যোগ ছিল। এখন আর তা কার্যকরী নয়। তবুও শারদোৎসবের আনন্দমুখর দিনটিকে স্মরণ করে একাদশী তিথিতে এবারও ‘শিমুলিয়া যুব সম্মিলনী সংঘ’ এই বিলে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চিরাচরিত ধারা বজায় রেখেছে। দেশ তখন পরাধীন। ভগীরথপুরের জমিদার প্রণবকৃষ্ণ চৌধুরী তাঁর জমিদারি এলাকার প্রায় ৯১ কিমি দীর্ঘ ভাণ্ডারদহ বিলের বুকে তখন উৎসব সূচনা করেন। তাঁর মৃত্যুর পরে এই উৎসব বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল। পরে এলাকার স্থানীয় মানুষজন ‘শান্তি কমিটি’ করে এই উৎসব ফের চালু করেন। কিন্তু এক্ষেত্রেও যথেষ্ট সরকারি অসহযোগিতা। কেরালার ‘ওনাম’ উৎসবে যেমন উচ্ছ্বাস-আনন্দ ও সম্প্রীতির ভাব লক্ষ্য করা যায়, তেমনি মুর্শিদাবাদের এই বিলে তার কোনও অংশে কম থাকে না। তাই সরকারি অনুদান মিললে হয়তো উৎসবটি বন্ধ হওয়ার আতঙ্ক থেকে রক্ষা পাবে।
বিশ্বজিৎ মহন্ত, ভাকুড়ি
|
গত কয়েক বছর ধরে কান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে কান্দি মহকুমাশাসকের কার্যলয় পর্যন্ত রাস্তা দখল করে হকারদের রমরমা ব্যবসা চলছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা কান্দি মহকুমা হাসপাতালের সামনের রাস্তায়। সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাস্তা ঘিরে হোটেল খোলা হয়েছে। অন্য দিকে বেড়ে চলেছে রিকশা চালকদের দাপট। পুরসভা অনুমোদিত ভাড়া না নিয়ে তারা নিজেদের খেয়াল-খুশি মত ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের কাছ থেকে। রাস্তা দখল করে যেখানে-সেখানে রিকশা দাঁড় করিয়ে রাখে। সন্ধ্যা নামতেই কান্দি শহর জুড়ে শুরু হয় মদ্যপদের বাইক নিয়ে দাপাদাপি। চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অনীহা কাজ করছে। বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে বিচারের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
অময় চক্রবর্তী, কান্দি
|
রঘুনাথগঞ্জ সদরঘাট পাড়ে অবস্থিত ‘দাদাঠাকুর মুক্তমঞ্চ’টি অনাদরে অবহেলায় ক্রমশ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। মঞ্চে কাঠের পাটাতনগুলির করুণ অবস্থা। মঞ্চ জুড়ে পায়রার বাস। ফলে তাদের বিষ্ঠায় মঞ্চ ভরে উঠেছে, তেমনি দুর্গন্ধময় গ্রীনরুমে যথাযথ আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অনুষ্ঠান চলাকালিন বসে থাকতে অসুবিধা হয়। ‘দাদাঠাকুর মুক্তমঞ্চ’ লেখা ফলকটি ভেঙে আছে। ফলে জনসাধারণের চলাচলের পথে এগুলি বড়ই বিসদৃশ লাগে। পুরসভা একটু তৎপর ও আন্তরিক হলে আমাদের মত কিছু সংসকৃতিপ্রেমী মানুষ তাদের ভাললাগার রসদ খুঁজে পাই। এবং শুধুমাত্র রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, মঞ্চটিকে আরও বেশি করে ব্যবহারের জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলিকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ জানাই।
শান্তনু সিংহ রায়, জঙ্গিপুর
|
নদিয়ার কালীগঞ্জ ব্লকের দেবগ্রাম পাওয়ার হাউসপাড়ার রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। রাস্তাটি পাওয়ার হাউসপাড়া থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ওই রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই অধিকাংশ জায়গায় হাঁটু সমান জল জমে যায়। এবড়ো-খেবড়ো ওই রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সরু রাস্তায় দুটি সাইকেল চড়ে পাশাপাশি যেতে পারে না। অথচ ওই রাস্তায় ভোর ৫টা তেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলের লোকজন সাইকেল, মোটরবাইক, ভ্যান-রিকশা ও রিকশা যাতায়ত করে। সেই সঙ্গে ম্যাটাডোর, ট্রাক্টর চলাচলে ওই রাস্তা আরও দুর্গম হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রএই অবস্থায় অবিলম্বে রাস্তা সারাইয়ের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
সুশান্তকুমার চট্টোপাধ্যায়, দেবগ্রাম
|
নবদ্বীপ শ্মশানে পরিচ্ছন্ন খাবারের দোকানের অভাব রয়েছে। যে সমস্ত অস্থায়ী দোকান রয়েছে, সেগুলিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অথচ সৎকার করতে শবদেহ নিয়ে যারা শ্মশানে আসেন, অনেক সময়ে মৃত্যুর খবর পেয়ে অভূক্ত অবস্থায় তারা চলে আসেন। অনেক সময়ে সৎকার করতে প্রায় সারা রাত কেটে যায়। কিন্তু কোনও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবারের দোকান নেই। সেই সঙ্গে ওই সমস্ত দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। এর পাশাপাশি শ্মশানে ঢোকার রাস্তাগুলির বেহাল অবস্থা। শ্মশানের হাল ফেরাতে নবদ্বীপ পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিরঞ্জন পাল, কৃষ্ণনগর |