|
|
|
|
মনোনয়ন প্রত্যাহার তৃণমূল নেতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দলের নির্দেশ মেনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিলেন এক তৃণমূল নেতা। শুক্রবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই দিনই মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন তিনি। তবে, এরপরও নির্দল কাঁটা পিছু ছাড়ছে না শাসকদলের। কারণ, আরও কয়েক’টি ওয়ার্ডে দলের কর্মীরাই রাতারাতি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন। দলীয় সূত্রে খবর, এই সব কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তৃণমূলের শহর সভাপতি সুকুমার পড়্যা শুক্রবারও বলেন, “নির্দল প্রার্থীরা কোনও ব্যাপার নন। মানুষ দলের পাশে রয়েছেন। এ বার একক ভাবে পুরসভা দখল করবে তৃণমূল।”
আগামী ২২ নভেম্বর মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচন। শুক্রবারই মনোনয়ন পর্ব মিটল। এ দিন ছিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। জানা গিয়েছে, এ দিন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল, নির্দল মিলিয়ে ৬ জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সন্দীপ চক্রবর্তী, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী জিয়াউদ্দিন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মৃগাঙ্কশেখর জানা, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তম রায়, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শশাঙ্কশেখর মান্না এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অঞ্জুরানি শর। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এ বার প্রার্থী করেছে জিতেন্দ্রনাথ দাসকে। অন্য দিকে, এই ওয়ার্ড থেকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন উত্তম রায়। উত্তমবাবু এলাকার তৃণমূল নেতা। কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার? ওই তৃণমূল নেতার কথায়, “আমি দলের অনুগত সৈনিক। দলের নির্দেশেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি।” দলীয় সূত্রে খবর, ‘বিক্ষুব্ধ’ সব প্রার্থীর কাছেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের বার্তা পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতেই সাড়া দিয়েছেন কয়েক জন।
মেদিনীপুরে ২৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। জানা গিয়েছে, এ বার সব মিলিয়ে মনোনয়ন জমা পড়েছিল ১৪৮টি। তবে, প্রার্থী ছিলেন ১১৯ জন। বেশ কয়েক জন প্রার্থী একাধিক মনোনয়ন দাখিল করেনযদি একটি মনোনয়ন বাতিল হয়, তা হলেও প্রার্থীপদ যাবে না, এই ভেবে। ৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রার্থীর সংখ্যা হল ১১৩ জন। |
|
|
|
|
|