ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক চা বাগানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম শ্রীকান্ত বরা (১৪)। বাড়ি রায়ডাক চা বাগানের মুন্সি লাইনে। গত বৃহস্পতিবার জ্বরে আক্রান্ত হয় শ্রীকান্ত। স্বাস্থ্য কর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে তার অবস্থা খারাপ হতে শুরু হলে রাতে তাকে প্রথমে শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক চা বাগানে গত তিন দিনে ১১ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জেলার বিশেষ মেডিক্যাল টিম ওই চা বাগানে শিবির করে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছে। জলপাইগুড়ি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার জানান, বাগানে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। গত শনিবার থেকে ডিডিটি স্প্রে শুরু করা হয়েছে। বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ করা হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও শুরু করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজও করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের রায়ডাক চা বাগান হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু ঠাকুর জানান, বাগানে ১০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। রায়ডাক চা বাগানের এক স্বাস্থ্য কর্মী জানান, প্রতিবছর দু’এক আক্রান্ত হন। এবার সংখ্যাটা বেশি। সারা বছর স্বাস্থ্য দফতর প্রতিরোধ মূলক কাজ করলে ম্যালেরিয়া এভাবে ছড়াত না।
|
বৈদ্যবাটী পুরসভার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে গত কয়েক দিনে ছড়িয়ে পড়া আন্ত্রিকে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে, সোমবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর জলের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার বেলেঘাটায় পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি বৈদ্যবাটী পুরসভার তরফেও ওই দুটি ওয়ার্ডে এ দিন চিকিৎসকদের একটি দল পাঠানো হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈদ্যবাটীর ১ ওয়ার্ডের ঘোষালপাড়া, বিবেকানন্দ সরণি এবং জেলেপাড়া এলাকায় আন্ত্রিক ছড়িয়ে পড়ে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ রোড এলাকাতেও আন্ত্রিক ছড়ায়। চলতি মাসের ১৯-২০ তারিখ থেকে চলছে এই পরিস্থিতি। সন্ধ্যা মণ্ডল নামে এক মহিলার প্রথমে মৃত্যু হয়। পরে তিনকড়ি বেদান্ত (৭২) নামে এক বৃদ্ধ এবং উত্তরপাড়ার স্থানীয় নার্সিংহোমে অলোকা ঘোষ (৮০) নামে আরও বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় গত রবিবার। টানা বৃষ্টিতে বৈদ্যবাটীর দু’টি ওয়ার্ডের নিচু এলাকায় জল জমে। জলে কোনও ভাবে সংক্রামণ ছড়িয়েই আন্ত্রিক দেখা দিচ্ছে বলে চিকিৎসকদের অনুমান।
|
ফের পেটের রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দায়। এ বার ওন্দা ব্লকের বাসুয়াড়া গ্রামে রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা পেটের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তিন জনকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির চালু রয়েছে। ওন্দা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিজিৎ দেওঘরিয়া বলেন, “গ্রামের পুকুর থেকেই রোগ ছড়িয়েছে বলে আমাদের অনুমান। পুকুর ও নলকূপগুলি পরিশুদ্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।”
|
ভুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগে ক্ষতিপূরণ দাবি করে এক চিকিৎসককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনেরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জে একটি নার্সিংহোমে। ওই চিকিৎসক রোগীকে অন্যত্র চিকিৎসা করানোর খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
|
মাদারিহাটে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি, পূর্ব খয়েরবাড়ি ও বিভিন্ন চা বাগানে ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। মাস খানেক ধরে জ্বর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল ওই গ্রামগুলিতে। তাঁদের বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবজ্যোতি চক্রবর্তী এ দিন জানিয়েছেন, এখনও অবধি ৮ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে।
|
প্রসব-কাণ্ডে গ্রেফতার চান সূর্যকান্ত |
উলুবেড়িয়ার সরকারি হাসপাতালে প্রসবের সময় ধড় থেকে আলাদা হয়ে শিশুর মাথা বেরিয়ে আসার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করার দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। শিশুটির মাথা বেরিয়ে আসার পরে ধড় বার করার জন্য সিজারিয়ান সেকশন করতে বলা হয়। প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যবাবুর বক্তব্য, শিশুমৃত্যু আগেও ঘটেছে। তার পর পরিকাঠামোর উন্নতিও হয়েছে। কিন্তু উলুবেড়িয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।
পুরনো খবর: উলুবেড়িয়ায় গর্ভেই শিশুর মৃত্যু, রিপোর্ট |