টাটকা খবর
পটনা বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
পটনা বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। আহতের সংখ্যা প্রায় ৮৩। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩৭ জন। এঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে আটক আর এক ব্যক্তির সোমবার সকালে মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় পটনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিল সে। বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে সোমবার ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দু’জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের পর পটনা পুলিশের এসএসপি জানিয়েছেন, ধৃতদের জেরা করে হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
বিহার পুলিশ সূত্র ধরে সোমবার ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় রাঁচি পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয় রবিবার গ্রেফতার হওয়া ইমতিয়াজ আনসারির রাঁচির বাড়িতেও। ইমতিয়াজের বাড়ি থেকে প্রেসার কুকার বোমা, ডিটোনেটর ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। এ সবের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে ওসামা বিন লাদেনের একটি ছবিও। পটনা পুলিশ জানিয়েছে, আনসারিকে জেরা করে হামলার মাস্টারমাইন্ড তহসিন আখতার ওরফে মনু নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। সে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন সদস্য ইয়াসিন ভটকলের খুব ঘনিষ্ঠ এবং বর্তমানে ভটকলের হয়েই দল চালাচ্ছে বলে ধারণা পুলিশের। ইমতিয়াজ সমস্তিপুরের বাসিন্দা। পুলিশ আগেই তার মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছে। ভটকলের পাশাপাশি, তহসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে ওয়াকাস শামিম নামে আরও এক ব্যক্তি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত বলে অনুমান পুলিশের।
তদন্তের জন্য রবিবার এনআইএ-র একটি বিশেষ দল পটনায় পৌঁছয়। আরও বিস্ফোরকের খোঁজে গাঁধী ময়দানে যৌথ ভাবে তল্লাশি চালায় পটনা পুলিশ ও এনআইএ। বিস্ফোরণস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টাও চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই হামলার পিছনে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন-এর হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানিয়েছে এনআইএ।
বিস্ফোরণ নিয়ে রাজনীতিকদের মন্তব্য:
রাজনাথ সিংহ: পটনায় নিরাপত্তায় ত্রুটি ছিল।
অরুণ জেটলি: বিহার সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আইবি-র সতর্কবার্তা কেন উপেক্ষা করা হল?
কীর্তি আজাদ: এটি কেন্দ্র ও রাজ্যের ব্যর্থতা।
রাজীব শুক্ল: রাজনৈতিক ফায়দা তোলা ঠিক নয়।
সুশীল কুমার শিন্দে: কেন্দ্রের তরফে নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি ছিল না।

আরোগ্য চেয়ে চান্ডির সঙ্গে সাক্ষাৎ ভি এসের
বিক্ষোভকারীদের ইটে আহত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী উম্মেন চান্ডির সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভি এস অচ্যুতানন্দন। রাজ্য রাজনীতিতে চান্ডির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ভি এস। সৌর কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতি দিনই মুখ্যমন্ত্রীর প্রবল সমালোচনা শোনা যাচ্ছে বিরোধী দলনেতার মুখে। তার উপরে রবিবারের ইট ছোড়ার ঘটনার দায় বামেদের উপরেই চাপিয়েছে কংগ্রেস। এ সব সত্ত্বেও সৌজন্যের খাতিরে সোমবার তিরুঅনন্তপুরমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দ্রুত আরোগ্য কামনা করতে ভোলেননি ভি এস। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এ দিনই চান্ডিকে ফোন করে তাঁর শরীরের খোঁজ নিয়েছেন। রাজ্যের ১৪০টি বিধানসভা এলাকাতেই কংগ্রেস এ দিন প্রতিবাদ-সভা করলেও স্বয়ং চান্ডি ফেসবুকে দলের কর্মীদের কাছে আবেদন করেছেন ওই ঘটনার প্রতিবাদে হরতালের পথে না যেতে। সিপিএম হিংসার রাজনীতি ছেড়ে দিলে তিনি ওই আক্রমণের ঘটনা ক্ষমা করে দিতে রাজি বলেও জানিয়েছেন। সিপিএমের তরফে অবশ্য এ দিনও ফের বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে শারীরিক আক্রমণ তাদের কর্মসূচি ছিল না। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করুক।

কাঁসাইয়ের ভাঙা বাঁধ মেরামতি ধীরগতিতে
কাজ শুরুর প্রায় এক দিন পরও পাঁশকুড়ায় কাঁসাইয়ের ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতির কাজ আশানুরূপ ভাবে এগোয়নি। রবিবার দুপুর থেকে কাজ শুরু হলেও প্রবল জলস্রোতের কারণে কাজ এগোচ্ছে না বলে প্রশাসনের তরফ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ রানিহাটির কাছে তৃতীয় বারের জন্য ওই বাঁধের প্রায় ৪০ ফুটের বেশি অংশ ভেঙে গিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। ফলে পাঁশকুড়া ও তমলুক ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফের জমা জলের পরিমাণ বাড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাঁধ মেরামতির জন্য ফের সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়। প্রায় ৪০০ জন স্থানীয় শ্রমিকের সাহায্যে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারদের পরিকল্পনা অনুযায়ী জওয়ানরা বাঁধের ভাঙা অংশের দু’প্রান্ত দিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-আধিকারিকদের পাশাপাশি রাজ্য সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার-সহ দফতরের বেশ কয়েকজন পদস্থ আধিকারিক ঘটনাস্থলে থেকে কাজের তদারকি করছেন।

বর্ধমানে বন্ধ হল দু’টি বেআইনি ইউএসজি ক্লিনিক
নিয়ম না মেনে ক্লিনিক চালানোর অভিযোগে জেলায় দু’টি ইউএসজি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আরও একটি ক্লিনিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমাতেও বেশ কয়েকটি ইউএসজি ক্লিনিক বেআইনি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায় বলেন, “বেআইনি ইউএসজি ক্লিনিক বন্ধ করতে অভিযান শুরু হয়েছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল মহকুমায় প্রায় ১৫টি ও দুর্গাপুর মহকুমায় প্রায় ১০টি বেআইনি ইউএসজি ক্লিনিক রয়েছে। যাদের অত্যন্ত জরুরি রেজিস্ট্রেশন বা সিই শংসাপত্র নেই। অনেক ক্লিনিক পাঁচ বছর ধরেও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউএসজি ক্লিনিক চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে সিই শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। বর্ধমানের খোসবাগানের একটি ক্লিনিকে নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সিই শংসাপত্র ছাড়াই ব্যবসা চলছিল। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আসার পরেই ওই ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কালনার একটি ক্লিনিকে হানা দিয়েও জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ। তাঁরা গিয়ে দেখেন, ওই ক্লিনিকে ইউএসজি যন্ত্রটিই নেই। এর পর ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে ওই ক্লিনিকের কর্তা স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ইউএসজি যন্ত্রটি খারাপ হওয়ায় কলকাতায় সারাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ইউএসজি যন্ত্র ক্লিনিকের বাইরে নিয়ে যেতে হলে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের অনুমতি প্রয়োজন হয় বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

বর্ধমানের শিবপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ
বর্ধমানের শিবপুর দিঘিরপাড়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে সোমবার পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, এই তিন জন ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত। তবে পুলিশ এখনও তাদের গ্রেফতার করেনি। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “তিন জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন নবাবহাট ও এক জন স্থানীয় কমলসায়রের বাসিন্দা। এদের থানায় নিয়ে এলে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তদের সাজার দাবি জানাতে শুরু করে।
দিনভর জেলা বিজেপি, সিপিএমের মহিলা সংগঠন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির তরফে যথাক্রমে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করতে থাকে। জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেছেন, “পুলিশ ঘটনার কিনারা করতে আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছে। খুব শীগ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.